ওয়ালি খান ও গাউস বকস বেজেঞ্জো
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর যেসব পাকিস্তানি নেতা আওয়ামী লীগের ছয় দফার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলেন ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নেতা পশ্চিম পাকিস্তানের ওয়ালি খান, মীর গাউস বকস বেজেঞ্জো, আতাউল্লাহ মেঙ্গল। সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির মধ্যেই ১৯৭১ সালের ১৪ মার্চ ঢাকায় দীর্ঘক্ষণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের নেতা ওয়ালি ওয়ালি খান এবং মীর গাউস বকস ১৩ই মার্চ ঢাকা পৌঁছান এবং মুজিবের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে অসহযোগ ও ৬-দফা নিয়ে উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ওয়ালি খান জানান, ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ২৪ মার্চ পাকিস্তান ভাঙ্গন চুরান্ত রুপ ধারন করলে তারা আবার মুজিবের সাথে দেখা করেন এ ক্ষেত্রে তারা শেখ মুজিবকে পাকিস্তান না ভাঙ্গার অনুরধ করেছিলেন। স্বাধীনতা ঘোষণা সত্তেও তাদের দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়। ওয়ালি খান আফগানিস্তানে পালিয়ে যান। আওয়ামী লীগকে সমর্থন করার দায়ে ১৯৭১ সালে তাদের দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার। ৭২ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হালেও ঐ নামে দল করা নিষিদ্ধ ছিল। পরে তাদের দলের নাম রাখা হয় আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এ এন পি)। বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানে এই দলের প্রধান নেতা ছিলেন মজাফফর আহমেদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, গুলজার আহমেদ, মহিউদ্দিন আহ্মেদ, আলতাফ হোসেন। সাবেক বিএনপি মহাসচিব খন্দকার আব্দুল হামিদ এই দলের উঠতি নেতা ছিলেন।