১২ জুলাই, ১৯৭১
জামায়াতে ইসলামীর আমীর মওলানা আবুল আলা মওদুদী এক বিবৃতিতে ভুট্টো উত্থাপিত পাকিস্তান সরকার কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের মধ্যে আপোষ মীমাংসার পরামর্শকে ‘রাজনৈতিক হঠকারিতা ও দুরভিসন্ধিমূলক’ বলে অভিহিত করেন।জামায়াতে ইসলামীর আমীর মিয়া তোফায়েল ঢাকা শহরে জামায়াতের এককর্মী সমাবেশে বলেন, ২৫ মার্চের পূর্বে বাঙালীদের অধিকার আদায়ের নামে যে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালানো হয়েছিল তা ছিল পাকিস্তানকে ধ্বংস করার জন্যে দুশমনদের একটি সুসংগঠিত চক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘দুশমনদের চক্রান্ত থেকে মহান সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করছে। আমাদেরকেই এই অবস্থা ধরে রাখতে হবে।’ ছবি মিয়া তোফায়েল ও মউদুদি সময় টার পার্থক্য বেশী নয়। এক বছর। শেখ মুজিবের কিছুদিনের পেশা ছিল ইন্সুরেন্স জীবী। ১৯৭০ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের ত্রান তহবিলে আরেক ইন্সুরেন্স জীবী গোলাম মওলা তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হইতে মোটা অঙ্কের সাহায্য প্রদান করেছিলেন। এই একবছরের মাঝেই মুজিব সাড়ে আট মাস বন্দিত্ব কাটাইয়া লন্ডনে যান। সেখানেই দেখা গোলাম মওলা এর সাথে। মুজিব তাকে সাথে করেই ফিরেন একই প্লেনে। জামায়াতে ইসলামীর মওলানা আব্দুস সুবহান ১৯৬৫ সালের জাতীয় সংসদের এম পি ছিলেন। ঐ একই সংসদে আরেকজন জামাত এম পি ছিলেন আব্বাস আলি খান। সেই হিসাবে তারা ২ জন গোলাম আজম বা মওলানা রহিমের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। ছবি ১৯৬৫ ও ২০১৫ এর