You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে কম্পাসের দিগদর্শন

[১৯৬৪ সালে কম্পাসের অভ্যুদয় ঘটে। ঐ বছরই ১২ই ও ১৩ই জানুয়ারি পূর্ব বাংলায় এক দাঙ্গা ঘটেছিল। সেদিন “পূর্ববঙ্গে দাঙ্গার বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াও” বলে দাঙ্গার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘােষণা করেছিলাে তদানীন্তন পূর্ববঙ্গের পত্র-পত্রিকাগুলাে—আত্মবিসর্জন দিয়েছিলেন আমীর হােসেন, কাজী রউফ, এমদাদ খাঁ, আরও অনেকে। সে সময় পূর্ববঙ্গের এক বিখ্যাত সংবাদপত্রের চীফ রিপাের্টার আমাদের বলেছিলেন-“আমাদের সব চাইতে বড় অসুবিধা কি জানেন, এখনও ইসলাম বিপন্ন বলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। আর স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহল এই সুযােগ কাজে লাগায়। অবশ্য আমাদের মনােভাবেরও পরিবর্তন হচ্ছে—আর এরা তার জন্য ভয় পাচ্ছে।”]
১৯৬৪ সালের ঐ দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বাংলার যুব ছাত্র ও বুদ্ধিজীবী সমাজে এক নতুন মানসিকতার সূত্র যা ছিল হারানাে তার সন্ধান পাই। তাই আমাদের প্রথম বছরের (১৯৬৪) চতুর্থ সংখ্যায় বলেছিলুম-“স্বাধীন গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতান্ত্রিক পূর্ববাংলা”-র কথা। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলুম-“সেখানে দুর্যোগপূর্ণ রাত্রিশেষে মানবতার মহান সূর্যোদয় দেখা দেবে। এটা স্বপ্ন নয়, এইটাই সত্য।”
তারপর কেটে গেছে কয়েকটা বছর। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ-এর পর পূর্ব বাংলায় পট পরিবর্তন হল। ঐ দিন চলল পশ্চিম পাকিস্তানিদের সারা পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতিকে উৎসাদন করার সর্বজনীন মারণ পর্ব। ঐ মারণ-যজ্ঞের মাঝে জন্ম নিল অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর (১৯৭১) এক নতুন জাতি নতুন দেশ।
১৯৬৪ সালে ঢাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অব্যবহিত পরে কম্পাসের পক্ষ থেকে শ্রীশকুন্তল সেন বহু বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় যান। তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ‘পাকিস্তান ঘুরে এলাম’ কম্পাসে প্রকাশিত হলে এখানে আলােড়ন সৃষ্টি করেছিল। ১৯৭১ সালেও শ্রীশকুন্তল সেন গিয়েছিলেন বাংলাদেশে এবং ঔ ঘূর্ণাবর্তে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর ধারাবিবরণীও কম্পাসে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন শ্রীঅসিত ভট্টাচার্য। শ্রীশকুন্তল সেনের ‘পাকিস্তান ঘুরে এলাম’ পুস্তিকা বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। Appeal to the Indian Muslim ও কম্পাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এবং বাংলাদেশের নির্বাচনের পরেই প্রকাশিত হয়েছিল শ্ৰীঅসিত ভট্টাচার্যের Pakistan Election.—সম্পাদক

কম্পাস প্রস্তুতি সংখ্যা (১ম সংখ্যা) ১০ই ফেব্রুয়ারি ১৯৬৪ (সম্পাদকীয়)
নিরবধিকাল সৃষ্টি করে চলেছে অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতের অন্তহীন স্রোত। তাতে ক্ষণে ক্ষণে আবর্ত, আবার কখনাে কখনাে প্রচণ্ড অভিযােগ। এই নিরন্তর ধারায় বর্তমানটাকে বােঝাই দায়। অতীত নিয়ে নিরাপদ নিরলস বিচার-বিতর্ক করতে তেমন কোনাে অসুবিধা নেই, আর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা কল্পনা করতেও কষ্ট নেই, কিন্তু বর্তমান?
বর্তমানকে বােঝাই সম্ভব নয়, যদি অতীত ও ভবিষ্যৎ থেকে তাকে আলাদা করি। বর্তমানটা যেন দুই অনির্দিষ্ট ভাগে বিভক্ত পেছন থেকে অতীতের ঠেলা আর সামনে থেকে ভবিষ্যতের টান।
আবার বর্তমানকে সময় দেবে না। মুহূর্তে মুহূর্তে তার কতকটা অতীতে, বাকীটা ভবিষ্যতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে; আসছে আর একটি বর্তমানে আসছে আর যাচ্ছে কাউকে এতটুকু বসতে দেবে না। কেবলই আছে নিরন্তর তাড়া, চঞ্চল অস্থির হচ্ছে চিত্ত, আওয়াজ ওঠে এখনি নয়তাে কখনই নয়। ফলে, বর্তমান বিচিত্র রকমের ভয় ভাবনা উত্তেজনা সৃষ্টি করে চলেছে। মানুষকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে চাইছে, বিভ্রান্ত করে দিচ্ছে অতীত ও ভবিষ্যৎ ভুলে, মূল্যমূল্য, সত্যাসত্য-জ্ঞান বর্জন করে বর্তমান মুহুর্তের মধ্যেই মুখ খুঁজে যতটুকু পার নিঙড়ে নিতে চাইছে। কিন্তু পরক্ষণেই হতাশ হয়ে ভাবছে এই কি সব?
রবীন্দ্রনাথ তাই একবার বলেছেন উপস্থিতের গণ্ডীটা নিতান্ত সঙ্কীর্ণ, তার মধ্যে ভয়-ভাবনা দুঃখ কষ্ট সমস্তই প্রকাণ্ডতার ভান করে দেখা দেয়। বর্তমানে সেই নীচ পদার্থ যার ছােট মুখে বড় কথা। ভয় দেখাবার সে মুখখাস পরে, যেন আমরা মুহূর্তের কোলে নাচানাে শিশু। আজ উপস্থিত মুহূর্তে বাংলার ও ভারতের বর্তমানটাও এমনি ধরনের ভয়সল, বেদনাবিষ্ট, ক্ষুব্ধ। মনে হয় বুঝি আমাদের কোনাে ভবিষ্যৎ নেই। কিন্তু এটাও কেটে যাবে, কাটতে হবে আমাদের আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তা চলবে না।

সংবাদ পত্রের ভূমিকা
১২ই জানুয়ারি থেকে দাঙ্গা শুরু হয় এবং ব্যাপক হয় ১৩ই জানুয়ারি। ১৪ই জানুয়ারি থেকে পূর্ব বাংলার কয়েকটি কাগজ যেমন ইত্তেফাক, সংবাদ, পাকিস্তান অবজার্ভার দাঙ্গার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘােষণা করলেন। তাঁরা লিখলেন, “পূর্ববঙ্গে দাঙ্গার বিরুদ্ধে রুখিয়া দাঁড়াও।” উদ্ধৃত করলেন কায়েদে আজম জিন্না, সুরাবর্দীর বাণী, আবেদন করলেন শান্তির জন্য, দাবী করলেন সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দাঙ্গাকারীদের কঠোর শাস্তি। আর দাঙ্গার মধ্যেই বের হলাে সেই স্মরণীয় শান্তি মিছিল। আত্মবিসর্জন দিলেন আমীর হােসেন, কাজী রউফ, এমদাদ খা, আরও অনেকে। সরকার সংবাদপত্রগুলাের উপর ক্ষেপে গেল, শান্তি কমিটিকে অবৈধ ঘােষণা করল গ্রেপ্তার শুরু হলাে শুরু হলাে পুলিশের অত্যাচার। সংবাদপত্র প্রকাশ বন্ধ রইল। অথচ এই সংবাদ পত্রগুলােই ছাত্র ও যুব সমাজকে নিয়ে শান্তি কমিটি গঠন করে। এমন কি আজাদ পত্রিকাও দাঙ্গার বিরুদ্ধে লিখেছে।
একটি বিখ্যাত সংবাদ পত্রের চীফ রিপাের্টার আমাকে বলেছেন যে, বাঙালির বিরােধ বাধিয়ে ওরা মজা দেখছে আর ভাবছে ক্রমেই আমাদের শক্তি ক্ষয় হবে আর আমাদের শােষণ করবে। হিন্দুরা হয়ত থাকবে
না কিন্তু আমরা একবার ঐ অবাঙালি মুসলমানগুলাের সঙ্গে শেষ মােকাবিলা করব। ভদ্রলােকের মুখ চোখ রাগে থমথম করছিল। “আমাদের সব চাইতে বড় অসুবিধা কি জানেন, এখনও ইসলাম বিপন্ন বললে যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। আর স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহল এই সুযােগ কাজে লাগায়। অবশ্য, আমাদের মনােভাবেরও পরিবর্তন হচ্ছে—আর এরা তার জন্যই ভয় পাচ্ছে।”

কম্পাস, ১ম বর্ষ ২য় সংখ্যা ১৯৬৪
নব জাগ্রত ছাত্র সমাজ
পাকিস্তান ভ্রমণকালে একটা অপূর্ব জিনিস লক্ষ করেছি। নিরাশার মধ্যে একটা স্পষ্ট আশার লক্ষণ দেখতে পেয়েছি। সর্বত্র ছাত্র সমাজের একটা বিরাট প্রভাব। তাদের বক্তব্য স্পষ্ট, চিন্তায় একটা বৈপ্লবিক ভাবধারা কাজ করছে। আশ্চর্য হয়েছি যে, ধর্ম সংক্রান্ত ‘গোঁড়ামি ক্রমশ অবলুপ্তির দিকে। কাশ্মীরের এই পবিত্র কেশ সম্পর্কে এরা যে কিছুমাত্র চিন্তিত এটা মনে হলাে না। কাশ্মীর রাজ্য সম্পর্কে প্রত্যেকেরই কমবেশি দুর্বলতা রয়েছে এবং প্রয়ােজনবােধে যুদ্ধ করেও তারা কাশ্মীর নিতে অনিচ্ছুক নয়। ছাত্র সমাজের প্রতাপ ও প্রতিপত্তি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। পুলিশ এদের জন্য ভীত। অধ্যাপকরা এদের সমীহ করেন। সামরিক কর্তৃপক্ষ চিন্তিত ও শঙ্কিত। “ইসলাম বিপন্ন” এই প্রচারে এরা বিভ্রান্ত হচ্ছে না। পাল্টা প্রশ্ন করে, ইসলাম ধর্মের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব কি কেবলমাত্র পাকিস্তানের? পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলাের কি কোনাে দায়িত্ব নেই? সুতরাং স্বার্থ সম্পন্ন বক্তিদের ছাত্র সমাজকে বিভ্রান্ত করবার এই অস্ত্রটি এখন আর কাজে লাগানাে যাচ্ছে না। ঈদের সময় দেখেছি এরা আনন্দে মেতে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে। চট্টগ্রামের মৌলবী সফিউদ্দীন সাহেব এই অভিযােগ করেছেন যে, ছাত্ররা ধর্ম সম্পর্কে মাথা ঘামাচ্ছে না। এটা তাঁর কাছে একটা দুশ্চিন্তার কারণ।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা অপেক্ষা “বিশ্বশান্তি ও নিরস্ত্রীকরণ” সম্পর্কে এরা ভাবছে। এদের দুঃসাহস দেখে স্তম্ভিত হই, যখন দেখি সামরিক শাসকদের মুখের উপর সভা থেকে এই প্রস্তাব পাস করে, “গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ শাসনতন্ত্র।” জনৈক ছাত্র নেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, আমরা অনুভব করি যে, যদি এ ধরনের অনুষ্ঠানাদি নিয়মিত হয় তাহলে শিক্ষাকেন্দ্রে ছাত্রদের মধ্যে বাইরের কলুষিত আবহাওয়া প্রবেশ করবার সু পারে না।”
রাজনৈতিক চিন্তাধারা একটা বলিষ্ঠ পদক্ষেপে সুনির্দিষ্ট পরিণতির দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। পূর্ব পাকিস্তানে হাজার হাজার মানুষ রাজনৈতিক কারণে জেলে যায় এবং শাসকদের চণ্ডনীতি এদের সে পথ থেকে বিচ্যুত করতে সক্ষম হয়নি। ফরিদপুরের এককালে বিশিষ্ট ছাত্রনেত্রী এবং বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মী শ্ৰীমতী নাজমা বলেন, “হিন্দু-মুসলমান বিরােধ আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। প্রসঙ্গক্রমে, পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে পবিত্র শহীদ-দিবস উপলক্ষে (২১শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৪) পােস্টার পড়েছে “সকলের ভােটাধিকার চাই”-“সকল প্রকার রাজনৈতিক অধিকার চাই” -“এবডাে উঠিয়ে দাও”-(এবভাে’ অর্থাৎ রাজনৈতিক কর্মীদের রাজনীতি থেকে বাধ্যতামূলক অপসারণ) “সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করতে হবে”-“রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি চাই”-সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন আমাদের লক্ষ্য।” বলা বাহুল্য, ঐসব পােস্টারের নিচে কোনাে দল বা সংগঠনের নাম ছিল না।

বাঙালি-অবাঙালি বিরােধ
পূর্ব বাংলা ভ্রমণ কালে অনেক অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করেছি যে বাঙালি মুসলমানদের সঙ্গে অবাঙালি মুসলমানদের বিরােধ; বাঙালিরা অবাঙালিদের প্রতি একটা তীব্র বিদ্বেষ পােষণ করে। কারণটা অর্থনৈতিক এমন কথা না বললেও চলে। পূর্ব বাংলার মানুষেরা মনে করে যে, অবাঙালিরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্য তাে দখল প্রায় করেছেই উপরন্তু অন্যান্য পেশার দিকেও হাত বাড়িয়েছে। আমার ঢাকা অবস্থানকালে কয়েকটি ঘটনা দেখেছি সেখানে বাঙালি-অবাঙালি বিরােধ হাঙ্গামায় পরিণত হয়েছে। এমন কি বাঙালি ছাত্রদের মধ্যেও এই মনােভাব। ঢাকার কায়েদে আজম কলেজ” বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। কারণ, বাঙালি মুসলমান ছাত্ররা অবাঙালি ছাত্রদের ধরে প্রচুর ঠেঙ্গিয়েছে। ঢাকা শহরের ব্যবসা-বাণিজ্য শতকরা ৪০ ভাগ অবাঙালি মুসলমানদের হস্তগত! চট্টগ্রাম শহরেও একই অবস্থা। এমন কি বন্দরগুলােতেও অবাঙালিরা প্রবেশ করেছে। এতদিন পর্যন্ত পূর্ব বাংলার ব্যবসা-বাণিজ্য বেশির ভাগ ছিল বাঙালি হিন্দুদের। তারা চলে যাওয়ার ফলে বাঙালি মুসলমানদের লাভ তাে হয়ইনি উপরন্তু প্রভূত ক্ষতি হয়েছে। কারণ বাঙালি হিন্দুরা দেশের অর্থ দেশেই রাখত অবাঙালিরা উপার্জিত সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়। বাঙালিদের ক্রোধের এটাও প্রধান কারণ।
বাঙালি মুসলমানরা চায় যে হিন্দুরা যেন দেশ ত্যাগ না করে। হিন্দুরা যদি চলে যায় তাহলে পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে। এখন পূর্ব বাংলার মুসলমানদের সংখ্যা ৪,০৮,৯০,০০০ আর পশ্চিম পাকিস্তানের ৪,১৬,৬৬,০০০। পূর্ব বাংলায় হিন্দু রয়েছে আরও ৮৩,৮০,০০০ জন সুতরাং হিন্দুরা চলে গেলে তাদের অবস্থা হবে শশাচনীয়।
একটি কথা বলা প্রয়ােজন। আজকাল বাঙালিরা পূর্ব পাকিস্তান বলে না, বলে পূর্ব বাংলা। ভবিষ্যৎ-এর কোনাে ইঙ্গিত কি বহন করে আনছে?
এই আশা ও বিশ্বাস নিয়ে ফিরে এসেছি যে পূর্ব বাংলার ছাত্র সমাজের মধ্যে একটা বলিষ্ঠ যুক্তিবাদী চিন্তাধারা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে দানা বাঁধছে। আয়ুর শাহীর নিকট সেটা একটা প্রচণ্ড দুঃস্বপ্ন। উপায় না। দেখে হিন্দু-মুসলমানদের ঐক্যবােধ বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে।
শকুন্তল সেন
(পাকিস্তান ঘুরে এলাম)

সূত্র: কম্পাস

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!