২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ঃ আজকের এদিনে
ফরিদপুর জেলে আটক অনশনরত আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। জেলগেটেই তিনি এক বিবৃতিতে ২১ ও ২২ তারিখের ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন তিনি শোক সন্তপ্ত পরিবারের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অনশনে তার স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়েছে। তিনি ১৯৪৮ সালের শেষের দিকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সিভিল সার্জনের মেডিকেল রিপোর্টে তার মৃত্যুর আশংকা করা হয়েছিল। শেষ দুদিন হাসপাতালের কয়েদীরা তাকে তেল মালিশ করে মোটামুটি সুস্থ করে তোলে। ২৭ তারিখ রাতে শেখ মুজিবের মুক্তির আদেশ আসলে শেখ মুজিব এবং মহিউদ্দিন অনশন ভঙ্গ করেন। মুক্তির পর তিনি এখন গ্রামের পথে আছেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সরকার ধরপাকড় শুরু করেছে। অবজারভার সম্পাদক আব্দুস সালাম এবং প্রকাশক হামিদুল হককে আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশের দায়ে গ্রেফতার করে। কোর্ট অবশ্য তাদের জামিন দেয়। জামিনে বের হয়ে হামিদুল হক চৌধুরী জনগনকে শান্ত থাকার আবেদন জানান। পূর্ব পাকিস্তান সরকার আজ ১৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৮ দিনে পূর্ববঙ্গে আসা যাওয়া হিন্দুদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি মুসলমানদের সংখ্যাও প্রকাশ করেছে। এতে তারা বলতে চেয়েছে যে ভারত থেকে আগত হিন্দুরাই এ কয়দিনের আন্দোলনে জড়িত।
নোটঃ পরে অবশ্য প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দিন মার্চ এর মাঝামাঝি প্রকাশ্য তা বলেছেন। তিনি তখন বলেছিলেন এ জন্যই দুজন হিন্দু এমএলএ গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধিরেন্দ্র নাথ অবশ্য এর পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন।