রবীন্দ্র সদনে
দুই বাঙলার শিল্পীদের প্রথম সম্মেলক অনুষ্ঠান
(স্টাফ রিপাের্টার)
কলকাতা, ৩ জুলাই-আজ বর্ষণ মুখর সন্ধ্যায় কলকাতায় রবীন্দ্রসদন বাঙলাদেশের শিল্পী কণ্ঠে মুখরিত হয়ে ওঠে।
বাঙলাদেশের শিল্পী এবং সগ্রামী মানুষ যে গানগুলি গেয়ে ১৯৪৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সংগ্রামে অংশ নিচ্ছেন, সহস্র করতালি ধ্বনির মধ্যে বাঙলাদেশের শিল্পীবৃন্দ আজ সেই সঙ্গীত গেয়ে শােনান। বাঙলাদেশ সহায়ক শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সমিতির উদ্যোগে আজ অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে উভয় বাঙলার বিশিষ্ট শিল্পীগণ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভানেত্রীর আসন গ্রহণ করেন শ্রীমতী সুচিত্রা মিত্র। এই সমিতির অন্যতম সম্পাদক শ্রীদীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তার সংক্ষিপ্ত ভাষণে চল্লিশ দশকের ফ্যাসিস্ত বিরােধী আন্দোলনে শিল্পী সাহিত্যিকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, এরই অবিকল রূপ ১৯৭১ সালেও ঘটতে যাচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে এপার বাংলার শ্রীদেব্রত বিশ্বাস কয়েকটি রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
বাঙলাদেশ শিল্পীদের অনুষ্ঠান
বাঙলাদেশের অনেক নূতন ও পুরাতন এবং স্বনামধন্য শিল্পী এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বাঙলাদেশের শিল্পীবৃন্দ প্রথমে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, অতুলপ্রসাদ ও লােকসঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল বাঙলাদেশের শিল্পীদের কণ্ঠে রূপান্তরের গান’ এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্রীমতী সনজিদা খাতুন এবং সূত্রধর হিসাবে ছিলেন বাঙলাদেশের যশস্বী নট হাসান ইমাম।
‘রূপান্তরের গান’ সামগ্রিক ভাবে শ্রোতাদের প্রশংসা অর্জন করেছে। তবে এতে সংগ্রামী ইতিহাসের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তার কয়েকটি জায়গায় ভুল ছিল বলে বেশ কয়েক জন দর্শককে অভিযােগ করতে এবং বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সূত্র: কালান্তর, ৪.৭.১৯৭১