You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.29 | বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে | কম্পাস - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে

না—এবার আর কোথা দিয়ে কি ভাবে, কোনাে জায়গায় এ সবের বিশদ বিবরণে যাব না। কারণ, বারণ আছে বারণ করেছেন বাংলাদেশেরই নেতারা অভিযােগ তুলেছেন বাংলাদেশের আন্দোলনকে সমর্থন করে বাংলাদেশের সংগ্রামের সচিত্র বিবরণ প্রকাশ করতে যেয়ে বহুক্ষেত্রে ভারতীয় সাংবাদিককূল তাঁদের সংগ্রামের যথেষ্ট ক্ষতি আমরা করে ফেলেছি এরই মধ্যে। ঘটনার তথ্য নির্ভরতা প্রমাণ করতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে ট্রাঙ্ককলে প্রাপ্ত খবরে”- লিখে বাংলাদেশের সাথে বহির্বিশ্বে যােগাযােগ রক্ষা একমাত্র চুয়াডাঙ্গা শহর শত্রু পাকসেনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রাধান্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছি যার ফল দাঁড়াল চুয়াডাঙ্গা শহরে স্থল, বিমান উভয় পর্যায়ে প্রচণ্ড আক্রমণ। এমন অনেক অভিযোেগ ওরা করেছেন যা ভিত্তিহীন নয়; সুযােগ পেলে পরে সে কাহিনীতে আসব। আপাতত সংযম অবলম্বন করে বলছি এবারও আমার গন্তব্যস্থল ছিল কুষ্টিয়া, যশােহর ও খুলনা সেক্টরের বিভিন্নাঞ্চল।
“বাংলাদেশে ইয়াহিয়া সৈন্যদের বর্বর তাণ্ডব শুরু হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে ২৫শে মার্চের রাত থেকে। নিহতের সংখ্যা শত, সহস্র নয় কত লক্ষ তার সঠিক নিরূপণ এখনাে সম্ভব নয়। অত্যাচার চলছে সমানে। আন্দোলনের প্রথম দিকে শুধু খান সেনারাই সেখানে ছিল সক্রিয় এবার ধীরে ধীরে ইয়াহিয়া খা পয়সা ও লুণ্ঠিত সম্পত্তির লােভ দেখিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটি বেঈমান দল যাদের বিগত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ বর্জন করেছিল-যাদের শুধুমাত্র সাইনবাের্ড ঝুলানাে পার্টি বলে বাংলার জনতা আখ্যা দিয়েছিল সেই সব মুসলিম লীগ, পাকিস্তান ডেমােক্র্যাটিক পার্টি, জামাতই-ইসলামী, কায়ূমপন্থী মুসলিম লীগের মতাে দলগুলাের গুটি কতক গুণ্ডালােককে ইয়াহিয়া নিজের অনুগামী তৈরি করতে পেরেছে। এরাই এখন গ্রামে, গ্রামে যেখানকার অধিকাংশ যােয়ান ছেলেরা মুক্তিফৌজে যােগদান করেছে সেখানকার নিরীহ অধিবাসীদের ঘরবাড়ি লুঠ করছে, ঘরের বৌ মেয়েদের…(গলা ধরে এল)। এতদসত্ত্বেও পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলাে এখনাে নীরব কেন বলতে পারেন?”- না! এ প্রশ্নটা আমার নয় প্রশ্নটা আমাকেই করেছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, বর্তমানে যিনি মসী ফেলে অসি পরিচালনায় ব্যস্ত।
কুষ্টিয়া সেক্টরের কোনাে জায়গায় বাংলাদেশ সরকারের অফিসে পরিচয় হল ফরিজুদ্দিন সাহেবের। সাথে। দ্রলােক অধ্যাপক, ১৯৬৯ সালে আয়ুবশাহী পতনের মূলে ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, এবং ইয়াহিয়া সৈন্যের বর্বর আক্রমণে ঢাকার যে কয়টি সংবাদপত্রের অফিস ধ্বংস হয়েছে তার অন্যতম পুরাতন “দৈনিক সংবাদ পত্রিকার একজন সহঃ সম্পাদক। পত্রিকাটি বামপন্থী ঘেঁসা।
ফরিজুদ্দিন সাহেব আরও জিজ্ঞেস করলেন-আমরা আমাদের স্বাধিকারের জন্য লড়াই করছি জীবন পণ করে আর পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলাে কী আমাদের নিয়ে একটা “ডার্টি গেমস খেলার চেষ্টা করছে? পঃ বাংলা তথা সারা ভারতের জনগণের কাছ থেকে যে সাহায্য সহযােগিতা ও সহানুভূতি আমরা পেয়েছি তা জীবনে কখনও শােধ করতে পারব—তবুও আপনাদের সরকারও আমাদের ডেমােক্রেটিক রিপাবলিক বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না কেন? আমাদের আজকের এই মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রশস্ত্র সহ সর্ব প্রকার সাহায্য দরকার, কিন্তু এর চাইতেও আশু প্রয়ােজন আমাদের সরকারের স্বীকৃতি, নইলে আজকে যারা মরণপণ লড়াই চালাচ্ছে তাদের মানসিক শক্তি আসবে কোথা থেকে? আমি তাঁর এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি তাই সর্বসমক্ষে উত্থাপন করলাম পরিবর্তে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম যদি কোনাে রাষ্ট্র আপনাদের সরকারকে আশু স্বীকৃতি নাও জানায় তবুও কি আপনাদের সগ্রাম চলবে না— হার মানবেন? উত্তর এল, কখনােই নয়? প্র– ধরুন এখন যদি কোনাে বৃহৎ শক্তি আপনাদের আওয়ামী লীগ নেতাদের ও পাক প্রেসিডেন্ট এর মধ্যে আলােচনা চালিয়ে একটি রাজনৈতিক সমাধানের চেষ্টা করে, আপনাদের নেতারা কী করবেন আপনারাই বা কী করবেন?
উ:– আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন। এমন কোনাে প্রস্তাব যদি আসে তা ঘৃণার সাথে প্রত্যাখ্যাত হবে। কোনাে নেতার মনে যদি এমন দুর্বলতার প্রমাণ কখনাে পায় বাংলাদেশের মানুষ সেই নেতাকেই প্রত্যাখ্যান করবে, স্বাধীনতাকে নয়। এত জীবন এত রক্ত দেবার পর আজ এ প্রশ্নই উঠে না।
চুয়াডাঙ্গার সার্কেল অফিসার জনাব রসুল সাহেব ও জনাব সফিউদ্দিন সাহেব-এর সঙ্গে পরিচয় হল। চুয়াডাঙ্গা শহরের আরও একটি বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনী শুনতে পেলাম নায়ক চুয়াডাঙ্গার ও. সি মনিরুজ্জামান। জামাতে ইসলামীর সমর্থক এই ওসি প্রকাশ্যে বাংলাদেশ সরকারের আনুগত্য প্রকাশ করলেও গােপনে বাংলাদেশ সরকারের সমস্ত খবরাখবর পাকসৈন্যদের সরবরাহ করত। মাঝে মাঝে ওয়ারলেস সেটে একটি মেয়েলী কণ্ঠস্বর খবরগুলাে পাঠাত। এই কণ্ঠস্বরটি ছিল ওসির স্ত্রীর। বাংলাদেশ ঘটনাটি টের পেয়ে ওসিকে গ্রেপ্তার করার মনস্থ করেন। কিন্তু সে রাত্রে জলঝড় হয় ও ওসি অবস্থা বুঝে সপরিবারে চুয়াডাঙ্গা ছেড়ে পালায় ও একজন মুসলিম লীগ নেতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এর পরই পাকসেনারা চুয়াডাঙ্গা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলাের উপর বিমান আক্রমণ চালায়। চুয়াডাঙ্গা শহর পাকসেনা কবলিত হবার পর এই বিশ্বাসঘাতকটি সামরিক কর্তৃপক্ষের সাথে যােগ দিয়ে নিরীহ জনসাধারণ, আওয়ামী লীগ সমর্থক ও হিন্দুদের ঘরবাড়ি ধ্বংস, সম্পত্তি লুঠতরাজ ও ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা শহরে আইয়ুব উকিল (কাঃ মুঃ লী) আব্দুল সাত্তার (পি ডি পি) মফিজউদ্দিন চৌধুরী (জা, ই.) মীরাজুল ইসলাম (মুঃ লীঃ) কে নিয়ে তথাকথিত শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জনাব এহেতেশাম হােসেন যােয়াদ্দার চুয়াডাঙ্গায় “ওয়াপদার” একজন ক্যাম্প অফিসার, স্থানীয় লােক পরিচয় হল অন্য এক স্থানে। বললেন পাক সামরিক কর্তৃপক্ষের ক্রমাগত হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে কিছু সরল প্রকৃতির বাঙালি কর্মী একদিন কাজে যােগদান করতে যায়। কিন্তু তার পর থেকে এদের আর কোনাে খরব পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের চাষবাসের অবস্থাও শােচনীয়! পাক সেনা কবলিত অঞ্চল বিশেষ করে যে রাস্তা দিয়ে পাকসেনা বাহিনী টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে তার ধারে কাছে ২/৩ মাইল অঞ্চলের মাঠ ফাঁকা পড়ে আছে কেউ চাষ করছে না। মুক্তাঞ্চল গুলােতে চাষ বাস হচ্ছে।
পাক সামরিক কর্তৃপক্ষ অবস্থা স্বাভাবিক বলে ঘােষণা করতে মাঝে মাঝে দু একটি লাইনে ট্রেন চালাচ্ছে, প্রথম দিকে নিরীহ গ্রামবাসী সেই ট্রেনে চাপতও, সেনারা তখন সেই ট্রেন মাঝপথে থামিয়ে লােকগুলােকে টেনে নামিয়ে লাইন বেঁধে দাঁড় করিয়ে মেসিনগান চালিয়েছে। ফলে এখন আর কেউ সেই ট্রেনে চাপে না বরং দূর থেকে ইঞ্জিনের আওয়াজ পেলেই আশে পাশের লােক সব ছুটে পালায় নিরাপদ জায়গার সন্ধানে।
খুলনার শিল্প সমৃদ্ধ অঞ্চল খালিশপুর এখনাে মৃত শহর। খুলনার দাদা ও ইস্পাহানীর দুটি ম্যাচ ফ্যাক্টরী খুলেছে, শ-পাঁচেক অবাঙালি শ্রমিক এ দুটি ফ্যাক্টরীতে এ পর্যন্ত যােগ দিয়েছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার লােককে নদীয়া জেলার শিকারপুর, গেদে, ২৪ পরগণার হাকিমপুর, বয়ড়া, ট্রোপােল, ঘােজাডাঙ্গা প্রভৃতি সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে পঃ বাংলায় ঢুকতে দেখেছি।
যশােহর সেক্টরের কোনাে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল এই মুক্তিফৌজের একজন ক্যাপটেন শফিকউল্লা সাহেবের সঙ্গে। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রফেসর ছিলেন তিনি বল্লেন জানেন জীবনে আমি রাজনীতিকে সব চাইতে বেশি ঘৃণা করতাম আর আজ সেই রাজনীতিই আমার ছেলে, বৌ, মেয়ে STAIRCA CPCS PACIO | Now I will fight till death to free my country Bangladesh from enemy. ভদ্রলােক জানেন না আজ তাঁর পরিবার পরিজন কোথায়। জিজ্ঞেস করলেন পঃ বাংলার শরণার্থী শিবিরগুলাে তাে দেখছেন। কোথাও কি একটি সুন্দরী যুবতী বৌ, মেয়ে দেখতে পেলেন?-না আমি তা পাইনি। জানালাম। ভদ্রলােক তখন বেশ খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন- Am I to believe that there was no beautiful lady in any family? কোথায় তারা গেল? ওদের আসল উদ্দেশ্য বাংলার মাটি আর বাঙালি ঘরের সুন্দরী বৌ, ঝি। বােধ হয় নিজের কোনাে পরিজনের মুখটি ভেসে উঠেছিল বললেন যদি সেই সব হতভাগিনীদের ওরা মেরে ফেলে থাকে তবুও না হয় নিষ্কৃতি পাবে কিন্তু যদি পশুগুলাে ভােগ করে ছেড়ে দেয় তখন এই সব মেয়েদের নিয়ে কে ঘর করতে চাইবে বলুন-তখন হয়তাে ওদের কাছে পৃথিবীর প্রাচীনতম ব্যবসাটাই…।
মুক্তিযুদ্ধের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণ করে ক্যাপটেন শফিকউল্লা সাহেব বললেন Present situation is in grip, but we will recover very soon. একটু এগিয়ে যান আমাদের একটা রিক্রুটমেন্ট সেন্টার আছে। দেখতে পাবেন বাংলাদেশের শত শত যুবক মুক্তিফৌজে যােগদান করার জন্য প্রতিদিন লাইন দিচ্ছে।
এমন একটি সুযােগ যাতে না হারাতে হয় তাই তাড়াতাড়ি পা বাড়ালাম সামনের দিকে। কিন্তু রিক্রুটমেন্ট সেন্টারে এসে একটু হতাশ হলাম। অফিসের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনৈক নেতা ছিলেন, শুনলাম আজকের মতাে রিক্রুট বন্ধ। জানতে চাইলাম এ পর্যন্ত যােগদানকারীর সংখ্যা কত হবে। সংক্ষেপে উত্তর ‘অনেক। মন ভরল না তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম দয়া করে সংখ্যা বলুন। দ্রলােক কিছুক্ষণ চুপ করে আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকলেন, কী ভাবলেন জানি না হয়তাে আমি তার কথাটা পুরােপুরি মেনে নিতে পারছি না এমন কিছু। তারপর একটু হেসে বলেন “আমি তােক দিচ্ছি যান দেখে আসুন, ওরা খাচ্ছে।” এখন ভাবছি সে দিন না গেলে আমি কি জিনিস হারাতাম। একদল ছেলে লাইন দিয়ে খেতে বসেছে। দাঁড়িয়ে আছে আরও অনেকে। আমার সঙ্গীটি যশাের জেলার একটি মহকুমার ছাত্রলীগ শাখার প্রাক্তন সভাপতি, এখন মুক্তিফৌজে। বললেন ওরা সবাই দাঁড়িয়ে আছে এদের খাওয়া হয়ে গেলে পরে ওদের থালা ধুয়ে ওরা খেতে পারবে। খাওয়াও কী? সকালে একমুঠো শুকনাে চিড়ে খেয়ে ট্রেনিং-এ যেতে হয়, এসে চাল ডালে মিশিয়ে প্রস্তুত এক ধরনের খাদ্য। কুষ্টিয়া, যশােহর, খুলনা সেক্টরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিফৌজের ট্রেনিং ক্যাম্পে এই একই দৃশ্য দেখেছি। অনেক কিছু প্রয়ােজনীয় জিনিশ যেমন কেডস স্যু, থালা, জল খাবার মগ, পােশাক এর অভাব। কেউ এসেছে খালি পায়ে কেউ বা লুঙ্গি পরে গেঞ্জি গায়ে কেউ বা এসেছে জামা গায়ে। এদের অনেকেই তাদের বাড়ি ঘরের খবর বাবা, মা, ভাই, বােনের খবর জানে না।
এক ক্যাম্পে একজন ছাত্র বন্ধু বললেন “আপনারও কিছু খাওয়া হয়নি, চলুন না বসবেন আমাদের সাথে।” এটা আমার সৌভাগ্য, বারণ করলে ওদেরই ছােট করা হত তাই বসে খেলামও। কিন্তু বন্ধুটির আপশােস, নিশ্চয়ই আপনার খুব খারাপ লাগছে? আমি উত্তর দিলাম “মােটেই না।” সীমান্ত পেরিয়ে এপার বাংলার কোনাে একটি শরণার্থী শিবিরের কাছ দিয়ে যখন আসছিলাম দেখতে পেলাম দশ বারাে বছরের গুটি কয়েক ছেলে রাস্তার ধারে খেলছে আর ছড়া কাটছে—বড় হলে কি হ’ব। বড় হলে মুক্তিফৌজ হ’ব। মুক্তিফৌজ হয়ে দেশ স্বাধীন করব। কোনাে দেশ স্বাধীন করব। বাংলাদেশ স্বাধীন করব।”
থমকে গেলাম। রিক্সাওয়ালাকে বললাম ভাই দাঁড় করাও তাে রিক্সাটা একটু। এগিয়ে গেলাম ওদের কাছে জিজ্ঞেস করলাম এ কথা তােমরা কোথা থেকে শিখলে -কে শেখালাে? বলল ঐ শিখিয়ে দিয়ে গেছে একজন নাম জানি না। জানতে পারিনি কে ঐ ছড়াটির রচয়িতা, তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটা আশাব্যঞ্জক চিত্র যেন মুহূর্তে আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল।
মনি-মৈত্র

সূত্র: কম্পাস, ২৯শে মে ১৯৭১