You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুজিবনগর সরকারের গার্ড অব অনার কেন আনসারবাহিনী দিয়েছিলো?

১৭ এপ্রিল সে সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয়। | মেহেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম বৈদ্যনাথতলা, তিন দিক থেকে ভারতীয় ভূখণ্ড বেষ্টিত। এখানে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে আমবাগান। সেখানে দুটি কাঠের চৌকি জোড়া দিয়ে মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। কোনাে সাজসজ্জা বা জৌলুশ নেই। হাজার হাজার জনতা সীমান্তের উভয় পার থেকে এসে আমবাগানে সমবেত হয়েছে। সবার চোখেমুখে ঔৎসুক্য। আমরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৈদ্যনাথতলায় পৌছলাম। নেতারা যথাসময়েই সেখানে এসে পৌছেছেন। রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়ার দায়িত্ব ইপিআর সেনাদলের, কিন্তু আমাদের পৌছতে কিছুটা দেরি হওয়ায় এসডিপিও মাহবুবউদ্দিন আটজন আনসারের সমন্বয়ে একটি দল নিয়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেন। এখানেই দেখা হলাে প্রধান সেনাপতি কর্নেল ওসমানীর সঙ্গে। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে আর্মি সার্ভিস কোরে কমিশনপ্রাপ্ত, ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার চালচলন বা ম্যানারিজমে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য দৃশ্যমান। হালকা-পাতলা গড়ন, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী। বিশাল গোঁফ তার মুখমণ্ডলের প্রধান বৈশিষ্ট্য, সহজেই সমীহ আদায় করে। পঞ্চাশের দশকের গােড়ার দিকে তিনি পদাতিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হন এবং ১ম ইস্ট বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসাররূপে দায়িত্ব পালন করেন। [1, p. 86]

References:

[1] হাফিজ উদ্দিন, সৈনিক জীবন গৌরবের একাত্তর রক্তাক্ত পচাত্তর [Military life, seventy one the pride, seventy five the blood bath], 1st ed. Prothoma, 2020.

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!