জীবনকুমার দাস
জীবনকুমার দাস ছিলেন পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার হিসাবরক্ষণ বিভাগের। কর্মকর্তা। তিনি ঢাকার ৬ নম্বর মালাকারটোলা লেনের নিজেদের বাড়িতে বাস। করতেন। ১৯৭১ সালের ৯ জুলাই জীবনকুমার দাস সপরিবারে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থেকে। লঞ্চে ওঠেন ভারতে যাওয়ার জন্য। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার বাবা দীনেশচন্দ্র। দাস, মা, স্ত্রী কানন দাস ও তাঁদের ১১ মাস বয়সী ছেলে এবং ছােট ভাই রামকৃষ্ণ দাস। তাদের লঞ্চটি যখন কুমিল্লা জেলার হােমনার কাছাকাছি পৌছে, তখন রাজাকার। বাহিনী লঞ্চটিকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। রাজাকারদের ছােড়া গুলিতে লঞ্চের দুই যাত্রী নিহত হয়। জীবনকুমারের পিঠে গুলি লাগে। রাজাকার বাহিনী লঞ্চটি থামিয়ে লুটপাট করতে শুরু করে। লুটপাট শেষে লঞ্চের সমস্ত পুরুষ যাত্রীকে। ধরে নিয়ে যায়। নারী ও শিশুরা এদিক সেদিক পালিয়ে বাঁচে। ছােট ছেলেকে কোলে। নিয়ে জীবনকুমারের স্ত্রী ও তার মা প্রাণ হাতে নিয়ে পালিয়ে যান। তারা জীবনকুমার, দীনেশচন্দ্র ও রামকৃষ্ণের কোনাে খােজ জানতে পারেননি। শহীদ জীবনকুমার দাসের স্ত্রী কানন দাসকে অবজারভার পত্রিকার পক্ষ থেকে সহযােগিতা করা হয়।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা