বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭
(১৯৮৭ সালের ২নং আইন)
বাংলাদেশের অফিস আদালতে বাংলা ভাষার প্রচলন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং সাংবিধানিক বিধানবলী পূর্ণরূপে কার্যকর করার জন্য ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিদানের ৩নং অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করিবার উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন।
যেহেতু সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদের বিধানবলী পূর্ণরূপে কার্যকর করিবার এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়ের জন্য বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়ােজনীয় : সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :
১। সংক্ষিপ্ত শিরােনাম।
(১) এই আইন বাংলা ভাষা প্রচলন আইন, ১৯৮৭’ নামে অভিহিত হইবে। (২) ইহা অবিলম্বে বলবৎ হইবে।।
২। সংজ্ঞা।
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে ‘অনুচ্ছেদ অর্থে সংবিধানের অনুচ্ছেদ বুঝাইবে।
৩। প্রবর্তন ও কার্যকরী ব্যবস্থা।
(১) এই আইন প্রবর্তনের পর বাংলাদেশের সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালতে, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশের সাথে যােগাযােগ ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে নথি ও চিঠিপত্র, আইন আদালতের সওয়াল জবাব এবং অন্যান্য আইনানুগত কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় লিখিত হইবে।
(২) ৩(১) উপ-ধারায় উল্লেখিত কোন কর্মস্থলে যদি ব্যক্তি বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্যকোন ভাষায় আবেদন বা আপিল করেন তাহা হইলে উহা বেআইনি ও অকার্যকর বলিয়া গণ্য হইবে।
(৩) যদি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারি এই আইন অমান্য করেন তাহা হইলে উক্ত কার্যের জন্য তিনি সরকারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধির অধীনে অসদাচরণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তাহার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি শৃঙ্খলা ও আপিল অনুসারে ব্যবস্থা করা হইবে।
৪। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
সরকার সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন।
সূত্র: ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও দলিল – সাহিদা বেগম