বাঙলাদেশ সম্পর্কে চীনের নীতি
নির্মল সেন
জেনারেল ইয়াহিয়ার যুদ্ধের ও রাজত্বের দুই সাধই মিটে গেছে। গদিচ্যুত জেনারেল হয়তাে এখন আয়ুব খানের মতােই বই কিংবা স্মৃতিকথা লেখায় মনােনিবেশ করবেন। মুণ্ডিহীন পাকিস্তানের রাজা হবেন বিশ্বরাজনীতির সবচেয়ে বড় ভড় জুলফিকার আলি ভুট্টো। ভুট্টো দেশে ফিরে আসছেন পাকিস্তানের দগ্ধ মুকুট মাথায় পরার জন্য। আসবার আগে নিকসনের সঙ্গে দেখা করে ভুট্টো সাহেব মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার আনাড়ি-বিস্তৃত কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য জানিয়ে এসেছেন। দেশে ফিরেই তিনি পিকিং যাবেন ‘মহান চীনের মহান নেতার আশীর্বাদ নিয়ে আসতে। তারপর শুরু হবে রাজস্ব শাসন। সে শাসনের চেহারা যে কেমন হবে তা আমরা সহজেই মালুম করতে পারছি।
বাঙলাদেশের বিজয়ী মুক্তিসংগ্রাম ও তেরদিনের ভারত-পাক যুদ্ধ প্রমাণ করে দিল পাকিস্তানের ফৌজ শাসকেরা খড়ের কার্তিকের মতই অন্তঃসারশূন্য এবং তাদের সমস্ত শক্তিই হচ্ছে আমেরিকা ও চীনের কাছ থেকে ধার করা। আমেরিকা ও চীনের উৎসাহ ও সাহায্য পেয়েই এতদিন ইয়াহিয়া তার নরমেধযজ্ঞ অবাধে চালিয়ে যেতে পেরেছিল। এবং সেই নরমেধযজ্ঞ ব্যর্থ করে বাঙলাদেশ জয়ী হতে পেরেছে কারণ তার পিছনে ছিল ভারতের মতাে গণতান্ত্রিক দেশের সরকার ও জনগণ, ছিল সােভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক দেশগুলাের মৈত্রী।
ভারত-পাক যুদ্ধ ও বাঙলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম শুধু পাকিস্তানের ফৌজ শাসকদেরই মুখােশ খুলে দেয়নি, সম্পূর্ণ নগ্ন করে দিয়েছে এশিয়ার সেই রাষ্ট্রশক্তিকেও যে সকালসন্ধা বিপ্লব ও সমাজতন্ত্রের গায়ত্রী জপ করে দেশে দেশে জনগণের মুক্তিসংগ্রামের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদ ও প্রতিক্রিয়ার সাকরেদি করে আসছে। অর্থাৎ চীন।
আমাদের দেশে এখনও একদল লােক আছে যারা সােভিয়েত ইউনিয়নকে যথেষ্ট বিপ্লবী নয় বলে মনে করে এবং চীনকে মনে করে বিপ্লবের সবচেয়ে বড় বাহাদুর। সেই বেরাদরেরা এখন কী বলছে জানি না। তবে-এটুকু জানি মার্কসবাদে একনিষ্ঠ ‘মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরাে নামক হরবােলা সংগঠনটি ২৫ মার্চের ঘটনায়ও যে শিক্ষালাভ করেনি মাত্র গত কয়েক দিনের মধ্যেই সেই পাঠ বুঝে নিয়েছে। দুদিন আগেও যারা চীনের প্রশংসা ও সােভিয়েত ইউনিয়নের কুৎসা করেছে তারা আজ চীনের আচরণে দুঃখিত। এ তাদের রাজনৈতিক-প্রজ্ঞা-প্রসূত উপলব্ধি সে কথা মনে করার কোন কারণ নেই। মার্কসবাদী নেতমণ্ডলীর এই পলিটব্যুরাে ঠেলায় পড়লে সকলের উচ্চারিত বাক্য বিকালে হজম করতে পারে—এ দুষ্টান্ত বিরল নয়। সুতরাং এদের প্রস্তাবকে মূল্যায়নের মর্যদা দেওয়া যায় না। এদের রাজনীতির সবটাই হচ্ছে কৌশল ; তাতে আদর্শের ছিটেফোঁটাও নেই। সংগ্রাম ও বিপ্লবের নামে উঠতে বসতে এই দল কসম খায় বটে, কিন্তু এদের মূল লক্ষ্য হলাে নির্বাচন। এরা নির্বাচনই বােঝে, নির্বাচনের নাম শুনলেই চাঙ্গা হয়। মুক্তিযুদ্ধ-টুদ্ধ এদের তেমন উৎসাহিত করে না। তাই বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গত নয় মাসে এদের উচ্চবাচ্য করতে শােনা যায়নি। গােড়ার দিকে তাে মুক্তিযুদ্ধকে এরা মুক্তিযুদ্ধ বলেই স্বীকার করেনি (যদিও চাঁদা তুলেছে তার নাম করে)। কিন্তু যখন শেষ পর্যন্ত দেখা গেল বাঙলাদেশের স্বাধীনতাকে ঠেকানাে গেল না , তখন এরা তাড়াহুড়া করে প্রস্তাব পাস করেছে, বাঙলাদেশের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে। কিন্তু এ প্রস্তাব বা এ জয়ধ্বনি কোনটারই লক্ষ্য বাঙলাদেশ নয় লক্ষ্য নির্বাচন। কারণ বাহাত্তরের গােড়ার দিকেই আবার নির্বাচন হচ্ছে এমন একটা খবর ইতিমধ্যেই রটেছে। ভারত ভূমিতে সবচেয়ে বড় সংস্কারবাদী, নির্বাচনপ্রেমী পার্লামেন্টরি দল যদি কিছু থাকে তাহলে তা মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি। বাঙলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতপাক যুদ্ধের মাত্র তেরটি দিন শেষ হয়ে যাবার আগে এই মার্কবাদীদের মুখের মুখােশটিও খুলে দিয়ে গেছে।
কিন্তু ভারত-পাক যুদ্ধ ও বাঙলাদেশের লড়াই সম্ভাবত সবচেয়ে উদঘাটিত করে দিয়েছে ‘মহান চীন ও তার মহান নেতাদের চরিত্র ও রূপ। চীন যে পাকিস্তানেরই দোস্ত, এবং পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গেই যে তার স্বার্থের মিল আজ সবচেয়ে বেশি, একথা আজ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আজও অনেকে চীনের প্রতি সহানুভূতিতে চীনের এই নীতিকে একটা সাময়িক কৌশল বলে মনে করে। স্বয়ং নান্নুদিরিপাদ এত কাণ্ডের পরেও এই সেদিন বলেছেন—আহাঃ, চীনের কথা স্বতন্ত্র। চীনকে ঠিক আমেরিকার সঙ্গে এক করে দেখলে চলবে কেন? অর্থাৎ এঁরা মনে করেন চীনের এই নীতি সামরিক শুধু নয়, এটা নিতান্তই আকস্মিক ও সামুহিক কারণে ঘটছে। সুতরাং চীনকে একটু তােয়াজ করলেই সে আবার ঠিক পথে চলতে শুরু করবে।
চীনা নেতাদের বর্তমান এই নীতিকে যারা সামুহিক ও আকস্মিক ঘটনা বলে চিত্রিত করতে চান বলা বাহুল্য তারা ইচ্ছা করেই গত কয়েক দশকের চীনা রাজনীতির কেচ্ছাকে ভুলে যেতে চান। কারণ তাদের নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্রেও পদস্থলনের নজির কম নয়।
আমেরিকার সঙ্গে এক জোটে মিলে পাকিস্তানি শাসকদের পক্ষে দাঁড়ানাে চীনের ক্ষেত্রে এই প্রথম নয় অর্থাৎ এটা তার হঠাৎ করা কোন ভুল নয়। অতীতেও চীন ও আমেরিকাকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে একসঙ্গে গলা জড়িয়ে চলতে দেখা গেছে। পাকিস্তান যেদিন আমেরিকার নির্দেশে সেন্টো ও সিয়াটোতে যােগ দেয় এবং ১৯৫৪ সালে যখন পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পাকিস্তানেই তার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক জনগণের প্রতিবাদ প্রতিধ্বনিত হয়েছে কিন্তু সেই সাম্রাজ্যবাদী সামরিক জোটে যােগদান সম্পর্কে সেদিন তার এই দোস্তকে এক বর্ণ সমালােচনা তাে এর জন্য করেইনি উলটে পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি ও সেন্টো ও সিয়াটোতে তার যােগদানকে সমর্থন করেছিল এই বলে যে—ওটা পাকিস্ত েিনর আত্মরক্ষার জন্য করা হচ্ছে এবং এটা আদৌ পিকিংয়ের বিরুদ্ধে নয়। পাক-মার্কিন আঁতাত যে আদৌ চীনের বিরুদ্ধে নয় তা তাে পরবর্তী ইতিহাস নিঃসন্দেহে প্রমাণ করেছে। কিন্তু এ সর্বনাশা সামরিক জোট যে এশিয়ার অন্যান্য স্বাধীন দেশের বিরুদ্ধে ও সােভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে, তাতে চীনের কিছু যায় আসে না। চীনা নেতারা জানতেন যে পাক-মার্কিন এই সামরিক জোট মূলত এশিয়াতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই। একথা জেনেও তারা এর প্রতিবাদ করেননি কেন? তার কারণ এই সামরিক জোট যে চীনের ক্ষতি করবে না এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত ছিলেন। এবং চীনের ক্ষতি যাতে হবে না তা আর যারই সর্বনাশ করুক তা নিয়ে চীনা নেতাদের কোন মাথাব্যথা ছিল না। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে বিষােদগার এবং হরবখত বিপ্লব ও বিশ্ববিপ্লবের নামে চেঁচানাে—এটা চীনের রাজনীতির খােলস মাত্র। যেদিন থেকে চীন সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বিরুদ্ধাচরণ করছে সেই দিন থেকেই সে তার সাম্রাজ্যবাদ বিরােধীতাকে কবর দিয়েছে। নিজের একমাত্র জাতীয় স্বার্থ ছাড়া তার কাছে আর কোনাে স্বার্থই বড় নয়। পাক-মার্কিন সামরিক জোটের আক্রমণের অন্যতম লক্ষ্য ছিল এশিয়ায় কমিউনিজমের অগ্রগতিকে রােধ করা। ভিয়েতনামের সংগ্রাম থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে এবং সেই সব সংগ্রামের একনিষ্ঠ বন্ধু সােভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধেই এই জোটের লক্ষ্য ছিল। সে সম্পর্কে বিশ্ব বিপ্লবের’ ধ্বজধারী চীনের বিন্দুমাত্র উদ্বেগ কিন্তু সেদিন। দেখা যায়নি। কারণ চীন ভালাে করেই জানত আমেরিকা এশিয়ায় চীন-মার্কা কমিউনিজমকে কিছু বলবে না। সেই জাতীয়তাবাদী কমিউনিজমের উত্থানকে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অন্যতম শক্তিরূপে গড়ে তুলতে এশিয়ায় সাহায্যই করবে। চীন ও আমেরিকা উভয়ের সাধারণ শত্রু সােভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধেই ছিল পাক-মার্কিন সামরিক জোট। সুতরাং চীন সেদিন তার বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেনি। চীনের নেতাদের এই অতীত কেচ্ছার কথা মনে রাখলে তার আজকের আচরণে বিস্ময়কর কিছুই মনে হবে না কিন্তু নাম্বুদিরিপাদেরা তা মনে রাখতে চান না।
এশিয়াতে চীনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে গড়ে তােলার ব্যাপারে দূতিয়ালি করেছে পাকিস্তান। ১৯৬২ সালেই প্রেসিডেন্ট আয়ুব খা বলেন, পাকিস্তান চীন ও আমেরিকার সঙ্গে সমান মূল্যের মৈত্রী গড়বে এবং চীন ও আমেরিকার স্বার্থে পাকিস্তান আঘাত করবে না। এই কারণেই সেদিনের কোনাে চীন-পাক যুক্ত বিবৃবিতেই ভিয়েতনামে মার্কিন আক্রমণের বিরুদ্ধে একটি কথাও উচ্চারিত হয়নি।
পাকিস্তানকে মাঝে রেখে এইভাবে আমেরিকা ও চীনের যে প্রগাঢ় মৈত্রী গড়ে উঠেছে, তাতে পাকিস্তানের মার্কিন-স্বার্থবাহী নেতারাও চীনের পক্ষে বার বার সাফাই গেয়ে গেছে। ইসপাহানি হচ্ছে পাকিস্তানের সেই কুখ্যাত ২২টি শিল্পপতি পরিবারের একটি, যে পূর্ব বাঙলাকে শােষণ করে টাকার পাহাড় গড়েছে। এই ইস্পাহানি এবং পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ জমিদার জনাব ভুট্টো সেদিন সম্মিলিত গলায় চীনের প্রশংসা করে গেছেন। এদের প্রচারের মূল লক্ষ্য ছিল সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে আয়ুবের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন গড়ে উঠেছিল তাকে ভেরত থেকে দ্বিখণ্ডিত করা। পাকিস্তানে চীনাপন্থী দল ও নেতা সৃষ্টি করে গণ-আন্দোলনে বিভেদ আনার কাজে এরা যথেষ্ট সাহায্য করেছিল সেদিন।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের নির্বাচনের সর্বদলীয় প্রার্থী ফাতিমা জিন্নার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন আয়ুব খা। চীন সেদিন উচ্ছ্বসিত ভাষায় আয়ুব খার প্রশংসা করে পাক জনগণের ইচ্ছার বিরােধীতা করে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে চীনের সাহায্যের কথা আর যেই ভুলে যাক, ভারতের সাধারণ মানুষ ভুলবে না।
১৯৬৮-৬৯ সালে সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে যখন আয়ুববিরােধী গণ-আন্দোলন তুমুল আকার ধারণ করে, সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে চীন ও আমেরিকার ছিল এক সুর। আয়ুবের ফৌজ যখন পাকিস্তানের জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করে চলছিল সেই সময়ে প্রেসিডেন্ট জনসন আয়ুবের প্রশংসা করে বলেন—“প্রেসিডেন্ট আয়ুবের বিজ্ঞ নেতৃত্বই হচ্ছে পাকিস্তানের অগ্রগতির পক্ষে মডেল” (পাকিস্তান টাইমস, ১০ নভেম্বর, ১৯৬৮)। ঐ একই দিনে চীনা সেনাধ্যক্ষ জেনারেল হুয়াং ইয়াং শেঙ তৎকালীন পাকিস্তানের সেনাপতি জেনারেল ইয়াহিয়ার সম্মানার্থে এক ভােজসভায় আয়ুব খানের। সমগ্র পাকিস্তান জুড়ে তখন চলছে আয়ুববিরােধী প্রচণ্ড আন্দোলন।
এরপর আয়ুব বিতাড়িত হয়েছে এবং তার স্থান দখল করেছে ইয়াহিয়া। ইয়াহিয়া বিরুদ্ধে প্রচণ্ড গণআন্দোলন যেদিন সমগ্র বাংলাদেশকে তােলপাড় করে তােলে, সেদিন ইয়াহিয়ার একনিষ্ঠ সমর্থক ছিল চীন ও আমেরিকা। বিগত নির্বাচনের পর মুজিবের নেতৃত্বে বাঙলাদেশের গণ-আন্দোলন ও তৎপরবর্তীকালে বাঙলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের গত ন মাসে চীন ও আমেরিকাই অস্ত্র ও রসদ যুগিয়েছে ইয়াহিয়াকে। আজ ইয়াহিয়া গিয়ে ভুট্টো এসেছে। সেই ভুট্টোর পিছনেও দাঁড়িয়েছে একমাত্র চীন ও আমেরিকা। এ কি আকস্মিক? এ কি হঠাৎ? পাকিস্তান সম্পর্কে চীন ও আমেরিকার এই যুগ্ম নীতি কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। দীর্ঘদিনের এক সম্পর্কের জের টেনেই পাকিস্তানে নিকৃষ্টতম প্রতিক্রিয়ার শক্তিকে মদত দিয়ে আসছে চীন ও আমেরিকা উভয়েই। কারণ উভয়েরই লক্ষ্য এশিয়ার মুক্তি-আন্দোলনের বিরুদ্ধাচরণ। উভয়েরই সাধারণ শত্রু সােভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতন্ত্রের শিবির। এ কোন হঠাৎ-করা ভুল নয়। এ বুঝেশুনে করা পাপ।
সূত্র: সপ্তাহ, ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭১