দসিমউদ্দিন আহমদ
দসিমউদ্দিন আহমদ বাস করতেন ঢাকায়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে শহীদ হওয়ার সময় তিনি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা শরীরচর্চা কেন্দ্রের প্রশিক্ষক। এর আগে তিনি। ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত জুনিয়র ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি ময়মনসিংহে জেলা শরীরচর্চা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দসিমউদ্দিন কবিতা লিখতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জেনারেল টিক্কা খানের মিথ্যাচারকে ব্যঙ্গ করে তিনি লিখেছিলেন :
জী হ্যা
জী হ্যা, যা বলেছেন।
এতে তাে মিথ্যের কিছু নাই
রাতে রােদ।
দিনে অন্ধকার
এতে আর কী আছে মিথ্যার ।
নীল আকাশে তাই ভাসে দৃশ্য দেখে
ঘােড়ায় হাসে জী হ্যা হাসবে না আর ঘােড়া।
কোথায় পাবে এ দৃশ্যের জোড়া।
এ কবিতাটি তিনি স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে পাঠাতে চেয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের শেষ দিকে তাঁকে পটুয়াখালী বদলি করা হয়। ঢাকায় পরিবারের সাথে ঈদ করে ডিসেম্বর মাসে তিনি পটুয়াখালী যান। সেখানেই পাকবাহিনীর হাতে তিনি নিহত হন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পিছু হটার সময় তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। তার লাশ পাওয়া যায়নি, মৃত্যুর তারিখও জানা যায়নি। শহীদ দসিমউদ্দিন আহমদ বিবাহিত ছিলেন। তাঁর সংসারে এক ছেলে ছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা