রাশীদুল হাসান
বাংলাদেশ তার জন্মভূমি ছিল না, কিন্তু এদেশকে ভালােবেসে এদেশের জন্মের জন্য নিজের বুকের রক্ত দিয়ে গিয়েছেন রাশীদুল হাসান। রাশীদুল হাসানের পারিবারিক নাম ‘শেখ মােহাম্মদ আব্দুর রশীদ’। কোথাও কোথাও তার নাম লেখা হয়েছে এস, এম, এ. রাশীদুল হাসান। রাশীদুল ১৯৩২ সালে ১ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের বড়শিলা (কোথাও কোথাও গ্রামের নাম লেখা হয়েছে ‘বড়শিজা’) গ্রামে জন্ম নেন। তার বাবার নাম মােহাম্মদ সাঈদ। রাশীদুল ১৯৪৭ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার ভাবতা। আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৪৯ সালে ঢাকার ইসলামিয়া ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আই. এ. পাস করেন। এরপর ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে বি. এ. (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন রাশীদুল। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে (প্রাইভেট) এম. এ. পাস করেন। লেখাপড়া শেষে রাশীদুল শিক্ষকতাকে পেশা হিসাবে বেছে নেন। বেশ কয়েকটি কলেজে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৫৪-৫৫ সালে নরসিংদী কলেজে, ১৯৫৬৫৯ সাল পর্যন্ত পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে এবং ১৯৫৯-‘৬৭ সাল পর্যন্ত বীরভূম জেলার কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক হিসাবে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরে ১৯৬৭ সালের ৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যােগ দেন রাশীদুল হাসান। ১৯৭০ সালে তিনি জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে উন্নীত হন। | রাশীদুল হাসান ছিলেন আপাদমস্তক বাঙালি। শার্ট-প্যান্টের চাইতে পাঞ্জাবিপাজামা ছিল তার বেশি প্রিয়। গান ভালােবাসতেন খুব, বিশেষত রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশেষ ভক্ত ছিলেন তিনি।
একজন সুবক্তা হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি যথেষ্ট সমাদৃত ছিলেন। তাঁর সহকর্মীদের স্মৃতিচারণ থেকে জানা যায় যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নানা কর্মসূচি, আড্ডাতে সুচিন্তিত, প্রজ্ঞাসমৃদ্ধ আলােচনা ও বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি অনায়াসেই সহকর্মী শিক্ষকদের কাছ থেকে ভিন্নমাত্রার প্রশংসা পেতেন। | রাশীদুল হাসান ছিলেন বামপন্থি চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ সাম্যবাদে বিশ্বাসী মানুষ। পূর্ব পাকিস্তানের নিপীড়িত জনগণের প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলন-সংগ্রামের সমর্থক ছিলেন তিনি। নানাভাবেই এ সকল আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকতে চেষ্টা করতেন। নিজের শিক্ষার্থীদের নানাভাবে এ সকল সংগ্রামে যুক্ত থাকতে উদ্বুদ্ধ করতেন। মানুষ হিসাবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সজ্জন। পরিবারের সদস্যদের কাছে তিনি ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মতাে। ছাত্রছাত্রীদেরও তিনি ভালােবাসতেন অন্তর থেকে কবিতা, প্রবন্ধ ও নিয়মিত দিনপঞ্জি লেখার অভ্যাস ছিল রাশীদুলের। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাশীদুল হাসান নিয়মিত দিনপঞ্জি লিখতেন। আর বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় কবিতা, গান, প্রবন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডায়েরির পাতাগুলাে তিনি কেটে একটি গােপন স্থানে রেখেছিলেন, যা পরে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রাপ্ত অংশে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত দিনপঞ্জি লেখা রয়েছে, তারপরের পৃষ্ঠাগুলাে কাটা। অবশ্য ডায়েরির অংশগুলাে পাওয়া না গেলেও অন্যান্য লেখালেখির নিদর্শন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত উদ্ধারকৃত অপ্রকাশিত দুটি ডায়েরি, চারটি লেখালেখির খাতা ও বেশ কটি চিঠি এবং অগ্রন্থিত কিছু লেখা নিয়ে তাঁর লেখালেখির পরিমাণ অপ্রতুল হলেও সেখানে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক মানুষের চিত্রই ফুটে ওঠে।
১৯৭১ সালের অপ্রকাশিত ডায়েরির ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি লিখেছেন : আটই ফারুন বা একুশে ফেব্রুয়ারির নানা তাৎপর্য আজ আবিষ্কৃত এবং এখনও ক্রমাবিক্রিয়মান। প্রথমত এ ছিল বাঙলাদেশের বা পূর্ব পাকিস্তানের পাঁচ কোটি বাঙালির মাতৃভাষা বাঙলার রাষ্ট্রভাষা রূপে স্বীকৃতির আন্দোলন। পরে এই আন্দোলন বাঙলাদেশের সর্বক্ষেত্রে সর্বাত্মক মুক্তির প্রতীকে উন্নীত হলাে। আমার কাছে এই আন্দোলনের যে চেহারা আজ প্রকাশিত, তার দুটি দিক সব থেকে তাৎপর্যময়। প্রথম, এর সবল ও সপ্রাণ সৃষ্টিশীলতা- সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি ও সমাজনীতির সর্বক্ষেত্রে একটা সনিষ্ঠ ও বেগবান আত্মজিজ্ঞাসা- এক পবিত্র এ নির্মল আত্মবিষ্কার। দ্বিতীয়, এর সর্বজনীনতা, ধর্ম বর্ণ সমাজ ও বিশ্বাস নির্বিশেষে এই প্রথম সবার আপন উত্সব বাঙালিরা পেল। ঈদোৎসব যেমন মুসলমানের, পূজোৎসব যেমন হিন্দুর, একুশে ফেব্রুয়ারি বা আটই ফায়ুনােৎসব তেমন নয়, এ উৎসব বাঙলা ভাষাভাষী হিন্দু-মুসলিম। নির্বিশেষে সকলের একান্ত আপনার মহােৎসব।
পাকিস্তানি শাসকদের সাম্প্রদায়িক চরিত্রের বিরুদ্ধে সােচ্চারকণ্ঠ ছিলেন রাশীদুল। এ কারণে অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানপন্থি শিক্ষকদের চক্ষুশূল ছিলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানপন্থি শিক্ষকরা তার নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে অভিযােগ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক শিক্ষকের মতাে রাশীদুল হাসানেরও নাম ছিল মিলিটারির গােপন খাতায়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২০ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গােয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা গ্রেফতার করে রাশীদুল হাসানকে। তার খোঁজে সশস্ত্র সেনারা আসবে এমন গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে তিনি ভাবেননি কখনও, ভাবেননি বলেই প্রস্তুত ছিলেন না। মিলিটারির লােকেরা এসে অনায়াসে তার খোঁজ পেয়েছিল, কলাভবনে তার কক্ষ থেকেই তাকে ধরে নিয়ে গেল। পরে ১৪ ডিসেম্বরে আবার যখন আলবদররা এল, তখনও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেই ছিলেন। যাওয়ার তেমন জায়গাও ছিল না তাঁর এই ঢাকাতে।
পাকবাহিনী পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযােগ তােলা হলাে, তিনি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। চিরদিনের শান্ত, সৌম্য মানুষটি হানাদার বাহিনীর কাছেও এই সত্য স্বীকার করেছিলেন। ঘাড়ের কাছে মৃত্যু দাড়িয়ে আছে জেনেও তিনি বলেছিলেন, একজন শিক্ষক হিসাবে তিনি যা বলেছেন, ঠিক বলেছেন। এটাকে তিনি তার কর্তব্য বলে মনে করেন। দেশের এই সংকটে একজন | শিক্ষক হিসাবে এটাকে তার অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব বলে মনে করেন। ১২ দিন নাজিমউদ্দীন রােডের জেলখানায় আটক রাখা হয় রাশীদুল হাসানকে। পশ্চিম পাকিস্তানিদের অন্যায়-অত্যাচারের সাফাই গাওয়ার জন্য ও তাদের পক্ষে বিবৃতি দেওয়ার জন্য তার ওপর নানা প্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানাে হয়। কিন্তু দেশপ্রেমের প্রশ্নে আপসহীন আর সত্যের পথে অবিচল রাশীদুল হাসানকে দিয়ে | এ কাজটি করাতে পারেনি হানাদার বাহিনী। সেবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সহযােগিতায় | জল্লাদখানা থেকে কোনাে ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বেঁচে ফিরে আসেন তিনি। | মুক্তজীবনে ফিরে এসে আবারও স্বাধীনতার পক্ষে নিজের বক্তব্য প্রচার করতে | থাকেন রাশীদুল। দমে যাওয়ার মানুষ তিনি ছিলেন না। শহীদ হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে, ১২ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে আমাদের রাত্রিগুলাে’ শিরােনামের একটি কবিতায় তিনি লিখেছেন :
আমাদের রাত্রিগুলাে মাছের পেটের মতন
সারা রাত আমরা সব জান-ন্ন হয়ে আছি।
আমাদের প্রার্থনার ধ্বনি।
তােমার প্রাণে কী পৌছাবে?
আমরা সবাই আজ প্রার্থনার মতাে।
আমরা সবাই আজ প্রতীক্ষার
বিগলিত মুহূর্তের ধারা।
আমাদের রাত্রিগুলাে।
ইস্রাফীলের শিঙ্গা হয়ে ঝরে আমাদের রাত্রিগুলাে।
ভয়ঙ্কর ঝড়ের মতন। হলুদ পাতার মতাে আমরা সব ঘুরপাক খাই।
আমাদের প্রার্থনার ধ্বনি।
তােমার প্রাণে কি পৌছেনি?
রাশীদুল হাসানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী আনােয়ার পাশা। শৈশবে তাঁরা দুজন একই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। সম্ভবত সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব শুরু। রাশীদুল হাসান বাস করতেন ইকবাল হল (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) সংলগ্ন শিক্ষকদের আবাসিক ভবনের চারতলায়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাশীদুল হাসান তার পুরাে পরিবারসহ আনােয়ার পাশার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। আনােয়ার পাশার রাইফেল রােটি আওরাত’ উপন্যাসের প্রথম পাঠক ছিলেন দুজন- রাশীদুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী রােকাইয়া রশীদ। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর, সকাল নয়টার দিকে আনােয়ার পাশার বাসায় হানা দেয় আলবদর বাহিনী। তখন উভয় পরিবারই একসাথে নাস্তা সেরে উঠেছেন মাত্র। অধ্যাপক রাশীদুল হাসানের পরনে ছিল পাজামা-পাঞ্জাবি। সে মুহূর্তেই হঠাৎ করে দরজায় কড়া নড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়। দরজা খােলা থাকায় কয়েকজন আলবদর সদস্য ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের একজনের হাতে একটি তালিকা ছিল। সেটি পাকিস্তান সরকারের উচ্চমহলের নির্দেশে আলবদর বাহিনীর তৈরি বুদ্ধিজীবীদের তালিকা। ঘরে ঢুকে তারা আনােয়ার পাশার খোঁজ করে। এ সময় আনােয়ার পাশা নির্ভয়ে এগিয়ে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন। আলবদর বাহিনী এবং পাকসেনাদের কথা বলার ভঙ্গি উদ্ধত হওয়ায় রাশীদুল হাসান আনােয়ার পাশাকে খােজার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। ওরা জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনােয়ার পাশাকে নিয়ে যাওয়া হবে। পাকসেনাদের একজন তখন রাশীদুল হাসানের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি নিজের পরিচয় দেন। এরপর ঘাতক বাহিনী দুজনকেই চোখ বেঁধে টেনে-হিচড়ে বাইরে রাখা একটি বাসে তুলে নেয়। এ দৃশ্য দেখে উভয় পরিবারের মানুষই কেঁদে ওঠেন। তখন আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছােড়ে।
ধরে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আনােয়ার পাশা ও রাশীদুল হাসানের কোনাে খোজ পাওয়া যায়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাশীদুল হাসানের কয়েকজন ছাত্র মিরপুরের বধ্যভূমিতে আরও অনেক শহীদ বুদ্ধিজীবীর সাথে তার লাশেরও খোজ পান। রাশীদুল হাসানের মেয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রােকাইয়া হাসিনা নীলি তার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন :বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বালীন আরবি ও ফারসি বিভাগের পাকিস্তানপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক মােস্তাফিজুর রহমানের শ্যালক আলবদর ও রাজাকার বাহিনীর সাথে যুক্ত ছিল। ১৪ ডিসেম্বর রাশীদুল হাসান ও আনােয়ার পাশাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের যে বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেই বাসে আলবদর বাহিনীর সদস্যদের সাথে এই মােস্তাফিজুর রহমানের শ্যালকও ছিল। সে-ই মূলত পাকিস্তান আর্মিকে এই সকল বুদ্ধিজীবী শিক্ষকদের বাড়ি চিনিয়ে দিয়েছিল। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এই ব্যক্তিকে সেভাবে কোনাে শাস্তির মুখােমুখি করা যায়নি। অধ্যাপক মােস্তাফিজুর রহমান এরপরেও আরও বহুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন কোনাে ধরনের সমস্যা ছাড়াই। এই ধরনের ঘৃণ্য রাজাকার ও পাকিস্তানি দোসরদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা গেছে। এ বিষয়টি শহীদ পরিবারগুলাের জন্য ভয়াবহ বেদনাদায়ক। আনােয়ার পাশা এবং রাশীদুল হাসান- দুজনের কারও জন্মভূমি বাংলাদেশ ছিল । কিন্তু বাংলাদেশের জন্মের জন্য রক্ত দিয়ে গেছেন এই দুই বন্ধু। আলবদর বাহিনী দুই বন্ধুকে এক সাথেই ধরে নিয়ে যায়। সম্ভবত একসাথেই তাঁরা দুজন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। শহীদ রাশীদুল হাসানের স্ত্রীর নাম রােকাইয়া রশীদ। তাঁদের ছেলে মাহমুদ হাসান এবং মেয়ে রােকাইয়া হাসিনা নীলি ও সুরাইয়া আমিনা।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা