আমাদের পত্রিকাসমূহ
মহাশয়,
বাংলাদেশের মুক্তির আগের সপ্তাহে কোলকাতার বৃহৎ সংবাদপত্রে “আনন্দবাজার” ও “যুগান্তর” সগর্বে প্রচার করেছিলেন যে মুক্ত বাংলাদেশে প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভারত গভর্নমেন্টের অ্যাডিশন্যাল হােম সেক্রেটারী বি, আর গুপ্তর তত্ত্বাবধানে ২৫/৩০ জন আই এ এস অফিসার যাবেন। এই সংখ্যার হিসেবে মনে হচ্ছিল যে প্রতি জেলায় ও সেক্রেটারীয়েটে এই অফিসাররাই আসল কর্তা হবেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সােজাসুজি এই সংবাদকে শত্রু পক্ষের প্রচার বলে অভিহিত করেন।
গতকাল ২২/১২/৭১ তারিখে গভর্নমেন্ট সাফ জবাব দিয়েছেন যে অসামরিক শাসন প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকার কোনাে অযাচিত উপদেশ, বাংলাদেশ গভর্নমেন্টকে দেবেন না, ভারত গভর্নমেন্টের উচিত হবে সংবাদ পত্রের ভারতীয় সাংবাদিকদের একটু সংযত করা। মুক্তি বাহিনীর হাত থেকে অস্ত্রাদি উদ্ধার সম্বন্ধে ভারতীয় সাংবাদিকরা তাদের মন্তব্যে অত্যন্ত উৎসাহী। এঁদের অজুহাত যে মুক্তি বাহিনীর লােকেদের অস্ত্রাদি ভারতে অবাঞ্ছিত লােকজনদের হাতে আসতে পারে। ভারত গভর্নমেন্ট নিজেদের এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করবেন। সে জন্য সাংবাদিকদের অন্য স্বাধীন সার্বভৌম গভর্নমেন্টকে উপদেশ দেওয়া ধৃষ্টতা।
কোলকাতার সংবাদপত্র কাদের ইঙ্গিতে আই, এ, এস, পাঠানাের ট্রায়াল বেলুন সংবাদটি সৃষ্টি করেছিল সহজেই বােঝা যায়।
প্রশান্ত চৌধুরী
কলি-১২
সূত্র: কম্পাস, ৮ই জানুয়ারি ১৯৭২