শিরোনাম |
সূত্র | তারিখ |
এ্যাকশান বাংলাদেশ-এর ভূমিকা ও কর্মসূচী | এ্যাকশান বাংলাদেশ-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি | … জুলাই, ১৯৭১ |
এ্যাকশন বাংলাদেশ
৩৪ স্ট্র্যাটফোর্ড ভিলা
লন্ডন এন ডব্লিউ ওয়ান
এ্যাকশান বাংলাদেশ, একটি ব্রিটিশ গ্রুপ, ২০শে এপ্রিল, ১৯৭১ সালে একটি সভায় স্থাপিত হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন পীস নিউজের প্রতিনিধি, ইন্টারন্যাশনাল কনসান্স ইন অ্যাকশন, পীস প্লেজ ইউনিয়ন, থার্ড ওয়ার্ল্ড রিভিও, ইয়ং লিবারেলস, বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম কমিটি, বাংলাদেশ নিউজ লেটার এবং পীস কমিটির বন্ধুরা সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
এটির উদ্দেশ্য ছিল পাবলিক, প্রেস এবং অন্যান্য সংগঠনের সদস্যদের জন্যে তথ্য সরবরাহ করা যাতে তারা ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে সৈন্য তাড়ানো এবং ত্রাণ পৌছানো’- এর ব্যপারে কিছু করতে পারে।
ডায়েরিঃ
এপ্রিল ২৮ঃ
ইংলিশ স্পিকিং ইউনিয়নের বাইরে সংঘটিত বিক্ষোভের কো-স্পন্সর ছিলাম, যেটি পাকিস্তান ক্রিকেট একাদশের জন্যে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। “খেলা শুরু কোরো না- যুদ্ধ বন্ধ কর!”
মে ১৩ঃ
দ্যা টাইমসে একটি ৩/৪ পেইজের বিজ্ঞাপন দিই (‘এই মুহূর্তে এটাই দেখানো দরকার যে মানুষ একটি ‘অভ্যন্তরীণ সমস্যা’ থেকেও বেশি কিছু’’)। এটিতে সর্বস্তরের ২০৬ জন মানুষ স্বাক্ষর এবং আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন, এবং মে ১৪-তে হাউজ অব কমন্সে বিতর্কের আগের দিন প্রকাশিত হয়।
বার্মিংহাম রিলিফ এবং অ্যাকশন কমিটির কো-স্পন্সরে হাউজ অব কমন্সের বিপরীতে আলবার্ট বাঁধের উপরে একটি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়ঃ “এম.পিজ শো ইউ কেয়ার” !
মে ২৫ঃ
বাংলাদেশে খাদ্য এবং ওষুধপত্র পৌঁছাতে সমর্থন পাওয়ার জন্যে ‘ব্রেক দ্যা ব্লকেড রেজোলিউশন – অবরোধ কর্মসূচী তুলে নাও’ – শীর্ষক একটি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সূত্রপাত করি।
জুন ৩ঃ
কেনসিংটনের দ্যা ভেরে হোটেলে গান্ধীর বিশিষ্ট শিষ্য, জয়প্রকাশ নারায়ণের সাথে এই বিষয়ে ক্রমেই বেড়ে যাওয়া ব্রিটিশ অ্যাকশনের জন্যে আয়োজিত একটি সংবর্ধনার সংঘটন এবং স্পন্সর করি।
জুন ৭ঃ
ওয়্যার রেজিস্টরস ইন্টারন্যাশনাল, কমিউনিটি রিসার্চ এন্ড অ্যাকশন গ্রুপ, ম্যানচেস্টার, এবং পিস নিউজের সহযোগিতায়ঃ অপারেশন ওমেগা চালু করা হয়। এটি ‘পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের’ ‘অনুমতি’ ছাড়াই, বাংলাদেশের মানুষের কাছে সরাসরি খাদ্য এবং চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্যে একটি প্রচেষ্টা।
জুন ১০ঃ
লন্ডন অঞ্চলের বাংলাদেশ কমিউনিটির সাথে (বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অ্যাকশন কমিটি, বাংলাদেশ উইমেন্স এসোসিয়েশন ইন গ্রেট ব্রিটেন, বাংলাদেশ যুব সংঘ, বাংলাদেশ অ্যাকশন কমিটি ইন স্ট্রিথাম, অ্যাকশন কমিটি ফর বাংলাদেশ (উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম লন্ডন), বাংলাদেশ ত্রাণ তহবিল এবং পরিচালনা কমিটি) যুক্ত হয়ে “স্টপ এইড টু পাকিস্তান ক্যাম্পেইন”- চালু করেছি।
জুন ১১ঃ
অপারেশন ওমেগা -এর উপরে দ্যা গার্ডিয়ানে প্রকাশিত ১/৪ পৃষ্ঠার বিজ্ঞাপনে কো-স্পন্সর করেছি।
জুন ১৪-১৮ঃ
“স্টপ এইড টু পাকিস্তান ক্যাম্পেইন” – পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়ামের ১০টি দেশের লন্ডন দূতাবাসের বাইরে ৫ দিনের মধ্যে ১০টি বিক্ষোভের আয়োজন করে। “পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা মানে বাংলাদেশের জনগণকে গণহত্যা করা !” প্রতিটি দূতাবাসের একজন প্রতিনিধির কাছে নিজ নিজ হেড অব স্টেট বরাবর একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয়।
জুন ১৫ঃ
“স্টপ এইড পাকিস্তান ক্যাম্পেইন”-এর দুই প্রতিনিধিকে এই ইস্যুতে ফরাসিদের উদ্বেগ বাড়াতে প্যারিসে পাঠানো হয়েছে ২১শে জুন প্যারিসে সংঘটিতব্য পাকিস্তান এইড কনসোর্টিয়ামের সভার আগেই।
জুন ১৮ঃ
নিউ স্টেটসম্যান-এরঃ “অ্যাকশন বাংলাদেশ” শীর্ষক ১/৪ পৃষ্ঠার বিজ্ঞপ্তিতে স্পন্সর করেছি
জুন ১৯ঃ
“স্টপ এইড টু পাকিস্তান”- এর আরও ৬ জন প্রতিনিধিকে প্যারিসে পাঠানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ফিরেছে।
জুন ২১ঃ
প্যারিসঃ সকাল এগারোটা। বিশ্বব্যাংক ভবন-যেখানে পাকিস্তানে সাহায্য প্রস্তাব নিয়ে টাটকা আলোচনা চলছিল- তার বাইরে বিক্ষোভের জন্যে কো-স্পন্সর করেছি। প্রায় ১৫০ জন বাঙালি ব্রিটেন থেকে এই বিক্ষোভ সমর্থনে এসেছিল। বার্মিংহাম থেকে ২টি কোচ এবং আরেকটি লন্ডন থেকে এসেছিল। রয়টার্স এবং এ.পি. উভয়ই এই বিক্ষোভ সম্পর্কে রিপোর্ট করেছিল।
প্যারিসঃ বেলা ৪টা। ফরাসি প্রেসের কাছে এক প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসার আগে তিন প্রত্যক্ষদর্শী- তাদের বিবরণীতে তারা কি দেখে এসেছেন তা বিবৃত করেন। ফরাসি সংবাদপত্র কমব্যাট ২২শে জুন তাদের সাক্ষ্যের পূর্ণ বিবরণী ২২শে জুন প্রকাশ করে।
জুন ২৫ঃ
দ্যা ট্রিবিউনে প্রকাশিতঃ “অ্যাকশন বাংলাদেশ” বিজ্ঞপ্তি স্পন্সর করেছি।
জুন ৩০ঃ
“পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা এবং বাংলাদেশের স্বীকৃতি”- শীর্ষক দ্যা টাইমসে প্রকাশিত সম্পূর্ণ পৃষ্ঠা(পৃষ্ঠা ৩)-এর বিজ্ঞাপন স্পন্সর করেছি। এটিতে হাউজ অব কমন্সের কাছে প্রেরিত রেজ্যুলেশনটি ছিল, যাতে ২১০ জন এম.পি স্বাক্ষর করেন, যেখানে ছিলেন ১১ জন প্রিভি কাউন্সিলর এবং ৩০ জনেরও বেশি সাবেক মন্ত্রী।
জুলাই ১ঃ
অপারেশন ওমেগা-এর প্রথম দল এবং গাড়ি- ওমেগা ওয়ান – বেলা বারোটায় বাংলাদেশ অভিমুখে ট্রাফালগার স্কয়ার থেকে যাত্রা শুরু করে।
ভবিষ্যৎ কর্মসূচীঃ
ওমেগা ২, ওমেগা ৩, ইত্যাদি ………………………….
ট্রাফালগার স্কয়ার সমাবেশ বেলা ২.০০ – সন্ধ্যা ৬.০০ টা, রোববার পহেলা অগাস্ট।