You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.19 | গত ১০ দিনে মুক্তিবাহিনীর হাতে ১২৫ জন পাকসেনা খতম : ১৯ জন জখম | কালান্তর - সংগ্রামের নোটবুক

গত ১০ দিনে মুক্তিবাহিনীর হাতে ১২৫ জন পাকসেনা খতম : ১৯ জন জখম
(স্টাফ রিপাের্টার প্রেরিত)

মুজিবনগর, ১৮ অক্টোবর— গত ১০ দিনের মধ্যে বাঙলাদেশের বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর হাতে ৫ জন রাজাকার দালালসহ কমপক্ষে ১২৫ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ৮২ জন রাজাকারকে তারা বন্দী করেছে।
বাঙলাদেশ মুক্তি বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেল, রংপুর-দিনাজপুর-রাজশাহী রণাঙ্গনে গত ১৬ অক্টোবর দিনাজপুর জেলার ভাওয়ালগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর মর্টার-এর গােলার আঘাতে ১৭ জন পাকসৈন্য ঘায়েল হয়েছে। রাতেই কারিয়ার কাছে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকফৌজের গুলি বিনিময় হয় এবং ১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য মারা যায়। বগুড়া জেলার হিলি ও পাচ বিবির মধ্যবর্তী রেলপথ উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসবার পথে মুরাদপুরে মুক্তিসেনারা পাকফৌজের সামনে পড়েন। প্রচণ্ড গুলি বিনিময়ের ফলে একজন ক্যাপ্টেনসহ ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এই ঘটনা ঘটে ১৬ অক্টোবর সকালে।
পূর্বাহ্নে, ১৩ ও ১৪ অক্টোবর পাঁচবিবির কাছে মুক্তিবাহিনী হঠাৎ হানা দিয়ে ৫ জন রাজাকার দালালসহ ১৬ জন শত্রুসৈন্যকে খতম করে।
১৩ অক্টোবর চক্রবেণীতে মুক্তিবাহিনী টহলদার পাকিস্তানী সৈন্যদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ৪ জনকে নিহত করে।
গত ১৭ অক্টোবর দিনাজপুরের কাছে ১০ জন রাজাকার মুক্তিবাহিনীর কাছে অস্ত্রশস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করে এবং ১৪ অক্টোবর কাসিয়াতে আত্মসমর্পণ করে ১২ জন রাজাকার।
ঢাকা-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রণাঙ্গনের বােগাবাড়ির কাছে মুক্তিবাহিনী ১২ অক্টোবর হঠাৎ আক্রমণ চালিয়ে ৪ জন পাকসৈন্যকে খতম করে। ১১ অক্টোবর মজুমদারহাটে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। গত ৯ অক্টোবর নােয়াখালি জেলার কালারবাজার মুক্তিবাহিনীর অনুরূপ আক্রমণে ১২ জন পাকসৈন্য নিহতও ৪ জন আহত হয়।
গত ৬ ও ৭ অক্টোবর চাদলাতে পাকিস্তানী ঘাঁটির উপর মুক্তিবাহিনী দুদফা আক্রমণ চালিয়ে ১৩ জন শত্রুসৈন্যকে নিহত ও ১০ জনকে আহত করে। ৮ অক্টোবর সাইসালা গ্রামের মুক্তিবাহিনীর একাধিক আক্রমণে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে।

সূত্র: কালান্তর, ১৯.১০.১৯৭১