১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ঃ একনজরে এদিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ বলেছেন জাপানী প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত মুজিব ভূট্টো শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তাব সম্পর্কে বাংলাদেশ কোন কিছু অবহিত নয়। তবে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়া পর্যন্ত এরূপ বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানান। সামাদ আজাদ ব্রিটিশ সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। তিনি প্রতিনিধিদলকে বলেন বাংলাদেশ স্বাধীন নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করবে।
পূর্ব জার্মানির রাষ্ট্রদূত লোথের ওয়েঞ্জেল প্রেসিডেন্ট আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে তার পরিচয় পত্র দাখিল করেছেন। পরিচয় পত্র দাখিলের পর উভয়ের মধ্যে আলোচনা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৫ সদস্য বিশিষ্ট সোভিয়েত মৈত্রী দল আজ বাংলাদেশ সফরে আসেন বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী তোফায়েল আহমেদ এবং কবি সুফিয়া কামাল।
বেগম নাফিসা কবির বাংলা একাডেমীর এক অনুষ্ঠানে বলেছেন বুদ্ধিজীবী হত্যার পিছনে শুধু দেশীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীই নয় বিদেশী শক্তির হাত আছে। তিনি বলেন সরকার বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের তদন্তের ব্যাপারে গঠনমূলক কাজের কিছুই করেননি। তিনি বলেন জহির রায়হান যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
৭১ এ পাকবাহিনীর দোসর ৫৪ জন দালালের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এরা হলেন জামাতের মওলানা রহিম, কুমিল্লার কনভেনশন মুসলিম লীগ নেতা ও প্রাদেশিক ডেপুটি স্পীকার এটিএম মতিন, পিডিপির জুলমত আলী খান, নারায়নগঞ্জের শহিদুল্লাহ খান, জামাতের এমএনএ জবান উদ্দিন, কাইউম মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট গাইবান্ধার সাইয়েদুর রহমান, পাবনার কনভেনশন লীগের এবং ডেপুটি স্পিকার বিহারী আসগর জায়েদি, কাউন্সিল মুসলিম লীগের আব্দুস সাত্তার খান সহ ৫৪ জনের সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। এদের সকলকে ২১ ফেব্রুয়ারী নিজ নিজ এলাকার উপযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে হাজির হওয়ার অন্য তালিকায় আছেন ৭১ এর মন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন সাবেক এমপিএ, মন্ত্রী একেএম ইউসুফ জামাত, এমএ মতিন কনভেনশন মুসলিম লীগ, জামাতের মওলানা আব্দুস সোবহান, আখতারউদ্দিন, আফিল উদ্দিন সহ অনেকে।