১। পাকিস্তানি মুদ্রার মূল্যহ্রাসে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না
২। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা চালু হবে।
৩। বাংলাদেশের মুদ্রামান নির্ধারিত হয় পাউন্ড স্টালিং-এর ওপর
১২ মে ১৯৭২ | দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময়
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জনাব এ এন এম হামিদুল্লাহ বলেছেন যে, পাকিস্তান মুদ্রামান হ্রাস করার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর কোনাে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে না। শুক্রবার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। উল্লেখ্য যে, গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান তার মুদ্রার মূল্যমান হাস করেছে। বর্তমানে পাকিস্তানি ১১ টাকা মার্কিন এক ডলারের সমান। জনাব হামিদুল্লাহ বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পারিক প্রতিযােগিতা নেই। উদাহরণস্বরূপ তিনি বাংলাদেশের পাট এবং পাকিস্তানের তুলার কথার উল্লেখ করেন। দুটি রাষ্ট্রের এই প্রধান দুটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের স্বতন্ত্র বাজার রয়েছে। পাকিস্তানি মুদ্রার মান হ্রাস করার ফলে বাংলাদেশের কোনাে অসুবিধা হবেনা। তিনি বলেন, পাকিস্তান তার ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট এড়ানাের জন্যে নিরূপায় হয়ে এই ব্যবস্থা অবলম্বন করেছে। তিনি আরও বলেন যে, বাংলাদেশের মুদ্রামান নির্ধারিত হয় পাউন্ড স্টালিং-এর ওপর।
জাল নােট: তিনি বলেন যে, অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সকল প্রকার নিজস্ব মুদ্রা চালু হবে। এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন যে, বাংলাদেশের কোনাে নােট জাল হয়নি। তবে বাংলাদেশের একশত ও দশ টাকার নােটে যে নিরাপত্তা সুত্র (সিকিউরিটি থ্রেড) ব্যবহার করা হয়েছে তা ধাতব। এটি নাড়াচাড়ার ফলে ভেঙে যেতে পারে। এজন্য কেউ কেউ সন্দেহগ্রস্থ হতে পারেন। এ পর্যন্ত কোনাে জাল নােট পাওয়া যায় নি বলে তিনি জানান। বাংলাদেশ সরকার পরে যে নােট চালু করবেন তাতে মেটাল থ্রেডের পরিবর্তে ইলাস্টিক থ্রেড ব্যবহার করা হবে। এছাড়া নােটে জলছাপ এনগ্রেড প্রিন্টিংসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ৪৪
Reference:
১২ মে ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, p 348
ছবি – ফাইল ফটো। ১ টাকার নোটটি ১৯৭৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ইস্যু হয়। বর্তমানে অপ্রচলিত।