You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.04 | “বাঙলাদেশ আন্দোলন ভারতের প্রেরণাতেই সৃষ্ট হয়েছে” মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নয়া দোসর চীনা শাসকদের অভিমত | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

“বাঙলাদেশ আন্দোলন ভারতের প্রেরণাতেই সৃষ্ট হয়েছে”
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নয়া দোসর চীনা শাসকদের অভিমত

টোকিও, ৩ ডিসেম্বর (এপি)-নয়াচীন সংবাদ সংস্থা ভারতের বিরুদ্ধে অভিযােগ করেছে, সােভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন ও প্রশ্রয়ে ভারতই পাকিস্তানকে “বিভক্ত ও বিনষ্ট করতে চেষ্টা করছে।
সংবাদ বিবৃতিতে সােভিয়েত ইউনিয়নের নাম না-করে চীনারা হালে সে-দেশ সম্পর্কে সচরাচর যে বিশেষণটি ব্যবহার করে সেই “মাজিক সাম্রাজ্যবাদ” কথাটিই এবারও ব্যবহার করেছে।
সংবাদ বিবৃতিতে অভিগে করা হয়েছে, বাংলাদেশ আন্দোলনটাই নাকি “ভারতের দ্বারা প্রণােদিত” এবং পাকিস্তানী জনগণ নাকি তার বিরােধী এবং “পৃথিবীর কোনাে দেশই ঐ আন্দোলনকে স্বীকৃতি দেয় নি।”
পূর্ববঙ্গ থেকে পাকিস্তানী সৈন্য সরিয়ে নেবার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে দাবি জানিয়েছেন, তাকে “দর যুক্তি” বলে অভিহিত করে উক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার অর্থ দাঁড়াবে “পাকিস্তান সরকারকে তার নিজের ভুখণ্ড রক্ষা করার অধিকার ত্যাগ করতে হবে এবং ভারত সরকারকে পূর্ব-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাতে দিতে হবে।”
ভারতের এ-জাতীয় “দুরভিসন্ধিমূলক চালাকির” সঙ্গে চীনা জনগণের যথেষ্ট পরিচয় আছে বলে দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে “পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের সমস্যার সুযােগ নিয়ে পাকিস্তানের আভ্যন্তরিন ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্যই ভারত একটি বাঙলাদেশের জন্ম দিচ্ছে।”
চীনের তিব্বত অঞ্চলে ভারত অনুরূপভাবেই নাকি এক ব্যর্থ বিদ্রোহের উস্কানি দিয়ে হাজার হাজার চীনা অধিবাসীদের ভারত যেতে বাধ্য করেছিল এবং তথাকথিত তিব্বতী শরণার্থী সমস্যার জন্ম দিয়েছিল এবং চীনের “শত্রুতা করেছিল।”
অনুরূপভাবেই পূর্ব-পাকিস্তানের কোনাে কল্যাণকর পরিণতি হবে না” বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

সূত্র: কালান্তর, ৪.১২.১৯৭১