জাকার্তায় মিছিল।
ইন্দোনেশীয় সরকার ছিল পাকিস্তানের পক্ষে। তখন সুহার্তোর সামরিক শাসন। সরকারের নীতি দেখে পত্র-পত্রিকাও বাংলাদেশ সম্পর্কে তেমন কোনাে সংবাদ ছাপাত না। ব্যতিক্রম ছিল দি জাকার্তা টাইমস। সেখানে। অনেকে চিঠি লিখে গণহত্যার প্রতিবাদ জানাতেন। এ রকম পরিস্থিতিতে ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকবৃন্দ এপ্রিল মাসেই প্রতিবাদ জানায়।
৭ এপ্রিল প্রাক্তন ও শিক্ষকরা মিছিল করে পাকিস্তানি দূতাবাসে যান। সেখানে পাকিস্তানি দূত আবদুল গফুরকে তারা স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি প্রদান করতে যান চাইদির মাকারিম, জুয়রনাে সেনদর্শানাে [প্রভাষক], উইলাদি বুদিতৰ্গা, উইদিদা সােয়েফদো এবং পােয়েরনামা। এই পােয়েরনামা আবার অস্ট্রেলিয়াতে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে অনশন করেছিলেন। তিনি ছিলেন কবি।
সমাবেশকারীরা গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের গণহত্যা, বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করে দেয়াতে। তাদের মূল কথা ছিল শক্তি প্রদর্শন করে কিছু করা যায় না। স্মারকলিপির ভাষা ছিল বেশ লক্ষণীয়। খানিকটা উদ্ধৃত দিচ্ছি
“…People were machine gunned, university broken down, students and professors murdered. od 1. Force without humanity of whatever reasons, cannot be justified and cannot be considered meaningless by who so ever of wherever he may be. Not only could we justify FORCE to being used for problem solving or just to satisfy one’s hysterical just or passion, but FORCE itself eliminates the basic human right of this society.
- The absence of freedom of expression and the extinction of freedom to be free or fear are part of the social effect brought about by such FORCE. What happened in East Pakistan is more than that. People were killed, Universities broken down, the students as well as the professors were fired on ground of the above motive we are of the opinion that the Government of Pakistan has no right to rervert the matter into political issue in the country. What the whole mankind desire most now is a guarantee of their basic values…
Source: The Jakarta Times : 8.9.1971