১৫ জুলাই, ১৯৭১ সাদ আহমদ
কুষ্টিয়া জেলা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় নেতা সাদ আহমদ দুস্কৃতকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সর্বান্তঃকরণে চেষ্টা চালানোর জন্য রাজাকারদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি জানান, রাজাকারা দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) উৎখাত ও জনসাধারণের মধ্যে মনোবল সুদৃঢ় করার কাজ করে যাচ্ছে। বিপুল সংখ্যক দেশপ্রেমিক রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। রাজাকাররা ইতিমধ্যে বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে ও দুষ্কৃতকারী দমন করেছে।
মার্চ ১৯৭০ ইকবাল সোবহান চৌধুরী বাংলা ছাত্রলীগের হয়ে ডাকসুতে জি এস প্রার্থী ছিলেন। বাংলা ছাত্রলীগ পাকিস্তান ন্যাশনাল লীগের ছাত্র সংগঠন। এই দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান খান এবং সধারন সম্পাদক ছিলেন শাহ আজিজুর রহমান।
লে কর্নেল আসলাম বেগ ১৯৭১
৬ পিএমএ রিক্রুট আসলাম বেগ একজন উত্তর প্রদেশ থেকে যাওয়া উর্দু ভাষী মোহাজের পাকিস্তানী। ৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত কোন সেনা কর্মকর্তার মধ্যে তিনি প্রথম সেনা প্রধান হন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে যশোর সেক্টর হেড কোয়াটারের কম্যান্ডার ছিলেন পরে সেনা সদরে সংযুক্ত ছিলেন। তাকে বলা হয়ে থাকে নিয়াজির প্রধান উপদেষ্টা। ১৯৮৮ সনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের প্লেন ক্রাশের বিষয়ে তাকে সন্দেহ করা হয়। সামরিক শাসন থেকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যাবস্থায় ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার ভুমিকা থাকলেও বেনজির কে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। ১৯৯০ সনে নওাজ শরিফ কে ক্ষমতায় আনার পিছনেও তার সূক্ষ্ম ভুমিকা ছিল। ইরাক ইরান যুদ্ধে ইরাকের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করে বিতর্কিত হন। ১৯৫ জন যুদ্ধ অপরাধীর তালিকায় তার নাম নাই।