বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গণে ১১৩ জন পাকসেনা হতাহত
মুজিবনগর, ৫ সেপ্টেম্বর (ইউএনআই) গত কয়েকদিনে বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর হাতে ১১৩ জন পাকফৌজ নিহত ও আহত হয়েছেন।
আজ এখানে প্রাপ্ত সংবাদ থেকে জানা গেছে যে ঐ সময়ের মধ্যেই মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৩২ জন রাজাকার ও ১৪ জন পুলিশ কর্মী নিহত হয়েছে এবং পাকসেনাবাহিনীর ৩টি নৌকা তারা ডুবিয়ে দেয়।
রংপুর, দিনাজপুর ও রাজশাহী রণাঙ্গনে মুক্তিযােদ্ধারা পাক সেনাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ২৮ জনকে খতম করে।
মুক্তিযােদ্ধারা পাকসেনা ছাড়াও ১৫ জন রাজাকারকে খতম করে এবং পূর্ব মানপুর অঞ্চলে মাইনের সাহায্যে শত্রু পক্ষের একটি ট্রাক উড়িয়ে দেয়। ফলে ট্রাকের ৬ জন পাক সেনা নিহত হয়। তারা পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ির মধ্যেকার রেলওয়ে ট্রাক ধ্বংস করে যানবাহন ব্যবস্থা বিকল করে দেয়।
কুষ্টিয়া-যশাের ও খুলনা রণাঙ্গনে সিতালাই এর কাছে ধার্মায় মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে পাক সেনাদের গুলি বিনিময়ে ১১ জন পাকসেনা নিহত হয়। তারা ধার্মায় টেলিগ্রাফ অফিস জ্বালিয়ে দেয়।
ঢাকা-কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম রণাঙ্গনে গেরিলাবাহিনী ঢাকার কাছে রূপগঞ্জে পাকসেনা বােঝাই তিনটি নৌকা ডুবিয়ে দেয় এবং চন্দ্রপুরে ৩০ জন, পাকসেনাকে খতম করে। গেরিলাবাহিনীর আক্রমণে শীতলক্ষা নদীতে ১টি নৌকা ও চন্দ্রপুরে ২টি নৌকা ডুবিয়ে দেয়।
ময়মনসিংহ, শ্রীহট্ট, মৌলভী বাজার রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনী ২১ জন পাক সেনাকে ও ২৮ জন রাজাকারকে খতম করে।
করম নর ও জুবি করলেখায় গেরিলা বাহিনী একটি শত্রু পক্ষীর ট্রাক ও জিপ গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ায় ১০ জন পাকসেনা খতম হয়। মাইন বিস্ফোরণ বিঘা অঞ্চলে ৩ জন পাক সেনা খতম হয়। নলিতা বাড়িতে ও গেরিলাদের আক্রমণে ১২ জন পাকসেনা নিহত হয়। ওখান থেকে গেরিলারা স্টেনগান ও রাইফেল উদ্ধার করে।
সূত্র: কালান্তর, ৬.৯.১৯৭১