৮ জুলাই, ১৯৭১ পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিল নেতা গন
পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও পিডিপি ভাইস প্রেসিডেন্ট ঢাকা এসে পৌঁছেছেন।
পূর্ব-পাকিস্তান জামাতের জেনারেল সেক্রেটারি আব্দুল খালেক খুলনা, যশোর সফর করেন । ৭ জুলাই ্তিনি বলেছিলেন, দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধারা) হতাশ হয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে তারা লুটতরাজ ও ডাকাতি করছে।
সাবেক এমএনও এবং পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলামের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট মাওলানা আতাহার আলী আহবান জানায় ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করার জন্যে আরো উদ্যমের সঙ্গে কাজ করতে। অন্যদিকে নেজামে ইসলাম পার্টির জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মতিন, পার্টির পার্লামেন্টারী বোর্ডের সেক্রেটারি মঞ্জুরুল আহমদ রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়ার ভাষণকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছিল, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) সঙ্গে কোনো আপোস হতে পারে না।
পাকিস্তান ইসলামিক রিপাবলিক পার্টির প্রেসিডেন্ট এবং পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিলের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট মাওলানা নুরুজ্জামান বিবিসি’র প্রচারণা ও সফরকারী ব্রিটিশ সদস্যের পাকিস্তানবিরোধী সমালোচনার নিন্দা করেন। একই বক্তব্য জানায় পূর্ব-পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কাইয়ূম) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গাইবান্ধা মহকুমা শান্তিকমিটির সেক্রেটারি।
শান্তিকমিটির দালালরা এদিন সভা করে সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী দেওয়ান আব্দুল বাসিতের সভাপতিত্বে মৌলভীবাজারে। এতে উপস্থিত ছিল মহকুমা শান্তিকমিটির আহবায়ক মিসির উল্লাহ, সিলেট শান্ত্তিকমিটির আহবায়ক সাহেদ আলী প্রমুখ। একই দিনে তথাকথিত শান্তিকমিটির দালালরা একত্রিত হয় চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গি বাজারে।