You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.16 | ২৯ আশ্বিন ১৩৭৮ শনিবার ১৬ অক্টোবর ১৯৭১ | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

২৯ আশ্বিন ১৩৭৮ শনিবার ১৬ অক্টোবর ১৯৭১

-৪নং সেক্টর কমাণ্ডার মেজর সি আর দত্তের মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে মেজর জিয়ার ১ম এবং ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট যোগ দেন। ১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউদ্দিনে নেতৃত্ব এবং অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর আমীনের নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিলেটের চা বাগান গুলোর উপরে আক্রমণ চালায়। এমনি ভাবে সেক্টরটুপস এবং জেড ফোর্স পুরো সিলেট জেলায় একটার পর একটা আক্রমণের দ্বারা পাকসেনাদের পযুদস্ত করে। শত্রুদের ২২ বেলুচ রেজিমেন্ট দক্ষিণগুলে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এই সর্ব প্রথম দক্ষিণগুলো ১০৫ মিলিমিটার আর্টিলারী দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা হয়। মেজর দত্তের তত্ত্বাবধানে ক্যাপ্টেন রশীদের পরিচালনায় ১০৫ মিঃ মিঃ আর্টিলারী ব্যবহার সর্ব প্রথম হয়। ১০৫ মিঃ মিঃ আর্টিলারীকে পরবর্তীকালে ‘মুজিব বাটরী’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। (১০খঃ পৃঃ৩৪১)

-সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, যশোর ও রংপুর জেলার সীমান্ত অতিক্রম করে মুক্তিযোদ্ধারা ২৩ টি গ্রামে রাজাকারদের উপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণে গোলাবারুদ ও অস্ত্র-শস্ত্রসহ কয়েক’শ রাজাকারকে বন্দী করে নিজেদের ঘাটিতে নিয়ে যায়।

-মুক্তিবাহিনীর জঙ্গী বিমান লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁয়ে পাকবাহিনীর অবস্তানের উপর গোলা বর্ষন করে।

-কাওরাইদ ও মাশাখালির মাঝে গেরিলা কতৃর্ক একটি রেলসেতু উড়িয়ে দেবার ফলে ঢাকা ময়মনসিংহ রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। (১৭ অক্টোবর ১৯৭১)

-সোভিয়েত কমিউনিষ্ট পার্টির মুখপাত্র প্রাভদার ঘোষণা করে উপমহাদেশে উত্তেজনার কারণ এবং উত্তেজনার দ্রুত বৃদ্ধির সমস্ত ‘ দোষ সর্বতোভাবেই পাকিস্তানের একার’।

-ট্রেনিং প্রাপ্ত গণপরিষদ সদস্য জনাব মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্ব বিশেষ দলকে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার তেল সংরক্ষনাগারে আক্রমণ চালানোর জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরিকল্পনা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয়ে যায়। (১০ খণ্ড পৃঃ২৮)

-সকালে তেহরানে ইয়াহিয়া ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নিত মধ্যে দ’ঘন্টা স্থায়ী আলোচনা। (৭খঃ পৃঃ ১৮৯)

-পূর্ব পাকিস্তান জামাত ইসলামী আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম ঢাকায় এক জনসভায় বলেন, ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে দিয়ে যাবে এমন আত্মঘাতী ভাব বিলাস আমাদের বর্জন করতে হবে। তেহরানে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একান্ত বৈঠকে মিলিত হন।

-বিচারপতি আবুসাঈদ চৌধুরী ময়মনসিংহ রোডস্থ তালাবদ্ধ বাসবভবনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধী শক্তির এজেন্টরা আগুন লাগিয়ে দেয়।

-নয়াদিল্লীতে প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও যুগোশ্লাভি প্রেসিডেন্ট যোশেফ টিটোর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।

-Pakistan is reported to have signed a treaty with America for a lease of Sandwip and two other islands of East Bengal to America for 20 years in exchange if arms aid. (সংবাদপত্র)

-সামরিক সরকারের বেসামরিক গভর্নর ডাঃ মালিক সিলেটে সরকারী কর্মকর্তা ও চা বাগানের মালিকদের আলোচনায় অংশ নেন। স্থানীয় রাজাকার ট্রেনিং কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। (দৈঃ পাঃ ৭: ৫৮৬)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী