তারাকান্ত ভৌমিক
কুড়িগ্রাম জেলার ভিতরবন্ধ গ্রামের কালীচরণ ভৌমিকের ছেলে ডা. তারাকান্ত ভৌমিক ১৯১০ সালে জন্ম নেন। ডা. ভৌমিক এল, এম. এফ. পাস করে ডাক্তারি শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। তিনি ভিতরবন্ধ জে. ভি. একাডেমি হাই স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন ইউনিয়ন পরিষদ বাের্ডের সদস্য ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ডা. তারাকান্ত বিভিন্নভাবে মুক্তিযােদ্ধাদের সহযােগিতা। করেছেন। আহত মুক্তিযােদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণেই তাকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে যায়। সাথে ধরে নিয়ে যায় তার শ্যালক সুকেশ ঘােষ ও রমেশচন্দ্র ঘােষসহ জয়মঙ্গল, এগারমাথা, হাতিরভিটা গ্রাম থেকে ২২, বামনডাঙ্গার আনছার হাটের ১১ জনসহ সর্বমােট ৩৬ জনকে। এঁদের সবাইকে নাগেশ্বরী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের পাশে (বর্তমানে সেখানে একটি শহীদ মিনার আছে) সারিবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর পাকসেনারা স্থানীয় কয়েকজনকে ধরে এনে তাদের মাধ্যমে সেখানে দুটি গর্ত করে একটিতে ৩২ জনের লাশ এবং পাশের গর্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনজনের লাশ মাটি চাপা দেয়। এসময় একজন ঘটনাক্রমে গুলির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন। ডা. তারাকান্ত ভৌমিক বিবাহিত ছিলেন এবং তার সংসারে চার ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা