১৬ মার্চ ১৯৭১ঃ আজকের এদিনে পশ্চিম পাকিস্তান
মিয়া মমতাজ দৌলতানা
কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি মিয়া মমতাজ দৌলতানা লাহোরে বলেছেন ১২ কোটি পাকিস্তানীর চোখ এখন ঢাকায়। তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ঢাকায় মুজিব ইয়াহিয়ার বৈঠকের ফলাফলের উপর। তিনি বলেন যতক্ষন পর্যন্ত এক পাকিস্তান আছে ততক্ষন পর্যন্ত পাকিস্তানে দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রশ্ন আসে না। অবশ্য দেশ শাসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠ দলের মধ্যে সমঝোতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। তিবি বলেন তিনি ১৯ তারিখ ঢাকা যাবেন। সেখানে তিনি পাকিস্তানের অখণ্ডতার পক্ষে চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের একক ভাবে দেশ শাসনের অধিকার আছে তবে কেউ ইচ্ছে করলে দেশকে দ্বিধাবিভক্ত করতে পারেন না। ঢাকায় তিনি মুজিবের সাথে সাক্ষাতের প্রচেষ্টা নিবেন।
করাচীতে এক জনসভায় কয়েকজন প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা বলেন, জনাব ভুট্টো পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ থেকে অনেক কথাই বলেছেন। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন তার পিপলস পার্টি এই অঞ্চলে শতকরা আটত্রিশ ভাগ ভোটও পান নি। তাঁরা বলেন ক্ষমতা লাভ করার জন্য আওয়ামী লীগই একমাত্র দল।
জুলফিকার আলী ভুট্টোর নিস্তার পার্কে দেয়া ভাষণের প্রতিবাদ
শাসনতন্ত্র প্রণয়নের আগে আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টির সমন্বয়ে একটি কোয়ালিশন সরকার গঠন সংক্রান্ত পিপিপি চেয়ারম্যান ভুট্টোর প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করে পশ্চিম পাকিস্তানি নেতারা পৃথক পৃথক বিবৃতি দেন।
ইয়াহিয়ার সাবেক তথ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল অবঃ শের আলী খান, জামাতে ইসলামীর অস্থায়ী আমীর মিয়া মোহাম্মদ তোফায়েল, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পাঞ্জাব আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মালিক হামিদ সরফরাজ, কনভেনশন মুসলিম লীগের সাবেক এমএনএ আসগর আলী শাহ, সিন্ধ ইউনাইটেড ফ্রন্ট এমএনএ মিয়া নিজামুদ্দিন হায়দার, রাওয়ালপিন্ডি কাউন্সিল মুসলিম লীগ সভাপতি খাজা মাহমুদ আহমেদ মানটো, সাবেক অল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ মাহমুদ, ওয়ালী ন্যাপ সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক ওসমানী,আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী ফয়েজ মোহাম্মদ, অল পাকিস্তান পিডিপি সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ, রাওয়ালপিন্ডি আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আর শামসুদোহা গতকাল নিস্তার পার্কে ভুট্টোর ভাষণের নিন্দা করেছেন।