You dont have javascript enabled! Please enable it! আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে দৃঢ় মত প্রকাশ করি- অলি আহাদ - সংগ্রামের নোটবুক

আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে দৃঢ় মত প্রকাশ করি১
অলি আহাদ

[পরিচিতি : অলি আহাদ (১৯২৮-২০১২) ভাষা-আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ১৯৪৮ সালের ভাষা-আন্দোলনের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য ও ঢাকা সিটি কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পরবর্তীকালে যােগ দেন পাকিস্তান যুবলীগে। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানের কারণে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ পুলিশি
—————
১. লেখাটি এম আর মাহবুরের ভাষাসংগ্রামের স্মৃতি গ্রন্থ থেকে সংকলিত।
—————-
নির্যাতনের শিকার হন এবং গ্রেপ্তার হন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভাঙার ব্যাপারে যাঁরা দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অলি আহাদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়।]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন বিজ্ঞানের অধ্যাপকদ্বয় আবুল কাসেম ও নূরুল হক ভূইয়া ধুমায়িত অসন্তোষকে সাংগঠনিক রূপদান প্রচেষ্টায় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান তমদুন মজলিস গঠন করেন। এ তমদুন মজলিসই মহান ভাষা আন্দোলনের গােড়াপত্তন করে। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ আহ্বায়ক নাইমউদ্দীন আহমদ, আবদুর রহমান চৌধুরী, আবদুল মহিন খান চৌধুরী, মােহাম্মদ তােয়াহা এবং আমি ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যা এবং মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা ইত্যাদি বিষয়ে আলােচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীনের সঙ্গে তাঁর বাসভবন বর্ধমান হাউজে সাক্ষাত করি। তিনি আমাদের এ মর্মে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সরকারি ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম এবং কেন্দ্রে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষা করা হবে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৭-এ আমরা তমদুন মজলিসের সভায় সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র শামসুল আলমকে আহ্বায়ক করে অর্থাৎ রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠন করি এবং ১১ মার্চ হরতাল, সভা ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস ঘােষণা করা হয়। ১১ মার্চ সাধারণ হরতাল আহ্বানের সংবাদ পত্রিকায় পাঠ করে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার নিমিত্তে শেখ মুজিবুর রহমান গােপালগঞ্জ হতে ১০ মার্চ রাতে ঢাকায় আসেন। সকাল নয়টা বাজার সঙ্গে-সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ এবং আমি সেক্রেটারিয়েট ভবনের প্রথম। গেটে উপস্থিত হই। তখনও সেক্রেটারিয়েটের কর্মচারীরা আসেননি। ইতােমধ্যে তরুণ জননেতা শামসুল হক কয়েকজন কর্মীসহ আমাদের সঙ্গে যােগ দিলেন। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, তিন থেকে পাঁচজন সেক্রেটারিয়েটের গেটগুলাের প্রত্যেকটিতে পিকেটিং করবে এবং এক গ্রুপ ধরা পড়লে পরবর্তী গ্রুপ পিকেটিং করবে। সকাল ৯.৩০ মিনিট থেকে ১০টার মধ্যে সেক্রেটারিয়েটমুখী কর্মচারীদের আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বাধা দিতে শুরু করলাম। সিটি এসপি আব্দুল গফুরের হুকুমে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠল।
ইংরেজ ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ মি. চ্যাথাম লাঠিচার্জের আদে দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে শামসুল হক ও তাঁর গ্রুপের কতিপয় কর্মী গ্রেফতার হলেন। এরপর শেখ মুজিবুর রহমান আরেক গ্রুপসহ গ্রেফতার হলেন। পুলিশবাহিনী অধৈর্য হয়ে উঠল এবং বেপরােয়া লাঠিচার্জ শুরু করল। আবদুল ওয়াদুদ ও আমি পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হই। পুলিশ আমাদের আহত অবস্থায়ই জিপে বস্তাবন্দি করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করল। পুলিশের আঘাত ও ধস্তাধস্তির সময় আমার হাতঘড়িটি উধাও হয়ে গেল। পুলিশের লাঠিপেটায় প্রায় জ্ঞানহারা অবস্থায় উত্তেজিত কণ্ঠে অ্যাংলাে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্জেন্টকে লক্ষ্য করে শাসিয়ে বলেছিলাম, ‘ক্ষমতায় আসিলে তােমাকে দেখাইয়া দিব।’
১১ মার্চ পুলিশ নির্যাতন ও আমাদের কারান্তরালে নিক্ষেপের ফলে সমগ্র ঢাকা নগরীর রাজপথ মিছিলে মিছিলে, বিভিন্ন ধ্বনি ও প্রতিধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ১৫ মার্চ খাজা নাজিমুদ্দীন সরকার রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। উভয়পক্ষ এক খসড়া চুক্তি প্রণয়ন করে। শেখ মুজিবুর রহমান ও আমি বন্দিদের পক্ষ থেকে খসড়া চুক্তির শর্তাবলি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমােদন করলাম।
চুক্তি মােতাবেক (১৫ মার্চ) বিকালে আমাদের মুক্তির আদেশ দেয়া হয়। মুক্ত হয়ে আন্দোলনে যাতে ফাটল বা অনৈক্য সৃষ্টি হতে না পারে সেজন্য আমরা ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলায় এক সাধারণ ছাত্রসভা আহ্বান করি। এই সভা থেকে বিক্ষোভ মিছিলসহ আমরা পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদ ভবন (জগন্নাথ হল মিলনায়তন) অভিমুখে যাত্রা করেছিলাম। মিছিলের ধ্বনি ছিল “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” “উর্দুবাংলা ভাই ভাই” “বাংলার সহিত উর্দুর বিরােধ নাই”। কায়েদে আযম ২১ মার্চ রেসকোর্সে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে ভাষণদানকালে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘােষণা করলেন যে, “উর্দুই পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে এবং ভাষা আন্দোলন বিদেশি চক্রান্ত বিশেষ।” আমরা এই প্রতিবাদ জানাই। কায়েদে আযমের আমন্ত্রণে ২৪ মার্চ বিকালে সর্বজনাব শামসুল হক, নাইমউদ্দীন আহমদ, কামরুদ্দীন আহমদ, আজিজ আহমদ, শামসুল আলম, তাজুদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল কাসেম, মােহাম্মদ তােয়াহা এবং আমি রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে পূর্ববঙ্গ সরকারের চিফ সেক্রেটারি আজিজ আহমদের বাসভবনে (পরবর্তীকালে মিন্টু রােডস্থ গণভবন) এক বৈঠকে মিলিত হই।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকালে ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘােষণা করেন যে, উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে। প্রতিবাদ অব্যাহত থাকে। ( ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে নূরুল আমীন সরকার ঢাকা শহরে এক মাস মেয়াদী ১৪৪ ধারা জারি করে সভা ও শােভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরােপ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনার জন্য সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ওই তারিখেই রাত ৭ টায় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের ৯৪ নং নবাবপুর রােডস্থ অফিসে এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন আবুল হাশিম। সভাপতির অনুমতিক্রমে আমি আমার বক্তব্য পেশ করতে উঠি। বক্তৃতাকালে শামসুল হকের বর্ণিত যুক্তিগুলাের প্রয়ােজনীয় অংশের উত্তরদানের পর বললাম, বিনা অজুহাতে আমাদের পুনঃপুন ঘােষিত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেকে বানচাল করবার অসদুদ্দেশ্যেই সরকার ১৪৪ ধারা জারি করে। আমরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সরকারকে সমুচিত জবাব দেব। যা হয় হবে। সভায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করা প্রস্তাব হয়। প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আমি তৎক্ষণাত ‘না’ ‘না’ বলে প্রতিবাদ করলাম। প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভােট গ্রহণ করা হলে আমার সঙ্গে সর্বজনাব শামসুল আলম, সহ-সভাপতি, ফজলুল হক মুসলিম হল; আবদুল মতিন, আহ্বায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ; গােলাম মাওলা সহ-সভাপতি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ প্রস্তাবের বিপক্ষে অর্থাৎ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ভােট দান করেন। সভাশেষে সভাকক্ষ হতে বিমর্ষ মনে ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নিষ্ক্রান্ত হয়েই নবাবপুর রােডে জগন্নাথ কলেজের ছাত্র ও যুবলীগ কর্মী নিয়ামুল বশীরের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। নিয়ামুল ও তার সঙ্গীরা আমার অপেক্ষায় দাড়িয়েছিল। তাদের খুবই সুশৃঙ্খলভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি ভােরবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিলাম। গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক ও অনাবাসিক যুবলীগ কর্মীরা সদর দফতর ৪৩/১, যােগীনগরে আমার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। ইতােমধ্যে ঢাকার বিভিন্ন এলাকার নির্ভীক স্থির-প্রতিজ্ঞ দৃঢ়চেতা তরুণ যুবলীগের নির্দেশ জানতে, তারা সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্তে মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ। তাদের সঙ্গে আলােচনায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি গ্রহণ করি।
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার মধ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন প্রাঙ্গণে যাই। আমার উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ সাধারণ ছাত্র কর্মীবৃন্দ বিশেষত যুবলীগ নেতা ও কর্মীরা দ্বিগুণ উদ্যমে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। ফজলুল হক হলের পুকুরপাড়ে অনুষ্ঠিত ২০ তারিখ রাতের বৈঠকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল এম আর আখতার মুকুল সে কথা। আমাকে জানান। যুবলীগ নেতা মােস্তফা রওশন আখতারের প্রস্তাবক্রমে ও যুবলীগ কর্মী কমরউদ্দীন শহুদের সমর্থনে যুবলীগ নেতা গাজীউল হকের সভাপতিত্বে বেলা ১২টার দিকে সাধারণ ছাত্রসভা শুরু হয়।
এ-সময় আমি সভা হতে কয়েক গজ দূরে অবস্থিত মধুর ক্যান্টিনে বসা ছিলাম। সংগ্রামী কর্মীরা বক্তৃতা করে পাল্টা শক্ত জবাব দেবার অনুরােধ। জানালে আমি তাঁদের বুঝিয়ে বলি যে, আমি ১৪৪ ধারা ভাঙতে চাই। কিন্তু সেই সঙ্গে এও চাই যে সংগ্রাম পরিষদ অটুট থাকুক।
উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনবার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতেই অবশেষে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করে। পুলিশি হামলার মুখে ছাত্ৰসাধারণ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। কিন্তু অল্পকালের মধ্যেই আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের মধ্যবর্তী অনুচ্চ বাউন্ডারি প্রাচীর টপকে মেডিকেল হােস্টেলের প্রধান ফটকের নিকট আবার জমায়েত এবং সেখান থেকেই পূর্ববঙ্গ আইন পরিষদ ভবনগামী পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে আমাদের দাবি পেশ করতে থাকি। আমি মেডিকেল কলেজ হােস্টেলে চলে আসি। এদিকে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে, সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও সংগ্রামী ছাত্র বিক্ষোভকারীদের পারস্পরিক ইটপাটকেল বর্ষণের ফলে অবস্থা ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। এমনি ঘােলাটে পরিস্থিতিতে প্রয়ােজনীয় ধৈর্য, সহনশীলতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় না দিয়ে জেলা প্রশাসক কোরাইশী গুলি চালাবার নির্দেশ দেন। হােস্টেল গেট সংলগ্ন ১২ নং ব্যারাকের পাশে অবস্থানরত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এমএ ক্লাসের ছাত্র আবুল বরকত বুলেটবিদ্ধ হয়ে ভূতলে পতিত হন।
মেডিকেল কলেজের হােস্টেল হতে হাসপাতাল ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের গেটের সম্মুখের চত্বরে শামসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাত করি। সদ্য সংঘটিত মর্মান্তিক ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডে আমরা উভয়েই মর্মাহত। হৃদয় বিদারক পরিস্থিতি আমাদের উভয়েরই বাকশক্তি যেন হরণ করে নিয়েছিল। | ৭ মার্চ আমাদের গ্রেফতার দিবস। সন্ধ্যারাতে জনাব তােয়াহা ও আবদুল। মতিন আন্দোলন সম্বন্ধে আলােচনায় উপস্থিত ছিলেন এবং এই সভাতেই সর্বজনাব সাদেক খান, হেদায়েত হােসেন চৌধুরী, মুজিবুল হক ও মীর্জা গােলাম হাফিজের সঙ্গে আমি গ্রেফতার হই। স্বীয় বুদ্ধিমত্তার কারণেই জনাব কাজী গােলাম মাহবুব সভায় উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হয়।

সূত্র: ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব কতিপয় দলিল -ড. এম আবদুল আলীম