ভারত-সােভিয়েত মৈত্রী চুক্তিতে নিহিত আছে বিশ্বের নিরাপত্তা বলিষ্ঠতর করায় উভয় দেশের গভীর উৎসাহ -কোসিগিন
(বিশেষ প্রতিনিধি)
নয়াদিল্লী, ১৫ অক্টোবর-সম্প্রতি বিশ্ব শান্তি সংসদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীরমেশ চন্দ্রের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে সােভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন বলেছেন, “ভারত-সােভিয়েত চুক্তিটি শান্তি, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সুদৃঢ় মৈত্রীর চুক্তি এবং তার মধ্যে এশিয়া তথ্য সমগ্র বিশ্বের নিরাপত্তাকে বলিষ্ঠতর করার জন্য উভয় দেশের গভীর উৎসাহ নিহিত হয়েছে।”
শ্রীকোসিগিন ভারতে সােভিয়েত মৈত্রী চুক্তিটি অন্য কোনাে দেশের বিরুদ্ধে নয় বলে পুনরায় উল্লেখ করেছেন। তিনি আরাে বলেছেন, তৃতীয় কোনাে দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ব্যতিরেকেই ভারতসােভিয়েত সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়ে উঠবে।
শ্রীকোসিগিন আরাে বলেন যে, যুদ্ধ এবং আক্রমণমুখী শক্তিগুলি এশিয়াসহ বিশ্বের নানা অঞ্চলে যখন চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে তখন বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে ভারত-সােভিয়েত মৈত্রী চুক্তির সিদ্ধান্তগুলি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্দোচীনের সঙ্কটের বিষয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইন্দোচীনে রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা আছে তবে এই সমাধান হবে দক্ষিণ ভিয়েতনামের অস্থায়ী বিপ্লবী সরকারের ৭ দফা প্রস্তাব অনুযায়ী। এই প্রস্তাবগুলিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে সত্যিকারের সমাধান রয়েছে।
এই গঠনমূলক প্রস্তাবগুলির কোন জবাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয় নি।
শ্রীকোসিগিন ইস্রায়েলী সরকারের নীতির ফলে পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতির অত্যন্ত জটিল ও কখনাে কখনাে সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠছে বলে উল্লেখ করেন।
ইউরােপে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের বিষয়ে কয়েকটি উদ্যোগের কথাও শ্রী কোসিগিন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সােভিয়েত ইউনিয়ন ও পােল্যান্ডের সঙ্গে পশ্চিম জার্মানীর স্বাক্ষরিত চুক্তি বলবৎ করা, নিরাপত্তা এবং সহযােগিতার উপর ইওরােপের দেশগুলির একটি সম্মেলনে সমাবেত হওয়া, পশ্চিম বার্লিন সমস্যার সমাধানের বিষয়টি চুকিয়ে ফেলা, ইউরােপে সমরাস্ত্র ও সৈন্য বাহিনী কমিয়ে আনা ইত্যাদি এই উদ্যোগের আওতায় পড়বে।
সূত্র: কালান্তর, ১৬.১০.১৯৭১