১৩ জুন ১৯৭১ শান্তি কমিটি
পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক পার্টি পূর্ব পাকিস্তান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শামশুর রহমান, জমিয়তে ইসলাম হাজারভি গ্রুপের পূর্ব পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট পির মহসেন উদ্দিন দুদু মিয়া খুলনা যশোর সফর করে ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন এই দুই জেলার পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক। তারা সেখানে কৃষকদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে দেখেছেন। স্কুল কলেজ স্বাভাবিকভাবে চলছে। অফিস আদালতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। তারা সেখানে স্থানীয় শান্তি কমিটিগুলির সাথে বৈঠক করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।
নোটঃ
মাহমুদ আলী (সুনামগঞ্জ) ছিলেন আসাম মুসলিম লীগ সাধারন সম্পাদক, ১৯৪৬ ১৯৫৪ এমএলএ, ১৯৫৫ এমএনএ, প্রতিমন্ত্রী। সিলেট পাকিস্তানের সাথে সংযুক্তির সাথে সাথেই তিনি পাকিস্তানের রাজনীতিতে শীর্ষ পর্যায়ে আসীন হন। পরবর্তীতে মাহমুদ আলী হাজী দানেশের গণতন্ত্রী দলে যোগ দেন। ভাসানি আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে ন্যাপ গঠন করলে গণতন্ত্রী দল ন্যাপ এর সাথে একীভূত হয়। ১৯৫৮-৬২ রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ থাকার পর রাজনীতি শুরু হলে তিনি একমাত্র বিরোধী দল এনডিএফ এ যোগ দেন। তিনি তখনকার আলোচিত ৯ নেতার একজন। ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ তাদের দল পুনরুজ্জীবিত করে এনডিএফ থেকে বের হয়ে গেলে মাহমুদ আলী এনডিএফ এ রয়ে যান। শেখ মুজিব ৬ দফা ঘোষণা করার পর এনডিএফ ৮ দফা ঘোষণা করে তখন আওয়ামী লীগের একটি অংশ এনডিএফ এর জোট পিডিএম এ যোগ দেয়। এনডিএফ ১৯৬৯ সালে পিডিপি নামে দলে রুপান্তরিত হয়। দলটি স্বাধীনতা বিরোধিতা করে। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা পশ্চিম পাকিস্তানে পলাতক হন। সেই দলে মাহমুদ আলী ছিলেন। তিনি সেখানে মন্ত্রী হন এবং সেখানেই মারা যান।