হেমন্ত
হেমন্ত ছিলেন নীলফামারীর সন্তান। এল, এম. এফ. পাস করে তিনি নীলফামারীতে চিকিৎসা পেশায় নিয়ােজিত ছিলেন। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে নীলফামারীর রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর প্রধান অবাঙালি আবদুল্লাহ এবং পাক সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আল্লাহ রাখা খানের নেতৃত্বে ডা, হেমন্ত, নীলফামারী শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ব্রজনাথ ঘােষ (বােথা বাবু), ব্রজনাথের বড় ছেলে স্বপন কুমার ঘােষ, মেজ ছেলে তপন কুমার। ঘােষ, হােমিও চিকিত্সক বিষ্ণু ও তার ভাই শম্ভু, ব্যবসায়ী সালেহউদ্দিন শাহ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান চৌধুরী দুলু এবং নীলফামারী সদরের কুণ্ডুপুকুর গ্রামের জমিদার ঘিনা সাহাকে হত্যা করে। ডা. হেমন্ত, বিষ্ণু, শম্ভু এবং ব্রজনাথ ঘােষ ও তার ছেলেদের রাজাকার বাহিনী। ধরে নিয়ে নীলফামারীর ডাকবাংলােয় অবস্থিত পাক সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আটকে রাখে। পরে পাশের দারােয়ানী জঙ্গলে (বর্তমানে দারােয়ানী টেক্সটাইল মিলস্) নিয়ে এক সাথে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। সেখানেই তাদের লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। শহীদ ডা. হেমন্ত সম্পর্কে আর কোনাে তথ্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা