You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিজয়ের পরে কীভাবে ঢাকায় স্ট্যাব্লিশ হয়?

১২ জানুয়ারি ১ম ইস্ট বেঙ্গল শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে পৌছাল। তারা সেনানিবাসে বনানী চেকপােস্টের পশ্চিমে খেলার মাঠের দক্ষিণ পাশের ব্যারাক ও অফিসে অবস্থান নেয়। ঢাকায় আসতে পেরে সবাই আনন্দিত। ঢাকা সেনানিবাসে কর্নেল সফিউল্লাহর অধিনায়কত্বে ৪৬তম ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হয়। এ ব্রিগেডের ইউনিটসমূহ ১ম ইস্ট বেঙ্গল, ২য় ইস্ট বেঙ্গল, ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল, ১৬ ইস্ট বেঙ্গল এবং ২য় ফিল্ড আর্টিলারি। প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানীকে চার তারকা জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ঢাকা সেনানিবাসের পূর্বতন ডিভিশন হেডকোয়ার্টারে তিনি সেনা সদর দপ্তর স্থাপন করেন।
আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি বাহিনীর ৯০ হাজার সৈনিক ও অফিসারকে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার পর ঢাকা সেনানিবাস বিরানভূমিতে পরিণত হয়। ব্যারাকসমূহ খালি, অফিসারদের বাসস্থানে সুনসান নীরবতা। বিগত ৯ মাস। ধরে যারা আসুরিক শক্তি প্রয়ােগ করে বাঙালি জাতিকে ভূপৃষ্ঠ থেকে নির্মূল করার জন্য ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়েছে, আজ পর্যদস্ত হয়ে অবনত মস্তকে বাঙালিদের ঘৃণার শিকার হয়ে তারা দেশত্যাগ করছে। ক্যান্টনমেন্টের খালি বাসায় আমাদের মতাে ব্যাচেলর অফিসারদের থাকতে হচ্ছে, যাতে আসবাব চুরি না হয়। পাকিস্তানি অফিসারদের তাদের সােফা সেট, টেলিভিশন, ফ্রিজ ইত্যাদি রেখেই ভারতের বন্দিশালায় যেতে হয়েছে। [1, p. 115]

References:

[1] হাফিজ উদ্দিন, সৈনিক জীবন গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পচাত্তর [Military life, seventy one the pride, seventy five the blood bath], 1st ed. Prothoma, 2020.

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!