মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে সিভিল সার্ভিস অফিসারগণ: দূতাবাসে ও মিশনে কর্মরত বাঙালিদের ভূমিকা
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনী, পুলিশ, সাধারণ জনতা তথা সর্বস্তরের বাঙালির ন্যায় বিভিন্ন পর্যায়ের সিভিল সার্ভিস অর্থাৎ বেসামরিক অফিসারদেরও কম-বেশি অবদান ছিল বা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। বস্তুতপক্ষে এদের একটা মুষ্টিমেয় অংশের স্বদেশ ও স্বজাতিবিরােধী দুষ্কর্মের কথা বাদ দিলে দেখা যায় অধিকাংশেরই সেই ভূমিকাটি ছিল ইতিবাচক, এবং কিছু সংখ্যকের জন্য আত্মশ্লাঘারও। আমরা আগেই দেখিয়েছি, মুক্তিযুদ্ধপর্বে সিভিল সার্ভিস অফিসার তথা আমাদের আলােচ্য সিএসপি-ইপিসিএস কর্মকর্তাদের মূলত চারটি স্থানে অধিষ্ঠান ও পদচারণা ছিল, অন্যকথায় সেটি ছিল তাদের চাকুরির ও যে কোনাে কর্ম-তৎপরতার পরিসীমা। মােটা দাগে এগুলো:
এক. কেন্দ্র বা পশ্চিম পাকিস্তান (মূলত সরকারের প্রশাসনযন্ত্রের প্রধান চালিকাশক্তি ও পীঠস্থান ইসলামাবাদস্থ সচিবালয় বা মন্ত্রণালয়- Centre with headquarters at Islamabad) এবং সেখানকার ৪টি প্রদেশ (Provinces), যথা- পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও উত্তর- পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ; দুই. পূর্বপাকিস্তান (সমগ্র পাকিস্তানের পাঁচটি প্রদেশের একটি হলেও এর বিশেষত্ব ছিল- সব মিলিয়ে অখণ্ড পাকিস্তানের দুই উইং (Two Wings)-এর এটি ছিল একটি, নাম ‘পূর্বাঞ্চলীয় উইং’ (Eastern Wing); তিন, রাষ্ট্রের বৈদেশিক মিশন বা দূতাবাসসমূহ; এবং চার. মুক্তিযুদ্ধকালে এগুলাের সঙ্গে অতিরিক্ত ও মহিমান্বিত রূপে যুক্ত হয়েছিল প্রতিটি স্বাধীনতাকামী বাঙালির অবাধ নিঃশ্বাস বায়ু নিঃসরণের
পৃষ্ঠাঃ ১৮১
মুক্ত একটি ক্ষেত্র- ‘মুজিবনগর’ (প্রথমে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা বা ভাবেরপাড়া১ গ্রামে এবং পরে মুখ্যত কলকাতায় ও অংশত অন্যত্র, যেমন আগরতলায়)।
ভাই হােক, এখানে এত কথা বলবার আমাদের একটাই উদ্দেশ্য আর তা হলো এই ৪টি স্থানের মধ্যে সেদিন বাঙালিদের যারাই- যে পরিবেশে ও অবস্থায় কাজ করুন বা থাকুন না কেন, সবচেয়ে উজ্জ্বল, গৌরবময় ও ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রথমত মুজিবনগর সরকারে এবং দ্বিতীয়ত বৈদেশিক মিশনে বা দূতাবাসগুলোয় কর্মরতগণ । তবে এ দুই ক্ষেত্রে দায়িত্বপালনকারীদের একটা মস্ত সুবিধা অবশ্য ছিল, আর তা হলাে তাদের ব্যক্তিগত ও পরিবারের সদস্যদের (অবশ্য প্রথমােক্ত স্থানে সবাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ছিলেন না) জান-মালের নিরাপত্তা, মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা। তা সত্ত্বেও বৈদেশিক মিশন বা দূতাবাসগুলোয় কর্মরত সকল বঙ্গসন্তানই যে সেদিন আবহমান বাঙালির অনন্য ইতিহাসের অংশ হয়েছিলেন বা হতে পেরেছিলেন, তা নয়।
বলাবাহুল্য তৃতীয় অধ্যায়ে মুজিবনগর সরকারে সিএসপি ও ইপিসিএস কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলােচনা আমরা ইতােমধ্যে করেছি। এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত তৎকালীন পাকিস্তানের বৈদেশিক মিশনে বা দূতাবাসগুলােয় কর্মরত সিভিল সার্ভিস অফিসারদের (মুখ্যত সিএসপি) ভূমিকা সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করব। তবে স্মর্তব্য, এক্ষেত্রে তৎকালীন ‘ফরেন সার্ভিস অভ পাকিস্তান’ (Foreign Service of Pakistan, সংক্ষেপে ESP) বা ‘পাকিস্তান ফরেন সার্ভিস’ (Pakistan Foreign Service, সংক্ষেপে PES) ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাগণের (সকলের নয়) ভূমিকা অত্যন্ত চমকপ্রদ ও কীর্তিময়। কাজেই এঅধ্যায়ে অপরিহার্য বিবেচনায় সিএসপি ও এফএসপি বা পিএফএস- এ দুই ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের ভূমিকা একত্রে গ্রন্থিত হবে। অবশ্য মূল আলােচনা শুরুর আগে এখানে আরেকটা কথা না বললেই নয় যে, কিছুটা কাকতালীয় হলেও এটা আজ ঐতিহাসিক ও সুপ্রতিষ্ঠিত সত্য যে, সিএসপি-ইপিসিএস অফিসারদের বেলায় চাকুরিতে ও বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন কর্মকর্তারা পঁচিশে মার্চের কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে জেলা-মহকুমায় যেমন একক ও বিচ্ছিন্নভাবে প্রতিরােধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন (পাকসামরিক বাহিনীর বিদ্রোহী বাঙালি কর্মকর্তাদের প্রায়-সমান্তরালে, যদিও স্বাভাবিকভাবে সে প্রতিরােধ সর্বত্র তীব্র ও কঠিন ছিল না), তেমনি পাকিস্তান বৈদেশিক মিশনে বা দূতাবাসগুলােতে কর্মরত পাকিস্তান ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাদের মধ্যেও আশ্চর্যভাবে লক্ষ করি যে, তুলনামূলক নবীনরাই বিদ্রোহ সংগঠন ও প্রকাশ্য প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিলেন; যা শুরু হয়েছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিস্থ পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত দুই বাঙালি কর্মকর্তার প্রকাশ্য ঘােষণায় পাক
পৃষ্ঠাঃ ১৮২
সরকারের আনুগত্য অস্বীকার ও চাকুরি বর্জনের মধ্য দিয়ে এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে। এই ঘটনা সুদূরপ্রসারী তাৎপর্যপূর্ণ এজন্যও যে, তখনও পর্যন্ত ‘মুজিবনগরে’ হােক, কি পৃথিবীর অন্য কোথাও প্রবাসী বা অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়নি। কাজেই সেই অবস্থায় অসমসাহসী দুই তরুণের লােভনীয় চাকুরিত্যাগ নিঃসন্দে শুধু অভিনব ও চমকপ্রদ ঘটনাই ছিল না, সমযগ্র পাকিস্তানের ইতিহাসে তা ছিল যুগপৎ অশ্রুতপূর্ব , অভাবনীয় ও বাঙালিদের জন্য বিপুল প্রেরণা-উদ্রেককারী। কেননা তা করতে তাদেরকে কেউ সেদিন বাধ্য করেনি বা তাদের চাকুরিজনিত কোন বিচ্যুতিও ছিল না যে কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোনােরূপ চাপ দিয়েছিল চাকুরি পরিত্যাগের। বরং তারা তা করেছিলেন সম্পূর্ণ নিজেদের বিবেকের তাড়নায়, সময়ের আহ্বানে, মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য এবং সর্বোপরি মাতভূমির শৃঙ্খলমুক্তির লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূতভাবে। তাদের এই বিরল কীর্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাকিস্তান মিশনে বা দূতাবাসগুলােয় কর্মরত তাদের মতাে বাঙালি কর্মকর্তাদের ক্রান্তিকালে করণীয়-পথ দেখিয়েছিল। তাদের সম্মিলিত ভূমিকায়, ত্যাগে ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার লড়াই বিশ্ববাসীর চোখে পেয়েছিল অন্যতর অভিধা ও মর্যাদা।
স্বাধীনতার সূচনাপর্বে স্বদেশের সিভিল সার্ভিসে কর্মরত যারা (মূলত কয়েকজন জেলাপ্রশাসক বা ডিসি, মহকুমা প্রশাসক বা এসডিও এবং সহকারী কমিশনার বা সমপদমর্যাদার নবীন সরকারি কর্মকর্তারা) সেদিন পাকিস্তানপক্ষ ত্যাগ করেছিলেন, তাদের সঙ্গে বৈদেশিক মিশন বা দূতাবাসে কর্মরত এবং মুজিবনগরকেন্দ্রিক প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘােষণাকারী কর্মকর্তাগণের ভূমিকার একটা ছোট কিন্তু তুলনামূলক পার্থক্য এসেই যায়, আর তা হলাে শেষােক্তগণ এমন এক অবস্থানে থেকে সেই অনন্য কীর্তি স্থাপন করেছিলেন, যা ছিল একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দেশ, ভিন্ন ভূখণ্ড, পাকিস্তান সরকারের কোনাে নিয়ন্ত্রণই যেখানে ছিল না বলা চলে, এবং ইচ্ছে করলে তারা চাকুরি ছেড়ে যে কোনাে সময়ে মিশে যেতে পারতেন সে দেশের বিপুল জনারণ্যে, এমনকি অতিসহজেই অন্য পেশায় নিয়োজিত হওয়ারও তাদের সুযােগ ছিল। অন্তত জীবনের ভয় বা হেনস্থা হওয়ার সম্ভাবনা তাতে তাদের ক্ষেত্রে তেমন ছিলই না।৩ অন্যদিকে অবরুদ্ধ স্বদেশে, কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতি ও মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অনেকটা মুহূর্তিক সিদ্ধান্তে যাঁরা সরকারি ঢাকুরি ও পক্ষ ত্যাগ করে সেদিন ভারতের বিভিন্নস্থানে আশ্রয়ের আশায় অনিশ্চিত জীবনের পথে পা বাড়িয়েছিলেন, তাদের সে কৃতি-কার্তির মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অন্যরকমই বটে। কেননা তাদের সেই আপাত অনির্দিষ্ট ‘অগস্ত্য যাত্রা’য় জীবনের ঝুঁকি, অনিশ্চয়তা ও বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিল বহু-বহু গুণে বেশি।
পৃষ্ঠাঃ ১৮৩
বলাবাহুল্য মজিবনগর বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারে যােগদানকারী কর্মকর্তা এবং বঙ্গবন্ধুর দূরনিঃসৃত অনুপ্রেরণায় ও তাজউদ্দীন আহমদ প্রমুখ রাজনীতিবিদের সঠিক নির্দেশনায় ও অক্লান্ত কর্মতৎপরতায় বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম একাত্তরে পেয়েছিল তার চূড়ান্ত পরিণতি- অর্জিত হয়েছিল এজাতির যুগ-যুগান্তরের কাম্য ‘স্বাধীনতা’। আর সেই স্বাধীনতার লড়াইয়ে সেদিন অবিসংবাদী অনুঘটকের কাজ করেছিল পাকিস্তান বৈদেশিক মিশনের বা দূতাবাসগুলোর উল্লেখযােগ্য সংখ্যক বাঙালি কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এসব কর্মকর্তার মধ্যে আমাদের আলােচ্য কয়েকজন সিএসপি কর্মকর্তাও ছিলেন। যাই হােক, এখন দেখা যাক এঁদের যৌথ কীর্তিগাথা।
বৈদেশিক মিশনে বা দূতাবাসগুলােতে কর্মরত বাঙালিদের মধ্যে যারা মুক্তিযুদ্ধ শুরুর অব্যবহিত পর থেকে নিয়ে স্বাধীনতার প্রাগমুহর্তপর্যন্ত পাকিস্তান পক্ষ ত্যাগ এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি প্রকাশ্য আনুগত্য ঘােষণা করেছিলেন এবং পরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে প্রবাসে বিশ্বজনমত গঠনে স্থানবিশেষে একক ও যৌথভাবে কাজ করেছিলেন, আগেই জানিয়ে রাখি- তাদের অনেকের নাম-পরিচয় লভ্য পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের ১৯৫২ সাল-ব্যাচের শাহ এ এম এস (আবু মােহাম্মদ শামসুল) কিবরিয়া (প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও বােমা হামলায় শহিদ) লিখিত স্মৃতিকথাসদৃশ রচনা পেছন ফিরে দেখায়। জনাব কিবরিয়া এতে লিখেছেন: “বিদেশে বাংলাদেশের বাঙালি কূটনীতিকরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কলকাতার ডেপুটি হাই কমিশনার শ্রদ্ধেয় হােসেন আলী এপ্রিল মাসে মুজিবনগর সরকার গঠন হওয়ার পরই সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘােষণা করেন। নয়াদিল্লিতে কে, এম, শেহাবুদ্দিন ও আমজাদ আলী এবং নিউইয়র্কে মাহমুদ আলীও ওই সময় প্রকাশ্যে তাদের আনুগত্য ঘােষণা করেন। এরপর ওয়াশিংটনে আমাদের দূতাবাস ত্যাগ ছিলাে উল্লেখযােগ্য ঘটনা। এরপর বাগদাদে আবুল ফাতাহ, আর্জেন্টিনায় আবদুল মােমেন, ম্যানিলায় খুররম খান পন্নী, দিল্লিতে হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী একে একে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘােষণা করেন। লন্ডনের হাইকমিশনে আমার প্রিয়ভাজন মহিউদ্দিন আহমদদূতাবাস ত্যাগ করে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সঙ্গে যােগ দেন। পরবর্তী সময়ে লন্ডন দূতাবাসের কাউন্সিলর রেজাউল করিমও বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে যােগ দেন। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিউর রহমান, কায়রােতে ফার্স্ট সেক্রেটারি ফজলুল করিম আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘােষণা করেন। বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে এসব কূটনীতিকের পদক্ষেপ সাহায্য করেছিলাে বলে মনে হয়। পৃথিবীর সব দেশে, যেখানে বাঙালিরা উল্লেখযােগ্য সংখ্যায় বাস করে, স্থানীয় আন্দোলন গড়ে উঠেছিলাে। দূতাবাস থেকে বাঙালি কূটনীতিকরা যােগ দেয়ার পর এসব আন্দোলন আরাে জোরদার ও গতিশীল হয়েছিলাে।”৪
পৃষ্ঠাঃ ১৮৪
গবেষক গােলাম মুরশিদ লিখেছেন: “এসব আন্তর্জাতিক সম্পর্কের টানাপােড়েন চলছিলাে সাধারণ মানুষদের চোখের আড়ালে। অথবা আলো আঁধারের সীমান্তে। কিন্তু প্রকাশ্যে এ সময়ে আরও দু-একটা ছােটোখাটো এমন ঘটনা ঘটছিলাে, যা আমাদের সংগ্রামকে উৎসাহিত করেছিলাে। সবচেয়ে বেশি করে মনে পড়ছে, ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের ১৩/১৪ জন কর্মী অগস্টের প্রথম সপ্তাহে তাদের আনুগত্য বদল করে বাংলাদেশের পক্ষে যােগ দেন। এদের মধ্যে ছিলেন লেখক আবু রুশদ মতিনউদ্দিন, এনায়েত করিম, এম এ মুহিত, এস এম কিবরিয়া ইত্যাদি। কলকাতায় পাকিস্তানী ডেপুটি হাই কমিশন বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘােষণার পরে এই ঘটনা ছিলাে এ ধরনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং গােটা পাশ্চাত্যে প্রচারের দিক দিয়ে এর দারুণ মূল্য ছিলাে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করছিলেন অথবা যে সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন দেখাচ্ছিলাে, তাঁদের হাত জোরদার হয়েছিলাে এর ফলে।”৫
Source: মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা