আওয়ামী লীগে কিন্তু সত্যি সত্যিই যুদ্ধাপরাধী আছে!
রিজভীর মতো ভুঁয়া তালিকা না, সত্যি সত্যি একটা তালিকা দেই আওয়ামী লীগের যুদ্ধাপরাধীদের।
এক। মোবারক হোসেন- ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা। মুক্তিযুদ্ধকালে রাজাকার বাহিনীতে ছিল এবং তার নেতৃত্বে গঙ্গাসাগর দীঘিতে ৩৩জনকে হত্যা করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে তার বিরুদ্ধে ফাঁসীর আদেশ হয়েছে, বর্তমানে আপীল চলমান।
দুই। লিয়াকত আলী- হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সাধারন সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধকালে মুসলিম লীগ কর্মী এবং রাজাকার সদস্য। তার নেতৃত্বে কৃষ্ণপুর হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। নভেম্বর ২০১৮, ট্রাইবুনাল তার বিরুদ্ধে ফাঁসীর রায় ঘোষনা করেছে।
তিন। প্রদীপ মুনির- সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই(+শাল্লা) উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা। তার বাবা পিডিপি নেতা রাজাকার কমান্ডার খালেকের নেতৃত্বে পেরুয়া হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। মুক্তিযোদ্ধারা তার বাবাকে হত্যা করেন। ট্রাইবুনাল তদন্ত শুরু করলে প্রদীপ আমেরিকা পালিয়ে যায়, সম্প্রতি তার ভাই জুবায়ের সহ এই মামলার কয়েক জন গ্রেপ্তার হয়েছে, চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে।
চার। আবুল খায়ের (গোলাপ মিয়া)- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজাইনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক। মুক্তিযুদ্ধকালে মুসলিম লীগ কর্মী এবং ইউনিয়ন রাজাকার কমান্ডার। ১৭ জনকে হত্যা, ৬ নারীকে ধর্ষণ, ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ-নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে মামলা চলমান এবং ২০১৬ থেকে কারাগারে আটক।
এবার দেখে নিন- আওয়ামী লীগ তাদের যুদ্ধাপরাধী নেতাদের রক্ষা করার জন্য কী কী কর্মসূচী গ্রহন করেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহন করেছে, তদন্ত করেছে, মামলা গঠন করেছে, বিচার করেছে এবং আপীল ও করছে।
.দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এদেরকে বহিস্কার করেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, এদের কেউই মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগ কর্মী ছিলোনা- পরে যোগ দিয়েছিলো।
রিজভী টাইপের মিথ্যাবাদীদের উদ্দেশ্যপ্রনোদিত তালিকায় মনোযোগ না দিয়ে সত্যি সত্যি যদি জানা থাকে আওয়ামী লীগে কোন যুদ্ধাপরাধী আছে- ট্রাইবুনালে অভিযোগের ব্যবস্থা করুন ভিক্টিমদের দ্বারা। বুঝা যাবে, আপনি আন্তরিক।
আর সেটা না করে যদি শুধু ফেসবুকে ফোঁসফাস করতে থাকেন- বুঝে নিবো ‘ব্যথা ফুটেছে কোনখানে?’
Written by –