You dont have javascript enabled! Please enable it!

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব : পরিপ্রেক্ষিত

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের ৩ বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সরকার পদ্ধতি, রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, ভূমি, উৎপাদন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচারব্যবস্থা, প্রচার মাধ্যম ইত্যাদির মৌলিক পবির্তন সাধন করে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যাকে তিনি ‘This is our second revolution’ বা দ্বিতীয় বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করেন। একে তিনি সিস্টেম চেঞ্জ’ হিসেবেও অভিহিত করেন। এ লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি সংবিধানে চতুর্থ সংশােধনী আনা হয়। এর আওতায় সংসদীয় পদ্ধতির সরকারের স্থলে রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। বঙ্গবন্ধু ৫ বছরের জন্য সংসদ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি এবং ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ৬ই জুন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের প্রতি অনুগত, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-আদর্শে বিশ্বাসী সরকারি-বেসরকারি নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ বা বাকশাল নামে একটি জাতীয় দল গঠন করা হয়। ২১শে জুন সকল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এভাবে গঠিত ৬১টি জেলার প্রতিটির জন্য ১৬ই জুলাই একজন করে গভর্নর নিযুক্ত করা হয়। এছাড়া, শুধু ৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু তাঁর দ্বিতীয় বিপ্লব বা সিস্টেম চেঞ্জের জন্যে কেন উদ্যোগী হয়েছিলেন? এর পটভূমি বা পরিপ্রেক্ষিতই-বা কী ছিল? এসব বিষয় এ অধ্যায়ে সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিপ্লবের পরিপ্রেক্ষিত
১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনের দায়িত্বভার নিজের ওপর নেন। স্বল্প সময়ের পরিসরে তার নেতৃত্বাধীন সরকার যুগান্তকারী সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যদের দেশে ফেরত পাঠানাে, মুক্তিযুদ্ধকালে ভারতে আশ্রয় নেয়া ১ কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন, পঙ্গু মুক্তিযােদ্ধাদের দেশে-বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কয়েক লক্ষ নির্যাতিত মা-বােনের পুনর্বাসন, পাকিস্তানে

আটকেপড়া কয়েক লক্ষ বাঙালিকে দেশে ফেরত আনা, ধ্বংসপ্রাপ্ত সেতু মেরামত ও যােগাযােগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন, চট্টগ্রাম ও চালনা সমুদ্র বন্দর থেকে মাইন অপসারণ, নতুন রাষ্ট্রের জন্য সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী-সহ প্রতিরক্ষা বাহিনী পুনর্গঠন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ১০ মাসের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বিশ্বের অন্যতম শ্ৰেষ্ঠ সংবিধান প্রণয়ন, মুক্তিযুদ্ধকালীন রাষ্ট্রপতি ব্যবস্থার স্থলে বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থা প্রবর্তন, ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠন সংবিধানে নিষিদ্ধ ঘােষণা (অনুচ্ছেদ ৩৮), স্বাধীনতার ১৫ মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান (৭ই মার্চ ১৯৭৩), শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিজ্ঞানভিত্তিক, গণমুখী ও যুগােপযােগী করে ঢেলে সাজানাের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ড. মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কালাকানুন বাতিল করে ১৯৭৩-এর গণতান্ত্রিক আদেশের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় স্বায়ত্তশাসন প্রদান, ৪০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ ও কয়েক লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষককে সরকারি মর্যাদা দান, ১১ হাজার নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ, জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি)সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ব্যবস্থা, বাংলাদেশের জন্য শতাধিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অর্জন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা হত্যা, খুন, অগ্নিসংযােগ, নারী নির্যাতন ইত্যাদির মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে। অপরাধ সংঘটিত করেছে, তাদের বিচারের উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ (বিচার) ট্রাইব্যুনাল আইন, সমুদ্রসীমা আইন পাশ (১৯৭৪), ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষর (১৯৭৪) ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।
স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকারকে এক চরম বৈরী অবস্থায় দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযােদ্ধারা অস্ত্র জমা দিলেও মুক্তিযুদ্ধকালে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এরপরও অনেকের কাছে থেকে যায়। সশস্ত্র ডাকাতি, লুটতরাজ, ছিনতাই, পরিত্যক্ত বাড়িঘর দখলের মতাে সমাজবিরােধী কর্ম চলতে থাকে। উপর্যুপরি বন্যা, খরা ইত্যাদি কারণে দেশে খাদ্য-সংকট সৃষ্টি, বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করে তা মােকাবেলায় গৃহীত প্রচেষ্টা আন্তর্জাতিক রাজনীতির মারপ্যাচের মধ্যে পড়ে বিপন্ন হওয়া১ এবং পরিশেষে ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে কয়েক হাজার লােকের প্রাণহানি,২ আরব-ইসরাইল যুদ্ধ (১৯৭৩)-এর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব, ঘুষ-দুর্নীতি, কালােবাজারি-মজুদদারি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইত্যাদি থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি মােকাবেলা স্বাভাবিক অবস্থায়ও যেকোনাে সরকারের জন্য খুবই কঠিন ছিল। এসবের ওপরে ছিল রাজনৈতিক সংকট, যা সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বাধীনতার পর বাম নামধারী চীনপন্থী কিছু গােপন সংগঠন, যেমন সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বাধীন সর্বহারা পার্টি, আব্দুল হক (যশাের)-এর পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট), মােহাম্মদ তােয়াহা, আলাউদ্দিন, সুখেন্দু
পৃষ্ঠাঃ ২১

দস্তিদার, আব্দুল মতিন, টিপু বিশ্বাস প্রমুখের নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন কমিউনিস্ট গ্রুপ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘অসমাপ্ত বিপ্লব’ এবং বঙ্গবন্ধু সরকারকে রুশ-ভারত কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া ‘অবৈধ সরকার’ বলে গােপনে প্রচারণা চালাতে থাকে। এদের কেউ-কেউ যেমন আব্দুল হকের নেতৃত্বাধীন পার্টি৩ দেশ যে স্বাধীন হয়েছে, তা-ই স্বীকার করতে চায়নি। এরা সংসদীয় রাজনীতিতে আদৌ বিশ্বাসী ছিল না। সেসময়ে ভারতের পশ্চিম বাংলা জুড়ে খুবই সক্রিয় চারু মজুমদারের নকশালবাড়ি আন্দোলন দ্বারা তারা গভীরভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তাঞ্চল সৃষ্টির চেষ্টাসহ সশস্ত্র পন্থায় ক্ষমতা দখলের অতি উগ্র রাজনৈতিক লাইন অনুসরণ করে গােপন তৎপরতা চালাতে থাকে। থানা, পুলিশ ফাড়ি, বাজার ও ব্যাংক লুট, পাটের গুদামে আগুন, রেল লাইনের স্লিপার উপড়ে ফেলা, শ্রেণি-শত্রু খতমের নামে মানুষ হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, সংসদ সদস্যদের হত্যা ইত্যাদির মাধ্যমে তারা কার্যত সরকারের বিরুদ্ধে একটি অঘােষিত যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ১৯৭৩ সালে ৫ মাসেই এদের হাতে ৬০টি থানা আক্রান্ত ও সকল অস্ত্র লুট হয়ে যায়।৪
মুক্তিযুদ্ধবিরােধী দেশি-বিদেশি শক্তি ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে ঠেকাতে ব্যর্থ হয় বটে, তবে স্বাধীনতার পরেও তাদের বাংলাদেশ-বিরােধী অপতৎপরতা অব্যাহত থাকে। তারা নতুন এ রাষ্ট্র এবং বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধুর কথায়, বাংলাদেশের মাটি যেন একটা হটবেড অব ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স হয়ে গেছে।৫ উল্লেখ্য, কুখ্যাত শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গােলাম আযম (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আজীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বন্দি অবস্থায় ২০১৪ সালে মৃত্যু) মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের পূর্বমুহূর্তে পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। এরপর লন্ডনে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরােধী তৎপরতা পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহে নিজেকে নিয়ােজিত করে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশসমূহ যাতে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে কোনােরূপ সাহায্য-সহযােগিতা না করে, সেজন্য ঐসব দেশে সে প্রচারণা চালায়। তবে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের সাড়ে দশ মাসের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৩১শে অক্টোবর আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের সাবেক ও তৎকালীন নেতৃত্বের একটি অংশ কর্তৃক শ্রেণি সংগ্রাম’, ‘সামাজিক বিপ্লব’ ইত্যাদি রােমাঞ্চকর স্লোগান আর ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে প্রতিষ্ঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ-এর পক্ষ থেকে।৬ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের রাজনৈতিক ধারা থেকে জন্ম নেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের কারণে একমাত্র জাসদ নেতৃত্বের পক্ষেই বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরােধিতায় নতুন দল গঠন সম্ভব হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরােধী পাকিস্তানপন্থি সাম্প্রদায়িক দলসমূহ স্বাধীন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ থাকায় সেসব দলের কর্মী-সমর্থকদের অনেকে সরকারের বিরােধিতায় জাসদের ব্যানারে সমবেত হয়। ১৯৭৪ সালে জাসদ
পৃষ্ঠাঃ ২২

আওয়ামী লীগ সরকারকে সশস্ত্র পন্থায় উৎখাত করতে সর্বাত্মকভাবে নিয়ােজিত হয়। বলা যায়, এরই অংশ হিসেবে ঐ বছর ১৭ই মার্চ দলটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওএর মতাে আত্মঘাতী কর্মসূচি গ্রহণ করে। এভাবে জাসদের হঠকারী রাজনীতি ও চরম ভারতবিরােধিতা একদিকে যেমন অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, অপরদিকে তেমনি রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। একই সময়ে, মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী)-র মুখপত্র হক কথা ভারত ও বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরােধিতায় চরম বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণায় লিপ্ত হয়। রাজনীতির এ অবস্থাকে বঙ্গবন্ধু ফ্রি স্টাইল হিসেবে অভিহিত করেন।৭ উদ্ভূত অবস্থায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটতে থাকে। ৫ জন সংসদ সদস্যসহ কয়েক হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।৮ জাতীয় জীবনের এই সংকটময় পরিস্থিতি মােকাবেলায় সরকার ১৯৭৪ সালের ২৮শে ডিসেম্বর দেশে জরুরি অবস্থা ঘােষণা করে। উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের সংবিধানে জরুরি অবস্থা ঘােষণার বিধান পর্যন্ত ছিল না। অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি মােকাবেলায় ১৯৭৩ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশােধনী আইন পাশ করে তাতে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ-রকম রাজনৈতিক পটভূমিতে বঙ্গবন্ধু তার দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনা করেন।
তবে, দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সমাজ-মানুষ সম্বন্ধে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক লক্ষ্য বাস্তবায়নে তার ভেতর যে মৌলিক চিন্তাভাবনা ছিল, তা-ই অধিকতর কাজ করছিল, যা পরবর্তী অধ্যায়ে আলােচিত হয়েছে।
তথ্যনির্দেশ
১. দ্রষ্টব্য Rehman Sobhan, ‘Politics, Food and Famine in Bangladesh’, Economic and Political Weekly (Bombay), 1 December 1979; Nurul Islam, Making of a Nation Bangladesh : An Economist’s Tale, Dhaka 2005, pp. 229-233
২. একদিকে দেশে খাদ্য সংকট, অপরদিকে দেখা দেয় ভয়াবহ বন্যা। এমতাে পরিস্থিতিতে সরকার ৫ হাজার ৭ শ লঙ্গরখানা খুলে দুর্ভিক্ষ মােকাবিলায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। এতদসত্ত্বেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী দুর্ভিক্ষে ২৭ হাজার ৫শ লােক মারা যায়।
৩. ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত পার্টির নাম ছিল East Pakistan Communist Party (Marxist-Leninist), অর্থাৎ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৪ বছর পরও পূর্বের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়।
৪. Talukder Mniruzzaman, The Bangladesh Revolution and Its Aftermath, UPL 2003, p. 164
৫. ১৯৭৫ সালের ৬ই জুন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, শফিকুল আজিজ মুকুল, বাকশাল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু, ঢাকা ১৯৭৯, পৃ. ৬৬; আরাে ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, শফিকুল আজিজ মুকুল, বাকশাল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু, পৃ. ১৩; মিজানুর রহমান মিজান (সম্পাদিত), বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, ঢাকা, নভেল পাবলিকেশন্স ১৯৮৯, পৃ. ১৭৫
৬. দ্রষ্টব্য হারুন-অর-রশিদ, মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, পৃ. ১৫৮- ১৫৯, ১৭০-১৭১; আরাে দ্রষ্টব্য মহিউদ্দিন আহমদ, জাসদের উত্থান পতন : অস্থির সময়ের রাজনীতি, ঢাকা, প্রথমা ২০১৪
৭. ১৯৭৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, শফিকুল আজিজ মুকুল, বাকশাল সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু, পৃ. ১৮
৮. ৫ জন সংসদ সদস্য হলেন সওগাতুল আলম ছগীর (মঠবাড়িয়া, বরিশাল; ৩রা জানুয়ারি ১৯৭৩), নুরুল হক (নড়িয়া, ফরিদপুর; ৩১শে মে ১৯৭৩), মােতাহার উদ্দিন আহমেদ (লালমােহন, ভােলা; ১০ই জানুয়ারি ১৯৭৪), মইনুদ্দিন মিয়াজী (যশাের) ও গােলাম কিবরিয়া (কুষ্টিয়া)। এঁরা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।

রেফারেন্স – বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব: কী ও কেন, হারুন-অর-রশিদ

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!