You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.06 | কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, রংপুর শহর এবং শ্রীহট্ট, লালমনিরহাট বিমান বন্দর মুক্তিফৌজের দখলে | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিফৌজের বিচ্ছিন্ন ইউনিটগুলিকে ঐক্যবদ্ধ কম্যাণ্ডে আনার প্রয়াস
কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, রংপুর শহর এবং শ্রীহট্ট, লালমনিরহাট বিমান বন্দর মুক্তিফৌজের দখলে

মুক্তিফৌজের বিচ্ছিন্ন ইউনিটগুলিকে এখন একটি ঐক্যবদ্ধ কম্যাণ্ডে সংঘবদ্ধ করার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। আগরতলা থেকে ইউএনআই-এর সংবাদদাতা জানাচ্ছেন, এ হলাে পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের বাঙলাদেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য চূড়ান্ত সংগ্রামের প্রস্তুতি।
সােমবার একটার পর একটা জয়ের প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তুতি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিন তীব্র সংগ্রামের পর সিলেটের কাছে শালুডিকার বিমান বন্দরটি এবং কুমিল্লা শহরটি মুক্তি ফৌজ মুক্ত করেছে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে। রাঙ্গাই এবং ময়মনসিংহ থেকে পাক সৈন্যদের বিতাড়িত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সৈন্য ছাউনীতে অবরুদ্ধ পাক সৈন্যরা ব্যাপক অঞ্চল জুড়ে বিমান হামলার আড়ালে ছাউনী থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তিফৌজের ওপর প্রতিরােধের মুখে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এই সাফল্যের পটভূমিতেই বাঙলাদেশের সর্বত্র স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে সব মুক্তিফৌজের ক্ষুদ্র-বৃহৎ ইউনিট গুলি গঠিত হয়েছে সেগুলিকে সংঘবদ্ধ করে একটি ঐক্যবদ্ধ কম্যাণ্ডে আনার চিন্তা এবং কাজ শুরু হয়েছে।
রংপুরের মুক্তিসেনারা, দিনাজপুর এবং অন্যস্থান থেকে আগত মুক্তিফৌজের দ্বারা পুষ্ট হয়ে ওখানের পাক-সৈন্যদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে যে তীব্র সংগ্রাম বাঁধে তাতে উভয়পক্ষে বেশ কিছু হতাহত হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলা সম্পূর্ণ মুক্ত এবং মুক্তিফৌজের দখলে। এখান থেকে মুক্তিফৌজের সদস্যরা সিলেট অভিমুখে রওনা হয়েছেন, ওখানে পাকিস্তানী সৈন্যদের ওপর চরম আঘাত হানার উদ্দেশ্যে।
কলকাতায় পাওয়া সংবাদে প্রকাশ, চট্টগ্রাম, রংপুর এবং খুলনার বেতারকেন্দ্র গুলি এখন মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে। তবে কোন বেতার প্রচার হচ্ছে না। সম্ভবত পিছু হটা পাকসৈন্যরা যাওয়ার সময় যন্ত্রপাতি ধ্বংস করে গেছে।

সূত্র: কালান্তর, ৬.৪.১৯৭১