২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ঃ একুশ উদযাপন
মধ্যরাত্রির পর থেকেই হাজারো দেশবাসী শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে গমন করে তাদের সকলের হাতেই ছিল ফুল বা ফুলের স্তবক। সেখান থেকে তার নগ্ন পদযাত্রায় শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। এদের অনেকেই দেশাত্মবোধক গান গেয়ে সেখানে গমন করেন। প্রথম প্রহরে প্রেসিডেন্ট শহীদ কবর এবং মিনারে শ্রদ্ধা গাপন শেষে তিন নেতার মাজারে গিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সকল ক্ষেত্রেই তিনি ফাতেহা পাঠ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান এবং মন্ত্রীসভার সদস্যরা খুব সকালে শহীদানের কবর জিয়ারত করেন ও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী আজিমপুর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে শহীদ মিনারে যান।
যুদ্ধাহত চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধারা ক্র্যাচে করে ও স্ট্রেচারে করে শহীদ মিনারে এসেছিল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে। তারা এ অবস্থায় ছাত্রলীগের পল্টনের সভায়ও যোগ দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশ সমুহের মিশন প্রধান গন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন পৃথক পৃথক ভাবে শহীদমিনারে শপথ গ্রহন করে।
ভারতের শিল্পীরা প্রেসক্লাবে সঙ্গীতানুষ্ঠানে গান ও কবিতা আবৃতি পরিবেশন করেন।
বাংলাদেশ বাহিনী প্রধান জেনারেল ওসমানী শহীদমিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এসময় তার সাথে ছিলেন তার এডিসি শেখ কামাল।