নবাবজাদা লিয়াকত আলী খানের হত্যা
১৬ অক্টোবর, ১৯৫১
পিন্ডি ষড়যন্ত্র মামলার পর গভর্নর জেনারেল গােলাম মুহাম্মদ, সচিব মেজর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা ও জেনারেল আইয়ুব খান প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় ভাষণদানকালে আততায়ীর গুলিতে লিয়াকত আলী খান নিহত হন। মৃত্যুর পূর্বে তিনি উচ্চারণ করলেন- আল্লাহ পাকিস্তানকে হেফাজত কর । নবাবজাদা লিয়াকত আলী খান ভারতের যুক্ত প্রদেশে ১৮৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুর সাথে পাকিস্তানের গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে যায়। ১৯ অক্টোবর খাজা নাজিমউদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন। তার স্থলে গভর্নর জেনারেল হলেন অর্থমন্ত্রী ধূর্ত গােলাম মােহাম্মদ। খাজা নাজিমউদ্দিন নামেমাত্র প্রধানমন্ত্রী। তাকে পুতুল হিসেবে ব্যবহার করে পশ্চিম পাকিস্তানীরা বাঙালীদের ওপর শােষণ চালানাে হয় এবং দু’অঞ্চলের বৈষম্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৫১ সালে পূর্ব বাংলায় তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দেয়। পশ্চিম পাকিস্তানী ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম লবণ সঙ্কট সৃষ্টি করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পশ্চিম পাকিস্তানে লবণ পূর্ব বাংলায় রপ্তানি করে মুনাফা অর্জন করা। ফলে পূর্ব পাকিস্তানে ১৬ টাকা সের দরে লবণ বিক্রি হয়। ১৬ টাকা লবণের সের হওয়ায় মুসলিম লীগের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়। আওয়ামী মুসলিম লীগ মুসলিম লীগের স্বৈরশাসন ও শােষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখে।
Reference:
প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, p 142
সংগ্রামের নোটবুক
www.songramernotebook.com