You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে কাদের সিদ্দিকী

সারা দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার কোনাে প্রতিবাদ সেদিন দৃশ্যমান হয়নি। আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। একমাত্র ব্যতিক্রম যুবনেতা কাদের সিদ্দিকী। তিনি কয়েক শ ছাত্র-যুবককে সংগঠিত করে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থান নেন। ভারতের অভ্যন্তরে ঘাঁটি গেড়ে তারা বাংলাদেশের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। ভারত সরকারও তাদের সীমিত সাহায্য দিতে সম্মত হয়। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট একাত্তরের প্রেক্ষাপটের তুলনায় একেবারেই ভিন্ন। একাত্তরে সাত কোটি মানুষ মুক্তিবাহিনীকে ব্যাপক সাহায্য-সহযােগিতা করেছে। কিন্তু পঁচাত্তরে সাধারণ মানুষ কাদের সিদ্দিকীর বাহিনীকে সমর্থনসহযােগিতা দেয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে কাদের সিদ্দিকী তার লােকজন নিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থান নেন। কয়েক মাস পর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারেও পরিবর্তন আসে। মােরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কাদেরিয়া বাহিনীকে কোনাে ধরনের সাহায্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। ফলে এ বাহিনী ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। [1, pp. 182–183]

References:

[1] হাফিজ উদ্দিন, সৈনিক জীবন গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পচাত্তর [Military life, seventy one the pride, seventy five the blood bath], 1st ed. Prothoma, 2020.

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!