You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান ও আমেরিকা

অভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরই চীন ও সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। উল্লসিত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো বাসমতি চাল এবং কাপড় বাংলাদেশকে সাহায্য হিসেবে পাঠান। পাকিস্তান ভাঙার জন্য জুলফিকার আলী ভুট্টো অনেকাংশে দায়ী, তাঁর উসকানিতেই পাকিস্তানি সামরিক জান্তা একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। বাংলাদেশ ভাত-কাপড়ের জন্য কারও কাছে আত্মবিক্রয় করেনি এবং এ ধরনের অযাচিত দাক্ষিণ্য বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক। পঁচাত্তরেও আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে কোল্ড ওয়ার চলমান ছিল। বঙ্গবন্ধু সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার ধরে নেয় তিনি সােভিয়েত ব্লকে যােগ দিয়েছেন। এ কারণেই তাদের গােয়েন্দা সংস্থা ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে মদদ জুগিয়েছে বলে জনমনে ধারণা জন্মায়। একাত্তরে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার, বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার মেনে নিতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রেসিডেন্ট ফোর্ডের সঙ্গে তাঁর মিটিং অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল এবং ফোর্ড প্রথম সাক্ষাতে শীতল মনােভাব প্রদর্শন করায় বঙ্গবন্ধু কিছুটা অসন্তুষ্ট ছিলেন। এটিও তার সােভিয়েত ব্লকের প্রতি ঝুঁকে পড়ার অন্যতম কারণ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। [1, p. 177]

References:

[1] হাফিজ উদ্দিন, সৈনিক জীবন গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পচাত্তর [Military life, seventy one the pride, seventy five the blood bath], 1st ed. Prothoma, 2020.

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!