শাবাজপুরে ৫০ জন পাকসৈন্য ঘায়েল
শেরপুর ফেরীঘাট তেকে মুক্তিফৌজের অপসরণ :
মৌলভী বাজারে শত্রুসৈন্য
আগরতলা, ২৮এপ্রিল (ইউএনআই)- ব্রাহ্মণাড়িয়া এলাকায় শাবাজপুর দখলে জন্য পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিফৌজের সংঘর্ষ ঘটেছে বলে আজ সীমান্তের ওপার থেকে খবর এসেছে। মুক্তিফৌজের কিছু যােদ্ধা শহীদ হয়েছেন বটে কিন্তু ৫০ জন শত্রুসৈন্যকে এখানে ঘায়েল করা হয়েছে।
গত ৫ দিক ধরে শেরপুর ফেরীঘাটে তুমুল লড়াই করার পর যুদ্ধের কৌশল হিসাবে গতকাল গভীর রাত্রে শত্রুপক্ষের বিরাট ক্ষতিসাধন করে মুক্তিবাহিনী পাহাড় অঞ্চলের দিকে সরে গেছে। পাকবাহিনী আজ মৌলভী বাজার ঢুকেছে। শেরপুর ঘাটটি কুমিয়ারা নদীর উপর আখাউড়া ও শ্রীহট্টের মধ্যে এই ঘাটটিই একমাত্র যােগাযােগ পথ।
এদিকে মুক্তিফৌজ আখাউড়া কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে অকস্মাৎ পাকবাহিনীর উপর আক্রমণ চালিয়েছে বলে সীমান্তবর্তী সংবাদদাতাগণ জানিয়েছেন। রংপুরে পচাগড়ের কাছে মুক্তিফৌজ তাদের এই অঞ্চলের সদর ঘাঁটি স্থাপন করেছে।
দিনাজপুর ৪০ কিলােমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ফুলবাড়িল চতুর্দিকে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিফৌজের সংঘর্ষ ঘটছে।
কুমিল্লা অঞ্চলে মুক্তিফৌজ চলাচলের সমস্ত ব্যবস্থাই ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা নাগেশ্বরী ভুরগুমারী অঞ্চলেও একটি পুল ভেঙে দিয়েছে। এবং শাবাজপুরের কাছে তিতাস নদীর পুলটিও মুক্তিবাহিনী ভেঙে দিয়েছে।
পাক সেনাপতিদের ঢাকা আক্রমণ
আজ প্রাতে পাকসৈন্য বাহিনীর প্রধান জেনারেল হামিদ খান বিমানবাহিনীর চীফ এয়ার মার্শাল রহিম খা ঢাকার এসেছেন বলে পাক রেডিও থেকে বলা হয়েছে।
রেডিওতে আরও বলা হয়েছে যে, উক্ত সেনাপতিদ্বয় পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিগুলি পরিদর্শন করবেন।
দিনাজপুরের কিছু চীনা উপদেষ্টা এসেছেন বলে রায়গঞ্জ থেকে খবর পাওয়া গেছে।
চীনারা বেসামরিক পােষাকে এসেছেন এবং দিনাজপুর, পচাগড়, মগুরমারিও অন্যান্য স্থান তারা ইতােমধ্যেই পরিদর্শন করেছে।
সূত্র: কালান্তর, ২৯.৪.১৯৭১