বালুরঘাটে পাক ফৌজের গােয় ৭ জন ভারতীয় নিহত রাজ্য সরকার ও সামরিক কর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
(স্টাফ রিপাের্টার)
কলকাতা, ২৫ নভেম্বর-বালুরঘাটে বিনা প্ররােচনায় পাক-ফৌজের প্রচণ্ড গােলাবর্ষণে সাতজন ভারতীয় নিহত ও তেত্রিশজন আহত হয়। বেসরকারী হিসেবে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের প্রবল পাল্টা গােলায় পাক কামানগুলি স্তব্ধ হয়ে যায়।
ইতােমধ্যে পাক ফৌজের এই নবতম প্ররােচনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের পদস্থ অফিসাররা পরিস্থিতির পর্যালােচনা করেছেন। এই বৈঠকে বাঙলা খণ্ডের জি, ও, সি মেজর জেনারেল পি, চৌধুরী মুখ্যসচিব নির্মল সেনগুপ্ত ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিমবাংলার সরকারী সূত্রের সংবাদে বলা হয়েছে কাল মধ্যরাত থেকে এই গােলাবর্ষণ শুরু হয়। আজ ভােরে ভারতীয় গােলার জবাবে তা নিরস্ত হয়। ঐ মুখপাত্রের মতে এ পর্যন্ত পশ্চিম বাংলার সীমান্তে প্ররােচনা ছাড়াই পাকফৌজের গােলাবর্ষণে ভারতীয় নাগরিক হতাহত হওয়ার যত ঘটনা আছে বালুরঘাটে একদিনে তার চেয়ে অনেক বেশী হতাহত হয়েছে।
তাছাড়া এ পর্যন্ত পাক-গােলার দৌড় ছিল নদীয়া ও কোচবিহার জেলার সীমান্ত অংশ। এখন তা পশ্চিম দিনাজপুরেও সম্প্রসারিত হলাে।
একই সময়ে নদীয়া জেলার হৃদয়পুর এবং শিকারপুরে আবার গােলাবর্ষণ হয়। প্রায় তিনঘণ্টা স্থায়ী ঐ গােলাবর্ষণে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা উপযুক্ত জবাব দেন বলে দাবি করা হয়।
শুধু পশ্চিমবাংলা নয় গত ২৩, ২৪ নভেম্বর ও আজ মেঘালয়, ত্রিপুরা ও আসামের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামের ওপর পাক ফৌজ কামান দেগেছে। অঞ্চলগুলি হলাে ত্রিপুরার সােনামুড়া মহকুমার বক্সনগর, খােয়াই থানার সিঙ্গিছেড়া সদর মহকুমার শান্তিমুড়া এবং গৌরাঙ্গুলা প্রভৃতি।
সূত্র: কালান্তর, ২৬.১১.১৯৭১