কোরবান আলী
১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুর্গাপুরে কোরবান আলীর জন্ম। তাঁর বাবার নাম মহিউদ্দীন মিঞা, মায়ের নাম এসমা খাতুন। এক ভাই ও তিন বােনের মধ্যে। তিনি ছিলেন সবার বড়। কোরবান আলী নবাবগঞ্জ এইচ. এম. ইনস্টিটিউশন থেকে ১৯৪৭ সালে তৃতীয় বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি রাজশাহী মেডিকেল স্কুল থেকে এল. এম. এফ. পাস করেন। কোরবান আলী মঞ্চ নাটকে অভিনয়, দাবা, ফুটবল ও ভলিবল খেলায় পারদর্শী ছিলেন। রেডক্রস আন্দোলন, পাঠাগার স্থাপনসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ডা. কোরবান আলী ফরিদপুর জেলা বাের্ডের অধীনে চাকরিতে যােগ দেন। তিনি সাজাইল, ভাঙা ও বােয়ালমারী চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারিতে কাজ করেছেন। ১৯৭১ সালে তিনি বােয়ালমারী চ্যারিটেবল ডিসপেন্সারিতে কাজ করছিলেন। দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় তিনি ১৯৭১ সালের ২০ মার্চ স্ত্রী সালেহা বেগম এলিজা ও চার ছেলেকে গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পাঠিয়ে দেন। এলিজা বেশ কয়েকবার তাঁর স্বামীকে চিঠি পাঠিয়েও কোনাে উত্তর পাননি। অবশেষে ১০ জুন ডা. কোরবান আলীর অফিস থেকে এক চিঠিতে জানানাে হয় যে কোরবান আলী ১২ মে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে চাপাইনবাবগঞ্জ চলে গেছেন। ১৩ জুলাই এলিজা স্বামীর খোঁজে ফরিদপুর যান। তখন তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামীকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করেছে।
সূত্র : শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ – আলী মাে. আবু নাঈম, ফাহিমা কানিজ লাভা