বাংলা ভাষা কমিটির সভ্য কে কে?
১. মাওলানা আকরম খাঁ নতুন পরিচয় নিষ্প্রয়ােজন। ইনি কমিটির চেয়ারম্যান।
২. আবুল কালাম শামসুদ্দিন আজাদের সম্পাদক।
৩. মাওলানা আব্দুল্লাহেল বাকী আকরম খাঁর অন্যতম চেলা।
৪. আদমউদ্দিন, এম এ – বাকী সাহেবের জামাই, আরবী অধ্যাপক।
৫. ডা. এস, এম. হােসেন—ভাইস চ্যান্সেলার, আরবী অধ্যাপক ইনি কমিটির সভায় সাধারণত থাকেন না।
৬. মাননীয় ডা. মালিক করাচীর মন্ত্রী, কমিটির সভায় থাকতে পারেন না।
৭. মাননীয় হবীবুল্লাহ বাহার – শ্যামও রাখেন, কূলও রাখেন অতএব কমিটির
সভায় থাকেন না।
৮. মিজানুর রহমান – পূর্ববংগে উর্দু হরফের জন্য প্রধান পাণ্ডা।
৯. জুলফিকার আলী উর্দু হরফের অন্যতম প্রচারক। উর্দু হরফ প্রবর্তনের জন্য
কয়েক হাজার টাকা সরকার একে মঞ্জুর করেছেন বলে গুজব।
১০. অধ্যক্ষ শরফুদ্দিন আরবী অধ্যাপক, সম্প্রতি আরবীর পেট হইতে বাংলার নয়া জন্মের জন্য কসরত শুরু করিয়াছেন।
১১. মাজদুদ্দিন আহমদ সিলেটের পেন্সনপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল। স্বাধীন মতামত না থাকাই স্বাভাবিক। ফার্সি অধ্যাপক, বাংলা লিখিতেই জানেন না।
১২. মােহিনীমােহন দাস – পরলােকগত।
১৩. গােলাম মােস্তফা – এঁকে সম্প্রতি কমিটির সেক্রেটারী পদ হইতে অপসারিত
করা হইয়াছে। বাকী ৩ জন – ড. শহীদুল্লাহ, আবুল হাসানাত ইসমাইল ও অধ্যাপক গণেশ বসু।
ইহা কি সত্য যে ভাষা কমিটির রায় প্রকাশের পূর্বেই উর্দু হরফ চালু করিবার উদ্দেশ্যে ৩৫,০০০ টাকা ব্যয়ে প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে কতকগুলাে ট্রেনিং সেন্টার খুলিবার আয়ােজন হইতেছে? অর্থাভাবের অজুহাত দেখাইয়া যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য শিক্ষালয় তালাবদ্ধ করিয়া দেওয়া হইতেছে, সেখানে এইসব অকারণ অর্থ অপব্যয় কি জঘন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়?
সৈনিক, ৯ই ডিসেম্বর, ১৯৪৯