সীমান্ত অঞ্চলে পাকিস্তানী হামলা
(স্টাফ রিপাের্টার)
নয়াদিল্লী, ১৫ নভেম্বর—একজন সরকারী মুখপাত্র আজ এখানে বলেন যে পাকিস্তানী সৈন্য গত ১৩ নভেম্বর বালুরঘাটের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে গােলা বর্ষণ করে। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী আর পাল্টা জবাব দেয়। হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায় নি। গত ১২ নভেম্বর বালুরঘাটের উত্তর-পূর্বে দুটি সীমান্ত অঞ্চলে পাকিস্তানী বাহিনী মর্টার ও ছােট ধরনের অস্ত্র চালায়। আমাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী দুটি ক্ষেত্রে পাল্টা জবাব দিয়েছে।
গত ১৩ নভেম্বর পাকিস্তান বাহিনী বেলােনিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চলে ভারতীয় হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, কিন্তু হেলিকপ্টারটির কোন ক্ষতি হয়নি। গত ১৩ ও ১৪ নভেম্বর মেঘালয়ের তিনটি স্থানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষীবাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় ঘটে।
গত ১৩ নভেম্বর কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যেও গুলিবিনিময় হয়। গত ১১ ও ১২ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলেও গুলি বিনিময় হয়। বনগাঁওতে অনেকগুলি পাকিস্তানী বাংকার ধ্বংস হয়ে যায়। কৃষ্ণনগরের উত্তরপূর্বে, বনগাঁওএর দক্ষিণ-পূর্বে এবং জলপাইগুড়ির দক্ষিণ-পশ্চিমেও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। | গত ১১ নভেম্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বেলােনিয়ার পশ্চিম অঞ্চলে গুলি নিক্ষেপ করে। সীমান্ত রক্ষীবাহিনী তার জবাব দেয়। একজন আহত হয়েছে। ১০ নভেম্বর পাকিস্তান বাহিনী মেঘালয় সীমান্ত চৌকীর উপর আক্রমণ চালায় ভারতীয় চৌকী টহলদাররা তার প্রত্যুত্তর দেয়। দুজন পাকিস্তানী সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় পক্ষে কেউ হতাহত হয়নি। মেঘালয়ে গুলিবিনিময়ের আরাে চারটি ঘটনা ঘটে।
পশ্চিম সীমান্ত
গত ১০ ও ১৩ নভেম্বর তিথাওয়াল, উরি, মেনধার, নৌসের এবং পুঞ্চ সেকটরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ৯ বার যুদ্ধ সীমারেখা অতিক্রম করে। রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদের নিকট অভিযােগ করা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে ২০০ টি যুদ্ধ সীমারেখা অতিক্রমের ঘটনা ঘটেছে।
১২ নভেম্বর চার ব্যাটেলিয়ান পাকিস্তানী সৈন্য আমাদের শীকারপুর চৌকী আক্রমণ করে। সীমান্ত রক্ষীরা পাল্টা গুলি চালায়। ১৩৫ জন পাকিস্তানী সেনা হতাহত হয়েছে।
সূত্র: কালান্তর, ১৬.১১.১৯৭১