১৯৭৪ সালের ৩১ অক্টোবর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশে আসেন ২২ ঘণ্টার জন্য। সে সময় তার সম্মানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ভােজের আয়ােজন করে। কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদকে আমন্ত্রণ জানানাে হয় নাই। এই আচরণ তাকে ভয়ানক পীড়িত করে। ক্ষুব্ধ হয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার ঢাকা সংবাদদাতা কিরিট ভৌমিক ও সুখরঞ্জন দাশগুপ্তকে তাজউদ্দিন আহমদ বলেন “আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস কিসিঞ্জারের সম্মানে আলাদা আলাদাভাবে দুটো পার্টি দেয়। আমাকে বাদে সংসদের আর সব সদস্যকে আমন্ত্রণ জানানাে হয়।” আবেগে তাজউদ্দীনের কণ্ঠস্বর কাঁপছিল; তিনি বললেন, “আমাকে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় আমি মােটেও অখুশী নই; কারণ, আমি ভালোভাবে জানি যে, এই সেই কিসিঞ্জার যিনি পাকিস্তানকে সাহায্য ও সমর্থন করেছিলেন যখন কলকাতা থেকে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করছিলাম। যা হােক, একটিবার আমি কিসিঞ্জারের সঙ্গে দেখা করতে চাই’ তাকে মাত্র এই বলার জন্যে যে, তাদের বিরুদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আজ মুক্ত।”
Reference:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে র এবং সিআইএ, মাসুদুল হক, pp 111-133
সংগ্রামের নোটবুক
www.songramernotebook.com