মাহতাবউদ্দিন আহমেদ
মাহতাবউদ্দিন আহমেদ ১৯৩৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জের মধ্য চড়াইল গ্রামে জন্ম নেন। তাঁর বাবার নাম মাে. আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মায়ের নাম সখিনা বেগম। আট ভাই ও এক বােনের মধ্যে তিনি ছিলেন পঞ্চম। তার ডাকনাম ‘মাতু। মাহতাবউদ্দিন ১৯৪৩ সালে জামালপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আই. এসসি, পাস করেন। এরপর ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এম, বি, বি, এস, পাস করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি কিছুদিন পাকিস্তানের পার্ক মেডিসিন কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরে নিজের এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিতে শুরু করেন। তিনি ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিলেন। জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২ এপ্রিল সকালে কেরানীগঞ্জে পাকিস্তানি সেনারা হানা দেয়। সেনারা বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তখন তারা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে কাছেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। দুপুরের দিকে ডা. মাহতাব দেখতে পান যে তাদের এক আত্মীয়কে পাকসেনারা ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেই আত্মীয়কে উদ্ধার করার জন্য তিনি এগিয়ে গেলেন। তখনই পাকবাহিনী তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাকবাহিনীর ছােড়া মােট ছয়টি গুলি তার বুকে ও মুখে লাগে। ১৯৭১ সালের ২ এপ্রিল কেরানীগঞ্জ গণহত্যায় শহীদ হন ডা. মাহতাবউদ্দিন আহমেদ। শহীদ ডা. মাহতাবউদ্দিন আহমেদের স্ত্রীর নাম মাজেদা বেগম। তাদের সংসারে এক ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা