মুক্তি সেনাদের ভয়ে নদীপথে পাক সেনাদের আতঙ্ক
আগরতলা, ২২ সেপ্টেম্বর (ইউএনআই) বাঙলাদেশে পাকিস্তানী হানাদার সৈন্যদের নদী পরিবহন এখন মুক্তিযােদ্ধাদের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। কারণ, পাকসৈন্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্থানান্তরে যেতে নদীপথের উপরই বেশি নির্ভরশীল।
সীমান্তের ওপার থেকে পাওয়া সংবাদ হচ্ছে, নৌবন্দর খাল ও প্রধান প্রধান ফেরীঘাটগুলিতে ক্রমেই পাকসেনাদের পক্ষে নিরাপত্তার অভাব ঘটছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর খুলনা এলাকায় মুক্তিসৈন্যরা একটি ব্যবসায়ী জাহাজের নীচে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জাহাজটির প্রচুর ক্ষতিসাধন করে।
কয়লা, ডিজেল তেল এবং রােলিং স্টকের অভাবে পশ্চিম পাকিস্তানীরা বাঙলাদেশের রেল ব্যবস্থা চালু রাখতে সক্ষম হচ্ছে না। দেশের উত্তরাংশে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ ও মুক্তিবাহিনী গেরিলা যােদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে ট্রেন সার্ভিস অচল হয়ে পড়েছে।
শ্রীহট্ট রণাঙ্গনে স্থানীয় অসামরিক বাসিন্দাদের আতঙ্কগ্রস্ত করার জন্য পাকিস্তানীরা প্রচুর ঘরবাড়ি পুলিয়ে দেয়। তবে জামালপুর ক্যাম্পের সৈন্যরা মুক্তিযােদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে শিবিরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর জয়ন্তীপুর এলাকার দু’পক্ষে প্রচণ্ড লড়াই চলে। মুক্তিযােদ্ধারা ময়মনসিংহ-এর নারুন্দি পােস্ট অফিস জ্বালিয়ে দেয় এবং দূর্গাপুর এলাকায় বেশ কিছু ইয়াহিয়া সৈন্য নিহত করে।
কুমিল্লা রণাঙ্গনেই ৫০ জন নিহত
কুমিল্লা রণাঙ্গনে ভারী মর্টার লড়াইতে মুক্তিযােদ্ধারা ৫০ জন পাকিস্তানী সেনা খতম করে। চট্টগ্রামেও ১৩ জন খান সেনা মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। গত ১১ ও ১৪ সেপ্টেম্বর ঘটনা দুটি ঘটে।
সূত্র: কালান্তর, ২৩.৯.১৯৭১