ভারতীয় জওয়ানদের সীমানা অতিক্রম না করার নির্দেশ দেওয়া আছে
নয়াদিল্লী, ৩ নভেম্বর-ভারতীয় জওয়ানদের সীমান্ত পার হওয়ার কোন নির্দেশ নেই। বরং সীমান্তের ওপারে না যাওয়ার জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া আছে। আজ এখানে ভারত সরকারের জনৈক মুখপাত্র একথা জানান বলে ইউ, এন, আই জানাচ্ছে।
দুদিন আগে ত্রিপুরা সীমান্তে পাক-বাহিনীর কামানের গুলিকে পাল্টা জবাব দিয়ে নিস্তব্ধ করার সংবাদ ছিল। সে সম্পর্কে কোন কোন সংবাদপত্র এই সিদ্ধান্ত পৌঁছেছে যে এই কাজ করার জন্য নিশ্চয়ই ভারতীয় জওয়ানরা ভারতের সীমানা পার হয়ে পাকিস্তান সীমান্তে প্রবেশ করেই কামানগুলিকে স্তব্ধ করে এসেছে।
সংবাদপত্রগুলির ঐ ধরণের রিপাের্টের উল্লেখ করে সরকারের ঐ মুখপাত্রটি বলেন, “আমি এ কথা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যে সেনাবিভাগকে সীমান্ত অতিক্রম না করার সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া আছে।”
তিনি বলেন ত্রিপুরার শহরে পাকিস্তানীরা অবিরাম গােলাবর্ষণ করছিল। ওদের থামানাের জন্য “আমাদের সফলভাবে পাল্টা জবাব দিতে হয়। এর থেকে একথা মনে করার কোন কারণ নেই যে আমাদের সৈন্যরা সীমানার ওপারে গেছে।
পাক-সেনারা ভারতের সীমানা অতিক্রম করলে কি করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নের জবাবে ঐ মুখপাত্র বলেন সংঘর্ষ বেধে গেলে অবস্থা তখন অন্য রকম হবে।
কলকাতা থেকে রাজ্য সরকারের জনৈক মুখপাত্র জানান পাক-বাহিনী পশ্চিম ও পূর্ব সীমান্তে প্রায় প্রতিদিনই গােলাবর্ষণ করছে। এর ফলে নদীয়া, পশ্চিম দিনাজপুর ও কোচবিহার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত সপ্তাহে কেবল দিনাজপুর জেলাতেই পাক-সেনারা ন’বার কামান ব্যবহার করেছে। এ সপ্তাহে কোচবিহার সীমান্তের গােলা নিক্ষেপ করেছে।
গত মার্চ মাসে পাক-সেনারা বাঙলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর প্রায় ৩৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি পাক-গােলায় নিহত হয়েছে।
সূত্র: কালান্তর, ৪.১১.১৯৭১