ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব : গবেষকদের মূল্যায়ন
ভাষা আন্দোলনের প্রথম থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়। ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ও ভূমিকা সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষক চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ এবং তাতে প্রত্যক্ষ-পরােক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেখ মুজিব কীভাবে এই আন্দোলনকে সফল করে তুলেছেন, তাদের মূল্যায়নে তার সবই উঠে এসেছে। এখানে কয়েকজনের মূল্যায়ন তুলে ধরা হলাে:
মুহম্মদ এনামুল হক
১৯৪৮ সালে প্রথম ভাষা আন্দোলন আরম্ভ হইলে ১১ মার্চ তিনি গ্রেপ্তার হন।… প্রকৃতপক্ষে বাংলার ছাত্র আন্দোলনের তিনিই প্রতিষ্ঠাতা।১
আনিসুজ্জামান
অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, রাষ্ট্রভাষা, নাগরিক অধিকার ও সুশাসনের মতাে বিষয়ে দেশবাসীর মধ্যে নানারকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। এসব সংশয় দূর করেই শুধু যথাযথ লক্ষ্যে যাত্রা শুরু হতে পারত। সেই সম্ভাবনা প্রথম দেখা দেয় ১৯৪৮ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। শেখ মুজিবুর রহমান সেই আন্দোলনের একজন নেতারূপে আত্মপ্রকাশ করেন এবং সেই সূত্রেই তিনি প্রথমবারের। মতাে কারাভােগ করেন।২
—————–
১ মুহম্মদ এনামুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মমতাজউদদীন আহমদ, প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গ বাংলাদেশ, পৃ. ১২০-১২১
২ আনিসুজ্জামান, বঙ্গবন্ধুকে অবলােকন’, কবীর চৌধুরী (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধু : জননায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক, দ্বিতীয় মুদ্রণ, অন্বেষা প্রকাশন, ঢাকা : ফেব্রুয়ারি বইমেলা ২০১২; পৃ. ১৪৪-১৪৫
——————
কবীর চৌধুরী
১৯৪৮ সালেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা পূর্ব পাকিস্তানিদের মাতৃভাষা বাংলাকে কোণঠাসা করে সে জায়গায় উর্দু প্রতিষ্ঠার চক্রান্তে লিপ্ত হয়। শেখ মুজিব ও তাঁর সহকর্মীগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। ১৯৪৮ সালের মার্চ ও সেপ্টেম্বরে, একই বছরে, দু’বার তাঁর প্রতিবাদী কার্যাবলির জন্য তাকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়।১
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম
১৯৫২ সালের একুশের আন্দোলনে তিনি জেলে বন্দি ছিলেন। কারাগারে থেকে নানাভাবে তিনি আন্দোলনের ব্যাপারে নির্দেশনা দিতেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ওই সময়টায় তার স্বাস্থ্য খুব ভেঙে পড়ে, তাই তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তখন মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় একই ভবনে অবস্থিত ছিল। বঙ্গবন্ধু সে সময় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে গভীর রাতে রাজনৈতিক বিষয় ও বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি নিয়ে আলােচনা করতেন।২
মযহারুল ইসলাম
ঢাকা জেল থেকেই তিনি গােপনে তাঁর বন্ধু ও অনুরাগীদের সংগ্রামের নির্দেশ দিতে থাকেন। তিনি জেলে অবস্থানকালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’-এর সবাইকে মানিক (জনৈক পুলিশ ইন্সপেকটর)-এর সাহায্যে খবর দেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার প্রশ্নে মিছিল করে অ্যাসেম্বলিতে যাওয়ার নির্দেশ দান করেন। তারপর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ভাষার প্রশ্নে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।৩
—————-
১ কবীর চৌধুরী (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধু : জননায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক, পৃ. ৮-৯
২ মুস্তাফা নূরউল ইসলাম, কথামুখ’, এম আর মাহবুব, রাষ্ট্রভাষা-আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পৃ. ৭
৩ মযহারুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, পঞ্চম মুদ্রণ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা : এপ্রিল ২০১১; পৃ. ১৩৫
—————
রফিকুল ইসলাম
গণপরিষদে বাংলা ভাষার স্থান না হওয়ায় ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঢাকা শহরে ছাত্রসমাজ প্রতিবাদ সভা, সাধারণ ধর্মঘট ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বাংলা ভাষার দাবিতে এইভাবেই প্রত্যক্ষ সংগ্রামের সূত্রপাত হয়। ওই দিনের ছাত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বেপরােয়া লাঠিচার্জ, ঘন ঘন বন্দুকের ফাঁকা আওয়াজ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ এবং ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের আক্রমণে বহু ছাত্র আহত হয়। প্রায় হাজারখানেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। বন্দি ছাত্রনেতাদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান। অলি আহাদ, শওকত আলী, কাজী গােলাম মাহবুব প্রমুখ।১
সালাহ্উদ্দীন আহমদ
এক স্বতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয় চেতনার জাগরণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।২
জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী
বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় আবিষ্কারের কাজ, যা শিল্পী-কবিমনীষীরা করে চলেছিলেন একটি স্তরে, সেই কাজটিকে তার যৌক্তিক, রাজনৈতিক পরিণতিতে পৌছে দিলেন বঙ্গবন্ধু।৩
মমতাজউদদীন আহমদ
বাংলাদেশ, বাঙালি ও বঙ্গভাষাকে যাহারা সর্বতােভাবে স্বাধীনতার শক্তি দিয়াছেন, তাঁহাদের সকলের শীর্ষে একটি নাম থাকিবে, সেই নাম শেখ মুজিবুর রহমান।৪
—————
১ রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, চতুর্থ মুদ্রণ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা : ১৯৯৬; পৃ. ৩৬
২সালাহ্উদ্দীন আহমদ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এবং কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা’, কবীর চৌধুরী (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধু : জননায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক, পৃ. ১৪৮-১৪৯
৩ জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, দ্বিতীয় বর্ধিত সংস্করণ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা : ফেব্রুয়ারি ২০০৫; পৃ. ২২
৪ মমতাজউদদীন আহমদ, প্রসঙ্গ বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গ বাংলাদেশ, চতুর্থ প্রকাশ, বিশ্বসাহিত্য ভবন, ঢাকা : মার্চ ২০১৫; পৃ. ১২
——————-
বদরুদ্দীন উমর
১১ মার্চ সকালের এই পিকেটিংয়ের সময়ে ছাত্রেরা সেক্রেটারিয়েটের | তােপখানা এবং আবদুল গণি রােডস্থ উভয় গেটের সামনেই সমবেত হয়েছিলেন। শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ প্রভৃতি কয়েকজন পিকেটিং করেন প্রথম গেটে। … শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ এবং অন্যান্য অনেককে ইতঃপূর্বেই গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছিল। … কোতােয়ালিতে খাওয়া-দাওয়ার পর বেলা প্রায় চারটের দিকে শামসুল হক, মুজিবুর রহমান, কাজী গােলাম মাহবুব, শওকত আলী প্রভৃতি বহু কর্মীকে ঢাকা জেলখানায় স্থানান্তরিত করা হয়।১
হারুন-অর-রশিদ
‘৫২-র ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি পাকিস্তানের নিরাপত্তা আইনে কারাবন্দি। বন্দি অবস্থায়ও তিনি আন্দোলনে দিকনির্দেশনামূলক ভূমিকা পালন করেন। কারাগার থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আনা হলে তিনি ছাত্রলীগ ও আন্দোলনের অন্য কর্মীদের এবং গােপালগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তরের সময় নারায়ণগঞ্জের নেতা-কর্মীদের ভাষা আন্দোলনে করণীয় সম্পর্কে ‘নির্দেশনা দেন।২
মুনতাসীর মামুন
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারাগারে বন্দি থাকায় শারীরিকভাবে তিনি আন্দোলনে যােগদান করতে না পারলেও আন্দোলনকে বেগবান করতে নেতৃত্বদানকারীদের সাথে গােপন যােগাযােগ রক্ষা করে চলতেন। তাই ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা খাটো করে দেখার সুযােগ নেই।৩
————-
১ বদরুদ্দীন উমর, পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তঙ্কালীন রাজনীতি, প্রথম খণ্ড, সুবর্ণ সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, ঢাকা : ফেব্রুয়ারি ২০১২; পৃ. ৭৮-৭৯
২ হারুন-অর-রশিদ, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ঢাকা : ২০১৩; পৃ. ৪০।
৩ মুনতাসীর মামুন (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধু কোষ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ঢাকা : জুন ২০১২; পৃ. ২৭১
———————
সফর আলী আকন্দ
The language movement assumed a violent form on 11 March 1948, the day of first East Bengal general strike. It was the intention the students to picket at the gates of the Secretariat, the High Court and other offices. The government, as a precautionary step, imposed section 144 of the Criminal Procedure Code, banning assemblies of more then four persons in order to prevent the students from staging demonstrations. The students, however, decided to violate the government order and assembled at the gates of the East Bengal Secretariat to press their demand that bengali be given the status of a national language. They showed displeasure to Khwaja Nazimuddin and his Ministry and insisted that the East Bengal members resign from the Constituent Assembly unless they were all prepared to support the Bengali Language Movement. At the time of picketing and staging demonstrations, police resorted to lathi charge, and as a result, some fifty students including Shamsul Huq, Sheikh Mujibur rahman, Khalek Newas Khan, Muhammad baitullah (1927-1947), Oli Ahad, Ekramul Amin and Kazi Golam Mahbub were insured, and sixtyfive students and leaders including Shamsul Huq, Sheikh Mujibur Rahman, Kazi Golam Mahbub, Oli Ahad, Abdul Momin (1929-2004), Mohammad Toha, Khalek Newas Khan and Swakat Ali (1921-1975), were arrested. Some were sent to Dhaka Central Jail while many arrested students were sent to Bhawal Jungle at dead of night and left east of Rajendrapur Railway Station.১
অজিত কুমার দাস
বায়ান্ন-পরবর্তী একুশের আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার সাথে সাথে বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রসারে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
———————
১ Safar Ali Akanda, Language Movement and the Making of Bangladesh, The University Press Limited, Dhaka, 2013; p. 45
—————————–
পালন করেন। তাঁর এই ভূমিকা শুধু জাতীয় পর্যায়েই সীমাবদ্ধ ছিল , আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল পর্যন্তও বিস্তৃত ছিল।১
নূহ-উল-আলম লেনিন
সে সময় কারাবন্দি হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবুর রহমান যুবলীগ নেতা অলি আহাদ ও মােহাম্মদ তােয়াহা এবং ছাত্রলীগ নেতা কাজী গােলাম মাহবুব ও খালেক নেওয়াজ প্রমুখের সঙ্গে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে গােপনে মিলিত হন এবং ভাষা আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি তার কারামুক্তির দাবিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে অনশন পালনের কথা জানান। তিনি ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যােগাযােগ রাখতেন। পরামর্শ দিতেন।২
আবু আল সাঈদ
১৯৫০-এর ১ জানুয়ারি থেকে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে | বন্দি। তাঁর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে অলি আহাদ, আবদুস সামাদ, শামসুল হক, আতাউর রহমান খান ও মােল্লা জালালসহ অনেকেই বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যেতেন। রাজনৈতিক আলাপ-আলােচনাও হতাে। ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর কারাগারে পাঠানাে হয়। যাওয়ার আগে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখের আন্দোলনের কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে কোনাে অবস্থায়ই নতি স্বীকার বা আপস না করার জন্য অনুরােধ জানান সবার প্রতি।৩
—————–
১ ড. অজিত দাস, একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, নবরাগ প্রকাশনী, পৃ.
২ নূহ-উল-আলম লেনিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও নির্বাচিত দলিল, পৃ. ৩৩
৩ আবু আল সাঈদ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস (১৯৫০-১৯৭১), সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা : জুলাই ১৯৯৩; পৃ. ২৯
—————–
বশীর আলহেলাল
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাজবন্দি শেখ মুজিবের সঙ্গে ছাত্রনেতাদের আলােচনা যে হতাে, এই তথ্য মেনে নিতে হয়, কারণ জিল্লুর রহমান ছাড়া অলি আহাদও এই তথ্য দিয়েছেন। … শেখ মুজিব কর্মপরিষদ নির্ধারিত কর্মসূচির পক্ষে তাঁর সমর্থন অবশ্যই জানিয়ে থাকতে পারেন। … আমরা দেখেছি ৩১ জানুয়ারির যে সম্মেলনে সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ গঠিত হয় তাতেও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে একটি প্রস্তাব। গৃহীত হয়েছিল। অন্যান্য বহু সভা ও উপলক্ষ্যেও তাঁর এবং অন্যান্য রাজবন্দির মুক্তির দাবি জানানাে হচ্ছিল।১
আতিউর রহমান
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন যখন আবার দানা বেঁধে উঠতে শুরু করে তখন শেখ মুজিব জেলে বন্দি থাকা অবস্থায়ও নিশ্ৰুপ ছিলেন না । আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন, মুক্ত সঙ্গীসাথীদের পরামর্শ দিয়েছেন। … বন্দি থাকা অবস্থায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে রাজবন্দি মুক্তির এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি দিবস হিসেবে পালন করার জন্য শেখ মুজিব রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের প্রতি আহ্বান জানান।২
————–
১ বশীর আলহেলাল, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, দ্বিতীয় মুদ্রণ, আগামী প্রকাশনী, ঢাকা : ২০০৩; পৃ. ৩৩৮-৩৩৯
২ আতিউর রহমান, বাংলাদেশের আরেক নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তৃতীয় মুদ্রণ, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা : জানুয়ারি ২০১৬; পৃ. ২২
…………………..
সূত্র: ভাষা আন্দোলনে শেখ মুজিব কতিপয় দলিল -ড. এম আবদুল আলীম