You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.11.27 | বাংলাদেশ ও মুসলিম সমাজ | কম্পাস - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশ ও মুসলিম সমাজ

মহাশয়,
কম্পাস পত্রিকার ৭ই আগস্ট সংখ্যায় বাংলাদেশ ও মুসলিম সমাজ’ শিরােনামায় শ্রীপ্রশান্ত বসুর চিঠি পড়লাম, দেশ পত্রিকাতে (১৭। ৭। ৭১) শ্রী হীরেন্দ্র নাথ দত্তর প্রবন্ধের প্রতিবাদে। আপনারা এই চিঠি ছাপিয়ে খুবই ভাল করেছেন, কারণ শ্রীহীরেন দত্তর বক্তব্যের প্রতিবাদ হওয়া প্রয়ােজন এবং আলােচনাও।
ভারতীয় জনমতকে বিভ্রান্ত করার জন্য আমরা ভারতীয়রা ইয়াহিয়ার পক্ষে অত্যন্ত ভালাে প্রচার কার্য চালিয়েছি, যার জন্য পাকিস্তান আমাদের ধন্যবাদ দেবে। শ্রীহীরেন দত্তর লেখাটি সেই পর্যায়ের। প্রবন্ধটি ভারতীয়দের বিশেষ করে একদল হিন্দুদের ভণ্ডামির একটি টিপিক্যাল নিদর্শন। আমাদের অনেকের মধ্যে যে একটা Holier than thou,” মনােভাব আছে, সেই মনােভাবই ওই প্রবন্ধের মধ্যে প্রকট। বাংলাদেশের ঘটনায় ভারতবর্ষই হলাে সুসভ্যতম দেশ, এই রকম মিথ্যা বড়াই, খেলাে হাততালির লােভে একমাত্র আমরাই করতে পারি। কিন্তু এটাও প্রমাণ করা চলে যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের কার্য কলা” সবচাইতে লজ্জাকর।
শ্রীহীরেন দত্ত তাঁর প্রবন্ধে এমন ভাব দেখিয়েছেন যেন হিন্দুরা সব ধােয়া তুলসী পাতা আর মুসলমানদের বাংলাদেশের ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। এই যুক্তিকে আরও বাড়িয়ে আমি যদি বলি হিন্দুদের যুগ যুগ সঞ্চিত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়েছে শত শত বছরের গােলামী করে ও পরে নিজেদের দেশ বিভক্ত করে এবং আজ স্বাধীন হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়ার সব দেশের নিকট যেচে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য অবজ্ঞা অর্জন করে, তা হলে হীরেন বাবু কী বলবেন?
আমার মতে, ভারত সরকারের শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া মােটেও ভারতীয়দের মানবিকতা বােধের জন্য নয়। একেবারে নিতান্ত স্বার্থপর মনােভাবের জন্য। “গরিবী হাটাও” ধূয়াে তুলে নির্বাচন জেতার পরে, যখন জনসাধারণ ওই ভুয়াে স্লোগানে হতাশ বােধ করতে শুরু করেছিল, তখনই এল শরণার্থীদের জোয়ার। আমরা একটা ছুতাে পেলাম দেশবাসীদের বােঝানাের জন্য, যে পাকিস্তানিদের দুষ্টামিতে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী দিয়ে আমরা “গরিবী হাটাও” আর করতে পারলাম না। এই ত অমূল্য সুযােগ। তাই নয় কি?
সলিল ঘােষ
অবৈতনিক যুগ্ম সম্পাদক
বাংলাদেশ সহায়ক কমিটি।

মানকাচরের অবস্থা
আগেকার সে মানকাচর আর নেই। লােকে লােকারণ্য। রাস্তাতে পিলপিল করে সারে সারে লােক চলছে তাে চলছেই। গাছের নিচে কারাে খালি ঘর বারান্দা কিছু খালি নেই। লােক আর লােক। যেমন দুঃখ লাগে এদের অসহায় অবস্থা দেখে তেমনি সহ্য হয়ে গেছে। এত লােকের মাঝখানে কী করে যে দিন যাচ্ছে। কলেরা হয়ে প্রচুর মারা যাচ্ছে এত সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও। বাজারের খােলা জিনিস মাছ সব খাওয়া বন্ধ। ডি. ডি. টি ব্লিচিং পাউডার ভেক্সিনেটরের ছড়াছড়ি তবু লােক মরছে। কী হবে ভবিষ্যতে এদের?
এত দুঃখের মাঝেও শুভ সংবাদ দিই। গত ১৬ই আগস্ট সকাল ৬টা থেকে সীমান্তের ওপারে মুক্তিবাহিনী ও পাক বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এক নাগাড়ে কামান ও মর্টারের দুম দুম আওয়াজ এপার সীমান্ত মানকাচরে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর শােনা গেল মুক্তিবাহিনী শত্রুপক্ষের সৈন্যদের এক চরে ঘেরাও করে তাদের তিনটে কামান ও গুলি গােলা ভর্তি লঞ্চ দখল করেছে। এই দুম দুম্ শব্দের মাঝেই মানকাচরের বহু দিনের আকাঙ্খিত চেষ্টার ফল নতুন কলেজের উদ্বোধন হয়ে গেল।
এতদিন এই উঠতি ছােট (না শহর না গ্রাম যার শতকরা বেশির ভাগ লােক শিক্ষিত) মানকাচরে কোনাে কলেজ ছিল না অথচ এখানকার হাইস্কুলের Result সমস্ত আসামের মধ্যে বেশ গর্বের বিষয়। মানকাচর সম্বন্ধে আসাম সরকারও উদাসীন। এখানকার ছেলেমেয়েদের মেট্রিক পাস করার পরেই বাইরে কোথাও পড়তে যেতে হয় আবার হয়ত কারাে পড়ার ইচ্ছা আছে, পড়াশােনাতে ভালাে শুধুমাত্র আর্থিক সংগতির জন্য পড়া হলাে না। এই অসুবিধা দূর করার জন্য স্থানীয় MLA ও জনসাধারণের অক্লান্ত চেষ্টার ফলে এবার নতুন কলেজের সূচনা হলাে। ১৬ই আগস্ট ৮টায় কলেজের উদ্বোধন করলেন স্থানীয় MLA জনাব জহিরুল ইসলাম।
সৌভাগ্যের কথা যে কটা বিষয় নিয়ে (শুধুমাত্র আর্টস) কলেজের প্রতিষ্ঠা করা হলাে তার সব অধ্যাপক ও অধ্যাপিকা স্থানীয় মানকাচরের বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল তাঁদের যথেষ্ট ভালাে। ছাত্রছাত্রীও স্থানীয়।
আমাদের দীর্ঘদিনের এক অসুবিধা থেকে মুক্ত হলাম আমরা। সব জনসাধারণের অনেক সাধের সাধনা এই কলেজ। তার উন্নতি কামনা করি আমরা এবং ভবিষ্যত ফলাফল খুবই শুভ হবে এটাও মানি।
রেখা আহমেদ
মানকাচর

ইউরােপের চিঠি
প্রবাসী বাঙালিরা একটা বিষয়ে নীরবে আশ্চর্যান্বিত হইতেন। যে আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশ, মুক্তিবাহিনী এবং উপমহাদেশে মহত্তম বিপ্লবের সৃষ্টি সেই আওয়ামী লীগের নাম নিশানা বিলাতে নাই। অথচ এতদেশীয় ১৫ আনা বাঙালি মুজিব ভক্ত এবং আওয়ামী লীগপন্থী। মঙ্গলবার, ২৪শে আগস্ট সন্ধ্যায় সেই বিস্ময়ের অবসান ঘটিল। সমগ্র ব্রিটেনের আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সম্মেলনে ওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হইল। ঐতিহাসিক কারণে এই কমিটির সভ্যদের নাম প্রকাশিত হওয়া প্রয়ােজন। সভাপতি : জনাব গউস খান। সহ-সভাপতি : জনাব নাসের আলি।
প্রধান সচিব – জনাব তাইবুর রহমান। সংগঠন সচিব :- জনাব বদরুল হােসেন তালুকদার। শ্রম সচিব : অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। জন সংযােগঃ জনাব জগলুল পাশা। কোষাধ্যক্ষ :- জনাব আবদুল যমিদ। দপ্তর সচিব :- জনাব মহম্মদ ইশাক। পাকা দপ্তর ঠিক না হওয়া অবধি ২১, রমিলি স্ট্রীট। লণ্ডন, পশ্চিম ১। লীগের কার্যকেন্দ্র।
এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে যে আপাতত যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ােজিত করিবে। ইহা ছাড়া দেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র “জয় বাংলার প্রচারের ভার গ্রহণ করিবে। লীগের অন্য দুইটি পরিকল্পনা হইল ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের জন্য (১) বাংলার অতীত ও সাম্প্রতিক ইতিহাস (২) স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনের রূপ লইয়া দুইটি চলচিত্র প্রস্তুত করা।
নৃপেন্দ্রনাথ ঘােষ
লন্ডন।

অনুপ্রবেশকারী
মহাশয়,
বাংলাদেশে যে মুক্তিসগ্রাম চলছে, বাংলাদেশের বীর মুক্তিযােদ্ধারা যে অসম সাহসিকতার সঙ্গে পাকফৌজের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বত্র সগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, পাক বেতার সেটা মােটেই স্বীকার করছেন না। তাদের মতে কিছু হিন্দুস্থানের (অর্থাৎ ভারতের) অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে পাকফৌজের লড়াই চলছে। এমনকি ঢাকা শহরে যে মুক্তিযযাদ্ধারা অপূর্ব কৌশলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারাও নাকি ভারত থেকে অনুপ্রবেশকারী কিছু দুষ্কৃতকারী।
অথচ ঢাকাস্থিত বিদেশী সাংবাদিকদের দ্বারা প্রেরিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে ঢাকা শহরের ২০/৩০ মাইলের মধ্যেই মুক্তিযােদ্ধারা অবাধে তাদের সগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি প্রকাশ্য দিবালােকেই তাদের গতিবিধি অব্যাহত। এবং উক্ত রিপোের্টারদের মতে স্থানীয় জনসাধারণের অধিকাংশই মুক্তিযযাদ্ধাদের সমর্থক। বিদেশী সাংবাদিকদের মতে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ মুক্তিযযাদ্ধাদের কবলে রয়েছে এবং বাকী অংশও পাকসরকারের কোনাে সত্যিকার অধিকার নেই। প্রায় সর্বত্রই বাংলাদেশের জনসাধারণ সেই মুক্তির দিবসের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিদেশী সাংবাদিকদের প্রেরিত সংবাদের বহু আগে থেকেই আকাশবাণী ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রত্যহই মুক্তিযােদ্ধাদের গেরিলা সগ্রামের বিবরণ শুনিয়ে আসছেন। কিন্তু অনেকেই (বিশেষ করে বিদেশের জনসাধারণ) এটা বিশ্বাস করতে চাইতেন না। এমনকি বিদেশী বেতার কেন্দ্রগুলােও সংবাদ পরিবেশনের সময় আকাশবাণীর খবর বলে প্রচার করতেন। কিন্তু এখন বােধ হয় সময় এসেছে যখন তাদের এই ধরনের প্রচারের সংশােধন প্রয়ােজন।
এখন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী এতখানি শক্তি সঞ্চয় করেছেন যে তারা গেরিলা পদ্ধতি পরিত্যাগ করে পাকসেনার সম্মুখ সমরে নেমে পড়েছেন কুমিল্লা যশােহর প্রভৃতি স্থানে তারই নিদর্শন মিলছে। কিন্তু পাক প্রচার যন্ত্র এখনও তাদের সেই অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যাটি ছাড়তে পারছে না। বিখ্যাত আমেরিকার নিউজ উইক’ সাপ্তাহিক পত্রিকার ভাষ্যকার মন্তব্য করেছেন যে পাক রাষ্ট্রনায়করা ভিয়েনামের লড়াই থেকে কিছুই শিক্ষা গ্রহণ করেননি। স্বাধীনতা স্পৃহাকে গুলি করে মারা যায় না।
পাকিস্তানের বর্তমান সামরিক সরকার বােধ হয় অস্ত্রবল ছাড়া আর কোনাে শক্তির অস্তিত্বকে স্বীকার করতে চান না। কারণ তা হলে সামরিক ব্যক্তিদের গুরুত্ব অনেকখানি কমে যায়।
ব্রিলােক বিহারী ভঞ্জ
২৪ পরগণা

যুদ্ধপর্ব ও কর্মকাণ্ড

মহাশয়,
কম্পাসের গত ৬ই নভেম্বরের সংখ্যায় সম্পাদকীয়তে আপনারা এই সম্বন্ধে যে মূল্যবান ও অতি প্রয়ােজনীয় অভিমত ব্যক্ত করেছেন তা সর্বোতােভাবে পালনীয় ও সমর্থনীয়।
শুধু সীমান্তে সেনাবাহিনীর দ্বারা কাজ হতে পারে না। আভ্যন্তরীণ আর্থিক উন্নয়ন, পরিচ্ছন্ন প্রশাসন, দুর্নীতির নির্বাসন ইত্যাদির মধ্য দিয়েই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ জোরদার করা সম্ভব।
দুঃখের বিষয় এই একান্ত জরুরি অবস্থাতে শেষােক্ত আবশ্যিক বিষয়গুলাের পরিচয় কর্মক্ষেত্রে প্রায় অনুপস্থিত। এক একটি জাতীয় সঙ্কট এক শ্রেণীর মুনাফাখখারের কাছে তাদের মহেন্দ্রক্ষণ” নিয়ে আসে এবং সরকার উপযুক্ত দৃঢ়তার সহিত তার মােকাবিলায় অসমর্থ হন। অতীত সঙ্কটে এই অভিজ্ঞতা দেখা গিয়াছে এবং বর্তমানেও সেই খেলা পুনরানুষ্ঠানের আশঙ্কা আছে। নিত্যব্যবহার্য জিনিসের একটি কৃত্রিম অভাব সৃষ্টির সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে। শহর গ্রাম গঞ্জে এই সব পুরানাে খেলােয়াড়দের তৎপরতা বিশেষভাবে দৃষ্টিগােচর হচ্ছে। আমলা প্রধান প্রশাসনিক মহল ওতে নিজেদের আর্থিক স্বার্থেই পরােক্ষ মদদ দানে রত এ কথা বললে অন্যায় হবে না।
আজ পাঁচ দিন ধরে লক্ষাধিক প্রচারিত পঃ বাংলার কাগজ বন্ধ। যে সময়ে সংবাদ সরবরাহ একান্ত প্রয়ােজন সে সময়কেই ওরা মুনাফা-লুণ্ঠনের উপযুক্ত মুহূর্ত বলে বিবেচনা করলেন! অজুহাতের অভাব হয়নি। ওদের দুই পয়সা ট্যাক্সের দাম বাড়ালেন ছয় পয়সা। ধুয়া তুলতে বিলম্ব হলাে না। কোনাে ট্যাক্স না বসিয়ে ওরা গত পাঁচ বছরে দাম কম চাপান নাই এখন তাে ট্যাক্সের নামে সাতখুন মাপ! পঃ বাংলার এই কয়টি বৃহৎ কাগজের একচেটিয়া মালিকদের দেশপ্রেম ও সমাজপ্রেমের তুলনা সত্যিই নেই। এই দিকপাল দেশসেবক মালিকদের দুই পরিবার বিরুদ্ধ কংগ্রেসী (তাও আবার নেতৃস্থানীয়) আর এক পরিবার নিজেদের জাতীয়তাবাদের যােগ্যতম উত্তরাধিকারের দাবীদার!
এই অতি লােভী সঙ্কট সৃষ্টিকারী লক্ষপতিদের জন্য কি কোনাে পি. পি. এক্ট নেই? ডায়াস সাহেবরা শুরুতে ন্যায্য কঠোরতা রক্ষা না করতে পারলে শুধু কেরানী ছাঁটাইয়ে পরিচ্ছন্ন প্রশাসন আসবে না। বিপদ যদি সত্যিই আসে ঐ শ্রেণীর সুবিধাবাদী পরগাছাই সর্বাগ্রে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করবে-গরিব সাধারণ মানুষ নয়।
মালিকদের এই হাঙ্গর মার্কা সমাজপ্রেমের বিরুদ্ধে হকার সমিতি দাঁড়িয়েছেন। এই বিষয়ে তাঁদের স্বার্থ অপেক্ষা পাঠক তথা দেশের স্বার্থ অধিকতর। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের সক্রিয় সমর্থন তাঁদের পেছনে থাকা উচিত।
পঃ বঙ্গে নব কংগ্রেসী মহলের একাংশ (ইতােমধ্যে ভিন্ন কারণে এক সংবাদ পত্র মালিকের সহিত যাদের সংঘাত হয়েছে) এই সম্বন্ধে কী বলেন? এই আত্মসর্বস্ব বর্ণচোরা দেশপ্রেমিকদের নেতৃত্বে বা সহাবস্থানে তারা কি সমাজতন্ত্র ও সুস্থ প্রশাসন আনয়নে আশা রাখেন?
কালীপদ রাউৎ
বীরভূম

সূত্র: কম্পাস, ২৭শে নভেম্বর ১৯৭১