ভারতীয় সৈন্য ফেরানোতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কতোটুকু?
বাংলাদেশের ভূখণ্ড শত্রুমুক্ত হবার ৩ দিন পরেই ইন্দিরা গান্ধী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের কোন ভূখণ্ড দখলে রাখার কোন পরিকল্পনা ভারতের নাই। [1] বলতে গেলে সমগ্র বিশ্বের বেশিরভাগ শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর অফিসিয়াল ও টেঞ্জেনশিয়াল সমর্থন ছাড়াই ভারতকে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। রাশিয়াও ভেটো দিতে দিতে অনেকটা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ভারতের উপর চাপ ছিলো যুদ্ধটা শেষ করার। এদিকে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত সৈন্য বন্দী করে ভারতে নেবার কাজ শুরু করেছে তারা। ফলে এই অঞ্চলে তাদের শত্রুপক্ষ দুর্বল। পক্ষান্তরে পত্রিকা মারফত ও সিআইএ রিপোর্ট থেকে আমরা জানতে পারি ইয়াহিয়া পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। [2] সেকারণে ভারতের প্রয়োজন ছিলো দ্রুত সৈন্য সরিয়ে নিয়ে অন্যান্য যায়গাগুলোর ডিফেন্স শক্তিশালী করার। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত চীনের জন্য আর পশ্চিমে পাকিস্তান। সমুদ্রে সপ্তম নৌবহরের জন্য সৈন্য মোতায়েনের প্রয়োজন হয়না, কারণ সেটা নেভির। নেভি অলরেডি যতটা পেরেছে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। বাংলাদেশের অঞ্চলে শুধু বিহারী, রাজাকার আর মিজো বিদ্রোহীদের আস্তানা শেষ করতে তাদের কিছু প্রোটেকশন, প্রস্তুতি ও অপারেশন দরকার ছিলো। [3] কারণ তাদেরকে যুদ্ধবন্দী হিসেবে নেয়া হয়নি। এদিকে মুজিবনগর সরকারও দেশে ফেরেনি। (ইন্দিরার ঘোষণার দিন পর্যন্ত)। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসগুলো সীমান্ত অঞ্চল থেকে গুছিয়ে আনার কাজ চলমান। [4] এই রকম টালমাটাল অবস্থায় ভারত বাংলাদেশ দখলে রাখার কোন অপকৌশল করেনি এবং যাতে সে সুযোগ সৃষ্টি না হয় সেকারণে ৩ দিন পরেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া সমগ্র বিশ্বের তেমন কোন শক্তিশালী সাহায্য ছাড়া পাকিস্তান ভেঙ্গে ফেলায় তাদের যে দায়, যদি দখলে রাখার সামান্যতম চেষ্টা করত তাহলে সারা পৃথিবীতেই সেটা খুব খারাপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করত।
এই সবগুলো ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হবার আগে। এমনকি কারাগারে তাঁকে পত্রিকাও পড়তে দেয়া হয়নি। (রবার্ট পেইনের তথ্য অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর, তাও বিশেষ সংবাদগুলো কেঁচি দিয়ে কাটা অবস্থায়।) [5] অথচ এর অনেক আগে, ভারত সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন ইন্দিরাকে জানায়, “বাংলাদেশে ভারতীয় সৈন্য ঢুকবার আগে বাংলাদেশকে স্বীকৃত দিতে হবে এবং কীভাবে সৈন্য ঢুকবে তার একটা ভিত্তি তৈরি করতে হবে। সেই ভিত্তি ছাড়া বাংলাদেশে ঢােকা যাবে না।“ [6] ইন্দিরা রাজি হন এবং সেই চুক্তিতে ছিলো, ১। ভারত আমাদেরকে স্বীকৃতি দেবে, ২। তারপরে ভারতের সৈন্য বাংলাদেশে ঢুকবে এবং ৩। যৌথ কমান্ডের মাধ্যমে ঢুকবে। ৪। যুদ্ধ পরিচালনার ব্যাপারে ভারতকে সবসময় আমাদের সাথে, আমাদের কমান্ডের সাথে একত্রিত থাকতে হবে। এবং ৫। যখনই বাংলাদেশ সরকার বলবে তখনই ভারতের সৈন্যদের বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। [6], [7, p. 453] ভারতের সাথে এই চুক্তির বলেই মূলত বাংলাদেশে ভারতের সৈন্য নিয়ন্ত্রণ অফিসিয়াল রূপ পায়।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এই তথ্যের আর কোন সোর্স আছে কিনা? হ্যাঁ। প্রথমটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর লন্ডনের যে সংবাদ সম্মেলন তার প্রশ্নোত্তর পর্ব। আমরা সাধারণত প্রথমে দেয়া বিবৃতিটি সম্পর্কে জানি ভিডিও পাওয়া যায় বলে। কিন্তু পরে ১৯ মিনিট বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। [8] সেখানে দখলে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজে ইন্দিরা গান্ধীর রেফারেন্স দিয়ে বলেন যে তারা সৈন্য অতি দ্রুত ফিরিয়ে নেবে। উল্লেখ্য, ইন্দিরা গান্ধীর সাথে ইতোমধ্যে টেলিফোনেও তাঁর কথা হয়। আর ডিপ্লম্যাটরা তো ছিলোই। [9] দ্বিতীয়ত, এখানে মনে রাখতে হবে, লন্ডনে এই প্রেস ব্রিফিংএর আগেই বঙ্গবন্ধুর সাথে টেলিফোনে তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ওসমানী, শেখ মণি, সাজেদা চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদের সাথে কথা হয়। সেখানে রাজনৈতিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধুকে ব্রিফ করা হয়। [10] তাজউদ্দীন, নজরুল বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তির সাথে কথা না বলে একক সিদ্ধান্তে প্রেস ব্রিফিং করার মত লোক বঙ্গবন্ধু নন। কারণ মুক্ত হয়ে সঠিক তথ্য অথেনটিক লোকের থেকে তিনি জেনে নিয়েই কাজ করেছেন।
তবে ইতোমধ্যে এই সৈন্য ফেরানো নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়ে যায়। প্রথম এপ্রোচ করে লন্ডনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ। [11], [12] তিনি নিজে বঙ্গবন্ধুকে বলেন ভারতের সৈন্য নাকি ৬ মাসের আগে যাবেনা এবং না গেলে আপনার দেশকে আমরা স্বীকৃতি দেবনা। এখানে মনে রাখা দরকার মুক্তিযুদ্ধে লন্ডনের ভূমিকা কী। কিন্তু এই রাজনীতির প্যাচটা খুলেছে ফেরার পথে বিমানে। শশাংক ব্যানার্জির কাছে তিনি বিষয়টা তুললে তা স্পষ্ট হয়ে যায়। [12] তার প্রমাণ বঙ্গবন্ধু পেয়েছেন যখন ইন্দিরার সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে ইন্দিরার কথায়। [13] সেটি তিনি মিটিং শেষে এসে স্বীকারও করেছেন। [12]
যার প্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি রেসকোর্সের মাঠের ভাষণেও তিনি ঐ তথ্যটা দিতে ভোলেন নাই, যাতে করে এটা নিয়ে রাজনীতির সুযোগ না থাকে। [14] এখানে মনে রাখা দরকার, ভারত ঐ সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় বন্ধুরাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলার যে স্বপ্ন সেটা সফলে অবশ্যই তাদের অবদান রয়েছে। ট্রেনিং, অস্ত্র, খাবার, শরণার্থী, চিকিৎসা এবং সর্বপরি বিশ্বের সবগুলো দেশের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা ভারত করেছে। এবং সবচেয়ে বড় অবদান যা আমরা তেমনটা খেয়াল করিনা তা হচ্ছে কূটনৈতিক অবদান। [15] মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের তখনো জাতিসংঘের চৌকাঠ পেরুনোর সামর্থ্য অর্জন করেনি। (যা বঙ্গবন্ধুর সফল কূটনীতির কারণে পরে সম্ভব হয়েছে।) ফলে জাতিসংঘে আমেরিকা-চীন-পাকিস্তানকে ডিফেন্ড করার সময় মুজিবনগর সরকারের কোন অবস্থান নেয়ার ক্ষমতা ছিলোনা। বরং ঐ সময়ের পত্রিকায় দেখা যায়, স্মরণ সিং কে অনেকবার কূটনৈতিক ব্যার্থতার দায় মাথায় নিতে হয়েছে। কারণ, এতগুলো দেশের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক লড়াইটা সহজ ছিলোনা – এখানে পাকিস্তানের কূটনৈতিক শক্তিও মাথায় রাখতে হবে।
অনেক সময় দাবী করা হয় যে, বঙ্গবন্ধু না হলে ভারতের সৈন্য ফেরত যেতোনা। [16] উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে ভারতের বাংলাদেশ দখলে রাখার তেমন কোন রাজনৈতিক, কূটনৈতিক বা অবকাঠামোগত প্রমাণ পরিলক্ষিত হয়না। বরং ভারত বারবার আন্তর্জাতিক মহলে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য চাপ দিয়ে এসেছে – বিশেষ করে বিজয়ের পরে। কারণ মুজিবনগর সরকার বঙ্গবন্ধুর সরকার। তাঁকে ছাড়া শরনার্থী, যুদ্ধাপরাধীর বিচার, ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কিত নতুন ইস্যুগুলো এবং নতুন দেশের সাথে চুক্তি সম্পাদনের জন্য বঙ্গবন্ধুকে ভারতের বিশেষ প্রয়োজন ছিলো। ফলে তাঁর মুক্তির জন্য ভারত সবচেয়ে বেশী চাপ প্রয়োগ করেছে, যার অসংখ্য দলিলপত্র পাওয়া যায়। তবে একথাও অনস্বিকার্য যে, ভেঙ্গে যাওয়া পাকিস্তানকে কোনোভাবে এক রাখা বা যুদ্ধবন্দীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলো। [5], [17]–[19] বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বাহুল্য করার যেমন দরকার নেই, তেমনি এই কথাটা বলে সমসাময়িক ভারত-বিদ্বেষকে কাজে লাগানো মুক্তিযুদ্ধের আলোচনায় অতি অপ্রয়োজনীয়। বঙ্গবন্ধুর সাথে ইন্দিরার দেখা হয় বিজয় অর্জনের ২৫ দিন পরে, ফোনে কথা হয় ২৩ দিন পরে। ভারতীয় সৈন্য এতদিন বসে ছিলোনা। তার আগেই বেশীরভাগ সৈন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ত্যাগ করেছিলো।
বঙ্গবন্ধু জীবনে প্রথম দেখায় ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বিষয়টা তুলেছিলেন, সেটাই তাঁর বড় কূটনৈতিক সচেতনতা। [16] এবং ইন্দিরা গান্ধীও ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে সম্পাদিত চুক্তি এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনায় সেরকম সিদ্ধান্তই রেখেছিলো।
References:
[1] “সৈন্য ফেরানোর ব্যাপারে ইন্দিরার ঘোষণা | ২০ ডিসেম্বর ১৯৭১ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/73283#gsc.tab=0 (accessed Aug. 17, 2020).
[2] “পশ্চিম সীমান্তে ইয়াহিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন | US fears Yahya won’t quit war | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/97253#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[3] “১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ঃ রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, দক্ষিন চট্টগ্রাম, কক্সসবাজার দখল | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/96919#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[4] Major Gen K M Safiullah BU PSC, 15th August: A national Tragedy, 1st ed. Agami, 2014.
[5] “পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু – রবার্ট পেইন (Unicoded) | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/32113#gsc.tab=0 (accessed Aug. 17, 2020).
[6] রিমিসিমিন হোসেন, তাজউদ্দীন আহমদ আলোকের অনন্তধারা, 3rd ed. প্রতিভাস, 2006.
[7] “তাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং তারপর – কামাল হোসেন (Unicoded) Part 3 | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/84603#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[8] “লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ১৯ মিনিটের প্রশ্নোত্তর (ভিডিও) | স্বদেশ প্রত্যাবর্তনপূর্ব প্রেস কনফারেন্স | ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/71769#gsc.tab=0 (accessed Aug. 17, 2020).
[9] “৮ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ ইন্দিরা গান্ধীর সাথে শেখ মুজিবের টেলিফোন আলাপ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/101638#gsc.tab=0 (accessed Aug. 17, 2020).
[10] “৮ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ ঢাকায় পরিবার ও নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/101654#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[11] “৮ জানুয়ারী ১৯৭২ (বিকেল)ঃ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সাথে শেখ মুজিবের সাক্ষাৎ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/101631#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[12] S. S. Banerjee, “India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan (A Political Treatise).” Banerjee, Sashanka S., p. p.182, 2011.
[13] “১০ জানুয়ারী ১৯৭২ঃ দিল্লীতে শেখ মুজিবের ৩ ঘণ্টা | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/101484#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[14] “স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের সম্পূর্ণ অডিও ও টেক্সট | ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/18707#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[15] “ইন্দিরানামা, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে ইন্দিরা কোন কোন জায়গায় গিয়েছেন? | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/2976#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[16] “বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের কৃতিত্ব শেখ মুজিবের | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/84206#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[17] “মুজিবকে জীবিত ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ভুট্টো পাকিস্তানি বন্দীদের ছেড়ে দিতে বাধ্য করেন ইন্দিরাকে – শশাঙ্ক ব্যানার্জি | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/116658#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[18] “Freedom was a hand clapping | ভুট্টো পাকিস্তানের জনগণকে বললেন, ‘আমি মুজিবকে ছেড়ে দেবার ব্যাপারে আপনাদের অনুমতি নিতে এসেছি।’ | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/101734#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).
[19] “ছেড়ে দেবার সময় বঙ্গবন্ধুকে ৫০ হাজার ডলার হাতখরচ অফার করেছিলেন ভুট্টো | সংগ্রামের নোটবুক.” https://songramernotebook.com/archives/117884#gsc.tab=0 (accessed Aug. 18, 2020).